১৮ অক্টোবর, ২০২১ ১২:৫৭

জাপানে শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপিত

অনলাইন ডেস্ক

জাপানে শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপিত

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন গভীর শ্রদ্ধার সাথে উদযাপন করেছে জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।

সোমবার সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বানী পাঠ করা হয়। পরে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুস্পাস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদানকালে রাষ্ট্রদূত শেখ রাসেলের শৈশব ও কিশোরকাল নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, শেখ রাসেল ছিলেন নম্র-ভদ্র এবং আচরণে অত্যন্ত মার্জিত। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেয়া শেখ রাসেলও পরিবারের অন্য সদস্যদের মতো খুবই সাধারণ জীবনযাপন করতেন। রাষ্ট্রদূত উপস্থিত সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধু যেদিন জাপানের মাটিতে পা রাখেন সেদিন ছিল ১৮ অক্টোবর ১৯৭৩ অর্থাৎ শেখ রাসেলের জন্মদিন। সেদিন বাবার সঙ্গে রাসেলও জাপানে এসেছিলেন। পুরো জাপান সফরে শেখ রাসেলকে অনেক চঞ্চল, হাসি-খুশি দেখা গেছে। কখনো সে পুকুর পারে মাছ দেখে আনন্দে মেতেছে আবার কখনো জাপানি ঐতিহ্যবাহী জামা – ‘ইউকাত্তা’ পরে জাপানি নাচ আর বাদ্য উপভোগ করেছে।  

রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন বলেন, মাত্র ১০ বছর বয়সে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানব ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞে, ঘাতকের বুলেটে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে অন্য সবার সঙ্গে না ফেরার দেশে চলে যান শহীদ শেখ রাসেল। ক্ষমতা দখল কিংবা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য পৃথিবীর ইতিহাসে বহু দেশে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা নারী ও কোমলমতি শিশু রাসেলসহ পুরো পরিবারের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। তিনি আরও বলেন, শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে হয়তো বাবা ও বড় বোনের মতো দেশের নেতৃত্ব দিতেন, বাংলাদেশকে নিয়ে যেতেন অনন্য উচ্চতায়। রাষ্ট্রদূত তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ রাসেলের জীবনধারা তুলে ধরতে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত আহমদ।      

পরে আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন জাপান প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ। আলোচকগণ শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং অনুষ্ঠান আয়োজন করায় দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানান। তাঁরা দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সর্বাত্মক সহযোগিতার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।  

অনুষ্ঠানে শহীদ শেখ রাসেলের জীবনের উপর নির্মিত একটি ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। শেষ পর্যায়ে জন্মদিন উপলক্ষ্যে উপস্থিত অতিথিদের নিয়ে কেক কাটেন রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ।

এসময় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।


বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর