কানাডার অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর ৯১তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে। কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষিতে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ পালন পূর্বক দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি হাইকমিশন চত্বরে আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কানাডায় নিযুক্ত হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান। সেখানে তিনি বলেন, বঙ্গমাতার জীবন ও আদর্শের ওপর আরও গবেষণা হওয়া প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে এ দিবস উপলক্ষে ঢাকা থেকে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী তিনটি মিশনের যথাক্রমে উপ-হাইকমিশনার, মিনিস্টার (রাজনৈতিক) ও কাউন্সেলর (বাণিজ্যিক) পাঠ করে শোনান। বাণী পাঠের পর বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়।
দূতাবাসে কর্মরত কর্মকতাগণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় বক্তাগণ বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বক্তারা বঙ্গমাতাকে একজন মহীয়সী নারী হিসাবে বর্ণনা করেন। তারা বলেন, বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিকভাবে সহযোগিতা করেছেন এবং সব সময় সকলকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
সভাপতির বক্তব্যে হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান শুরুতে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ এর কালো রাতে নিহত সকলের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
হাইকমিশনার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বঙ্গমাতা ছিলেন একজন মহৎ হৃদয়ের অধিকারী। স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও বির্নিমাণে তার অসামান্য অবদান রয়েছে। বঙ্গমাতার জীবন ও আদর্শের ওপর আরও গবেষণা হওয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বঙ্গমাতার জীবন ও আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সকলকে জাতির পিতার ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।
সবশেষে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা, জাতির পিতা, তার পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা