.jpg)
নিউইয়র্কে উৎসবমুখর পরিবেশে ‘মিস নেপাল’ প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেন বাংলাদেশি-আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। গত শনিবার লং আইল্যান্ড সিটির মেলরোজ বলরুমে অনুষ্ঠিত ‘মিস নেপাল নর্থ আমেরিকা ২০১৯’-এ যুক্তরাষ্ট্র ও নেপাল থেকে আসা খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বদের সাথে ছিলেন আবুবকর হানিপ।
এতে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর থেকে বাছাইকৃত ১৬ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। এর মধ্যে ‘মিস নেপাল’ মুকুট অর্জন করেন নিউইয়র্কের শ্রীয়া গাজুরেল। প্রথম রানার আপ হন কানাডার ভ্যানকুভারের আস্থা পান্ডে ও দ্বিতীয় রানার আপ হন ম্যাসেচুসেটসের কৃতী কেসি।
অনুষ্ঠানে আইটি সেক্টরে নবাগত অভিবাসীদের উচ্চ বেতনে চাকরির উপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদানে খ্যাতিঅর্জনকারি ‘পিপল এন টেক ইন্সটিটিউট’র সিইও আবুবকর হানিপ ছাড়াও বিচারক ছিলেন ‘মিস নেপাল ওয়ার্ল্ড ২০১৮’ বিজয়ী শ্রীঙ্খলা খাতিওয়াদা, নেপাল কমিউনিটির সামাজিক উদ্যোক্তা রাজু শ্রেষ্ঠ, জনপ্রিয় নেপালি রক এ্যান্ড রোল শিল্পী আদ্রিয়ান প্রধান, কমিউনিটি নেতা ও লামা একাউন্টিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা নামগেল লামা এবং এটর্নি বাসু ডি ফুলারা।
কয়েক মাস ধরে শত শত প্রতিযোগী থেকে কয়েকদফা বাছাইয়ের মাধ্যমে ১৬ জনকে মিস নেপাল-এর গ্র্যান্ড ফিনালের জন্য মনোনীত করা হয়। এদের জন্য অনলাইনেও ভোট নেয়া হয়। হাজার হাজার নেপালি তাদের পছন্দের প্রতিযোগীকে ভোট দেন। এই ১৬ জনকে বিভিন্ন পর্যায়ে গ্রুমিং শেষে প্রস্তুত করা হয় মূলমঞ্চের জন্য। গ্র্যান্ড ফিনালের কোরিওগ্রাফার ছিলেন ‘মিস নেপাল ওয়ার্ল্ড ২০১০’ মুকুট জয়ী সদিচ্ছা শ্রেষ্ঠ।
অনুষ্ঠানে তিন বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন আবুবকর হানিপ। এ সময় বিজয়ীদের আরও পুরস্কৃত করেন টিভি সাংবাদিক ও উপস্থাপক হাসানুজ্জামান সাকী, এনআরবি কানেক্ট টিভির পরিচালক আরিফুল ইসলাম ও পিপল এন টেকের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার মিলন মনিরুজ্জামান।
এসময় ইঞ্জিনিয়ার হানিপ বিজয়ীদেরকে আইটি কোর্স বিনামূল্যে প্রদানের ঘোষণা দেন বিপুল করতালির মধ্যে। উল্লেখ্য, গত ১৫ বছরে উত্তর আমেরিকায় সেবামূলক অনেক কাজে সহায়তা দিয়েছে এই পিপল এন টেক। অতি সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে এ মোমেনের নামে একটি স্কলারশিপ চালু করেছেন নবাগত উদ্যমী বাংলাদেশিদের জন্যে।
বিডি-প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ
