২৬ আগস্ট, ২০১৯ ১৩:০৩

কানাডার আলবার্টায় ডাইনোসরের মিউজিয়ামে পর্যটকদের ভিড়

কানাডা প্রতিনিধি:

কানাডার আলবার্টায় ডাইনোসরের মিউজিয়ামে পর্যটকদের ভিড়

বরফাচ্ছন্ন কানাডার আলবার্টা সিটির অদূরে ড্রাম হিলার শহরে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ডাইনোসারের মিউজিয়ামে এখন পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। এক ঘেয়েমি জীবন থেকে বেড়িয়ে এসে পরিবার-পরিজন নিয়ে অন্যান্যদের সাথে প্রবাসী বাঙ্গালিরাও পরিদর্শন করছেন মিউজিয়ামটি।

গ্যাস ও অয়েলখ্যাত কানাডার আলবার্টা প্রদেশে রয়েল টেরেল মিউজিয়মটি CNN -এর ভোটে বিশ্বের ডাইনোসোর সর্ববৃহৎ মিউজিয়াম। আলবার্টার অসমতল অনুর্বর ভূমির নিচে লুকিয়ে থাকা প্রচীনতম ৩.৯ বিলিয়ন বছরের পুরাতন জীবনসৃষ্টির ইতিহাস সংক্রান্ত বিজ্ঞানের বর্ণনা ও নমুনা এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে। ১৯৮৪ সালে ভূ-তত্ত্ববিদ জোসেফবুর টেইরল আলবার্টা রেডডিয়ার উপত্যকায় কয়লা উত্তলনের সময় হঠাৎ ডাইনোসারের কঙ্কাল দেখতে পান, তার নাম অনুসারেই ১৯৮৫ সালে যাদুঘরটির নামকরণ করা হয়। ৪০টিরও বেশি বিভিন্ন প্রজাতি ডাইনোসারের কঙ্কাল ও তার নমুনা এখানে রয়েছে। পৃথিবীর ৩৭৫ মিলিয়ন বছরের প্রবাল প্রাচীর, বরফ যুগের স্তন্যপায়ী প্রাণী, সামুদ্রিক সরীসৃপ প্রাণীসহ নানা রকম প্রাগৈতিহাসিক জীবন ও জীব সৃষ্টির উৎসের বর্ণনা ও নমুনাও এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ “T-Rex Jaint” যার দৈর্ঘ্য ১৭০০ বর্গফুট এখানে প্রদর্শিত রয়েছে। শুধু মিউজিয়াম নয়, এটি জীবনসৃষ্ট ও জীব সৃষ্টির ইতিহাসের উপাদান সরবরাহক জীবাস্ম সংকক্রান্ত বিজ্ঞানের (Paleontology) গবেষণা কেন্দ্রও। ৩১ হাজারেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী গবেষণায় জড়িত রয়েছে। ৫ হাজারেরও বেশী ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে Distence learning students হিসাবে।

কানাডার আলবার্টার অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখা এই মিউজিয়ামটি এখন বিশ্বে সমাদৃত। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিশ্বের ১৫০টি দেশের প্রায় ১২ মিলিয়নেরও বেশি পর্যটক এই জাদুঘর পরিদর্শন করেছেন। প্রতিবছরই প্রায় ৫ লক্ষ পর্যটক এই জাদুঘর পরিদর্শন করেন। শিশুসহ সকল পর্যটকদের আনন্দ দানের পাশাপাশি জ্ঞান আহরণেও এটি ভূমিকা রাখবে এমনটাই প্রত্যাশা মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষের।

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর