সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বাজি ধরা

শেখ সজীব আহমেদ

বাজি ধরা

পকেট খালি। কোনো টাকা-পয়সা নেই। বন্ধুদের কাছে টাকা ধারও চাইতে পারছি না। কারণ আগের পাওনা টাকাই এখনো দেইনি। হঠাৎ একটা বুদ্ধি বের করলাম। তাদের পাওনা টাকা কীভাবে শোধ করা যায় আর কীভাবে কিছু টাকা বিনা ধারে নেওয়া যায়। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করব বলে জানালাম। তারা এলো। সবাই ভাবছে, হয়তো আমি তাদের পাওনা টাকা ফেরত দিব। তাদের বললাম, ‘একখান বাজি ধরতে পারস। আমি হাইরা গেলে পাওনা টাকাসহ আমার মোবাইলটাও দিয়া দিমু।’

বন্ধুরা রাজি হলো। সামনে ছিল নারিকেল গাছ। সেটা দেখিয়ে বললাম, ‘এই নারিকেল গাছটারে একটা ঘুসি মাইরা দুই হাত পিছে নিয়া যামু।’ বন্ধুরা বলল, ‘আমাদের বলদ পাইছস? এত সহজ? যদি পারস, পাওনা টাকা শোধ হইয়া যাইব। উল্টা তোরে নগদ ৫০০ টাকাও দিমু।’ তাদেরকে ভালোভাবে বুঝিয়ে বললাম, ‘গাছটারে একটা ঘুষি মাইরা দুই হাত পিছে নিয়া যামু কইলাম।’ তারা বলল, ‘পারলে নিয়া দ্যাখা।’

আমি গাছে একটা ঘুসি মেরে নিজেই দুই হাত পেছনে চলে গেলাম। বন্ধুরা বলল, ‘কি রে! গাছ যে জায়গায় ছিল, সেই জায়গাতেই তো আছে।’ বললাম, ‘গাছ তো জায়গা মতোই থাকব। আমি তো বলি নাই, গাছটা পিছে যাইব। আমি বলছি, দুই হাত পিছে যাইব। দ্যাখ, আমার দুই হাত পিছে গেছে কি না?’

বন্ধুরা আমার দিকে হা করে চেয়ে রইল। তারপর পাওনা টাকা ডিসমিস কইরা নগদ ৫০০ টাকা দিয়া যে যার মতো চলে গেল।

- আউটশাহী, টঙ্গীবাড়ি, মুন্সীগঞ্জ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর