জার্মানির করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বেড়ে গেছে। কঠোর বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও এই হার বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির অর্থমন্ত্রী ওলাফ শোলজ সতর্ক করে বলেছেন যে, মে মাসের আগে বিধিনিষেধ (লকডাউন) শিথিল করার কোনো সম্ভাবনা নেই।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, জার্মানি করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলা করছে। দেশটিতে এখন করোনার বি ১১৭ ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপ দেখা দিয়েছে, যা প্রথম যুক্তরাজ্যে দেখা দিয়েছিল।
দেশটির অর্থমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জনগণকে কীভাবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে হবে, এর একটি সময়সূচি দরকার। তবে এজন্য অবশ্যই একটি পরিকল্পনা থাকবে হবে, যা মাত্র কয়েক দিনের পরে বাতিল করা উচিত হবে না।’
গত শনিবার থেকে দেশটির লকডাউনের বিধিনিয়মে আরও কড়াকড়ি আরোপ করে মের্কেল প্রশাসন। অর্থাৎ শনিবার রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত চাকরি বা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কেনাকাটায় যেকোনো জায়গায় প্রবেশে লাগবে করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট। এমনকি সমাজিকভাবে চলাফেরা করার ক্ষেত্রেও দেওয়া হয়েছে কড়াকড়ি। বিশেষ করে দুই ঘরের ৫ জনের পরিবর্তে শুধু ২ জনের একসাথে চলার বিধান রাখা হয়েছে। তবে ১৪ বছরের নিচে শিশুরা এই বিধানে পড়বে না। এমন পরিস্থিতে প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশটির সাধারণ মানুষ।
এদিকে দেশটিতে অব্যাহত টিকা কার্যক্রমের মধ্যেও ব্রাজিল, যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার করোনার নতুন ধরন প্রবেশ নিয়েও উদ্বিগ্ন দেশটির সাধারণ নাগরিকেরা। তবে আবারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কদিন আগে সীমিত আকারে খুলে দেওয়া সিনেমাহল, থিয়েটার, চিড়িয়াখানা ও যাদুঘরগুলোও। এই অবস্থায় কর্মক্ষেত্র নিয়েও দুর্ভাবনায় আছেন দেশটিতে বসবাসরত অসংখ্য প্রবাসী।
তবে আশার কথা, দেশটির সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে বাড়ছে টিকা নেওয়ার প্রবণতা। ইতোমধ্যে মোট জনসংখ্যার ২৪ শতাংশ প্রথম ডোজ আর আর ৮ শতাংশ নিয়েছেন করোনার দ্বিতীয় ডোজ। দেশটিতে বায়োএনটেক-ফাইজার, মর্ডানা, অ্যাস্ট্রাজেনেকার পর নতুন করে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা প্রদান শুরু হলে করোনাকে শিগগিরই বশে আনা সম্ভব বলে মনে করেন আঙ্গেলা মের্কেলের সরকার।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ