ফ্রান্সে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও যথাযথ ভাবগাম্বীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদ-উল আযহা। ঈদ উপলক্ষে ফ্রান্সের প্যারিসে বাংলাদেশিদের ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ কমিউনিটি মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার, ওভারভিলিয়ের বাংলাদেশ জামে মসজিদ ও মেট্রো হোশে বেশ কয়েকটি জমায়েত অনুষ্ঠিত হয় ।
দলমত-নির্বিশেষে বাংলাদেশি ছাড়া ও স্থানীয় ও বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা ঈদের জামায়াতে অংশগ্রহণ করেন। জামায়াতে পুরুষের পাশাপাশি শিশু ও মহিলাদের অংশগ্রহণও ছিল চোখে পড়ার মতো।
নামাজ শেষে দেশ ও জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয় এবং ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর এ দিনে হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এবং তার পুত্র ইসমাঈল (আঃ) এর মহান স্মৃতিকে স্মরণ করা হয়।
নামাজ শেষে চিরাচরিত নিয়মানুযায়ী মুসল্লীরা একে অপরের সাথে কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় করেন এবং শেষে দেশে থাকা স্বজনদের কথা মনে করে আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
প্রবাসে বন্ধুর বাড়িই যেন পরম আত্মীয়ের বাড়ি। তাই নামাজ শেষে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দল বেঁধে বন্ধুর বাসায় গিয়ে আড্ডাবাজি বা ভোজনে মেতে উঠেন অনেকে।
এবারের ঈদ সাপ্তাহিক ছুটির দিন রবিবারে হওয়াতে ঈদের জামায়াতে তুলনামূলক বেশি প্রবাসী অংশগ্রহণ করে, বাঙালি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে বাংলাদেশিদের মিলনমেলায় কিছুটা স্বদেশী ঈদের আমেজ তৈরি হয়। তবে নিজেদের হাতে পশু কোরবানির করতে না পারা, ঈদের দিনে গোশত খাওয়া ও বিতরণ না করতে পেরে মর্মাহত হয়েছেন অনেকে।
অবস্থাসম্পন্ন প্রবাসীরা নির্দিষ্ট হালাল মাংশ দোকানগুলোতে কুরবানীর জন্য টাকা জমা দিলে ও এক দুই দিন পরে তারা মাংশ সরবরাহ করে। তাই ফ্রান্সে কুরবানির টাটকা আমেজ পাওয়া যায় না।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা