মহিলা আওয়ামী লীগ কানাডার আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ভার্চুয়াল ‘ঈদ পুনর্মিলনী’ আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন ফারহানা পল্লব। অনুষ্ঠানের শুরুতে মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হাসিনা আক্তার জানু উপস্থিত অতিথী, শিল্পী,আবৃত্তিকার ও কলা-কুশলীকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান। তিনি মে মাসে বাংলা ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিওকুরী শান্তি পুরস্কার’ অর্জন নিয়ে আলোচনা ও সকলকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আব্দুল আউল, আওয়ামী নেতা আব্দুস সালাম, ইমাম হোসেন, রীনা বেগম ও মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভানেত্রী আজিমুননেছা। উপস্থিত ছিলেন অন্টারিও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মিলু।
অনুষ্ঠানের প্রথমেই মৌসুমির কণ্ঠে ঈদের গান ‘রমজানের ও রোজার শেষে, এলো খুশির ঈদ’ গানটি পরিবেশিত হয়। এ ছাড়া তিনি ৮টি ভাষায় রবীন্দ্র সংগীত ‘আমি চিনিগো চিনি তোমাকে ওগো বিদেশিনি’ গানটি গেয়ে শোনান। তার পরই হিমাদ্রী রয় তার অপূর্ব মনোমুগ্ধকর আবৃত্তি পরিবেশন করেন। কলকাতার কবি সিরাজুল ইসলামের ঈদের কবিতা-রবীন্দ্র নাথের নীর্ঝরের স্বপ্ন ভঙ্গ, কাজী নজরুলের পরিচয় -এই কবিতাগুলো পাঠ করেন।
অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ওপরে একটি কবিতা, টোকেন ঠাকুরের লেখা ‘মহাকাব্যের ট্রাজেডি’ কবিতাটি পাঠ করেন সোহানা আমিন। বাংলাদেশ থেকে শিল্পী তারেক সাইদের কণ্ঠে তালাত মাহমুদের বিখ্যাত গান ‘তোমারে লেগেছে এতো যে ভালো চাঁদ বুঝি তা জানে’ ও ‘সুন্দরী গো দোহাই দোহাই মান কোরো না। মন্জু সাহার -বঙ্গবন্ধুর ওপরে নিবেদন ‘তুমি যে সাজালে সোনার বাংলা ভালোবাসার অলংকারে’ এবং ফরিদা পারভীনের বিখ্যাত গান ‘তোমরা ভুলে গেছ মল্লিকাদির নাম।’
আমেরিকা থেকে রেহানা রহমানের কণ্ঠে ছিল আধুনিক গান -‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’ ও ‘ফুলের কানে ভ্রমর এসে চুপি চুপি বলে যায়।’
বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী মিজানুর রহমান তসলিমের কণ্ঠে -‘ও আমার দেশের মাটি’ এবং ‘আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়েছিলে দেখতে আমি পাইনি।’
টরন্টোর শিল্পী বিপ্লব কর্মকারের কণ্ঠে ছিল ‘তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল’ ও ‘বাঁশী শুনে আর কাজ নাই’।
ইভা নাগ পরিবেশন করেন ‘আমারও পরানো যাহা চায়’ ও ‘ওই ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায়’ গানটি।
ফারহানা শান্তা-‘তুমি একটু কেবল বসতে দিও কাছে’ এবং ‘মন চেয়েছে আমি হারিয়ে যাবো’। মৌসুমির একটি দ্বীজেন্দ্র গীতি দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। পুরো অনুষ্ঠানটি জুমে পরিচালনা করেন সোহানা আমিন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ