করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১ মে থেকে কার্যকর হওয়া নতুন নির্দেশনা মোতাবেক ওমান, ভারত, সাইপ্রাস, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরান, ব্রাজিলসহ মোট ১২ টি দেশ থেকে যাত্রা শুরু করে কেউ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে যেতে পারবেন না। পাশাপাশি দেশ থেকেও কেউ ঐসব দেশগুলিতেও যেতে পারবেন না। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রবাসীরা।
সম্প্রতি, ওমানে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। এমতাবস্থায় ওমানকে ঝুঁকিপূর্ণ রাষ্ট্রের তালিকাভুক্ত করায় প্রবাসীরা অসুন্তুষ্টি জানান l ওমান প্রবাসী আব্দুল আজিজ তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, 'আমরা আশা করি ওমানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করে বিমান চলাচল পুনর্বিবেচনার করলে অনেক প্রবাসী যারা বাংলাদেশে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে তারা অবশ্যই দেশে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।'
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম সমিতি ওমানের সভাপতি ও এনআরবি সিআইপি এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'প্রবাসীদের বৃহত্তর স্বার্থে বিশেষ করে ওমানে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের বিশেষ বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছি।'
এছাড়াও বন্ধু সমাজ ওমানের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ স্কুল সুইকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী শামসুল হক বলেন, 'ঈদকে সামনে রেখে দেশে যাওয়ার আগাম প্রস্তুতি সেরেছেন প্রবাসীরা। এমতাবস্তায় সাধারণ প্রবাসীদের দেশে যাওয়া ব্যাহত হলে এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।'
উল্লেখ্য, প্রবাসীদের মধ্যে যারা বিগত ১৫ দিনের মধ্যে যারা ১২টি দেশের কোন একটি দেশে সফরে গিয়েছেন, তারা সরকারের বিশেষ অনুমতি প্রাপ্তিসাপেক্ষে দেশে ফিরতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশে পৌঁছার পর তাদেরকে সরকার অনুমোদিত যেকোন হোটেলে নিজ খরচে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে৷
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির