আমার এক ছোটভাই বলল, ভালোই যন্ত্রণায় পড়া গেল ভাই। আপনি চোখ বন্ধ করে এই যন্ত্রণার নাম দিতে পারেন ‘অটোযন্ত্রণা’। আমি বললাম, নাম চোখ বন্ধ করে দেব নাকি চোখ খুলে দেব, সেই সিদ্ধান্ত আমার। তোকে সেটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। তুই শুধু বল কী ধরনের যন্ত্রণায় পড়েছিস। ছোটভাই বলল, যন্ত্রণাটা আসলেই অটোযন্ত্রণা। মানে অটোরিকশা সংশ্লিষ্ট। আমি বললাম, কী রকম? ছোটভাই বলল, তাহলে বিস্তারিত শোনেন। নিউমার্কেট যাওয়ার জন্য ব্যাটারিচালিত রিকশায় উঠেছিলাম। কিন্তু কিছু দূর এগোতেই দেখি আরও শত শত অটোরিকশা মিলে এমন যানজটের সৃষ্টি করেছে, কী আর বলব। আপনি যা-ই বলেন ভাই, এই যন্ত্রণা মেনে নেওয়া যায় না। এ অবস্থা থেকে মুক্তির উপায় কী? আমি বললাম, মুক্তির উপায় তো অনেকই আছে। তবে সেসব উপায় অনুযায়ী কাজ করতে গেলে ঝামেলা বাড়বে বই কমবে না। সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে, অটোরিকশা এড়িয়ে চলা। তুই আমি এবং আমরা যদি মূল সড়কে অটোরিকশায় না উঠি, তাহলে দেখবি এমনিতেই কমে গেছে। ছোটভাই বলল, আমরা তো যন্ত্রণায় আছিই, ওই দিন এক অটোচালকের কথা শুনে মনে হলো তারা নিজেরাও যন্ত্রণায় আছে। আমি বললাম, কী রকম যন্ত্রণা? ছোটভাই বলল, যন্ত্রণা তেমন বড় নয়। আবার ছোটও নয়। ওই দিন ওই অটোচালকের সঙ্গে গল্প করতে করতেই গন্তব্যে যাচ্ছিলাম। তারপর যখন গন্তব্যে পৌঁছলাম, অটোচালক চিৎকার করে উঠল। আমি ভয় পেয়ে জিজ্ঞেস করলাম কী হয়েছে। অটোচালক বললেন, না, মানে অনেকক্ষণ ধইরা পা উঠাইয়া রাখছি তো! এজন্য পায়ের রগে টান মারছে। আমি বললাম, পা অনেকক্ষণ বাঁকা করে রাখলে রগ টান মারতেই পারে। এ জন্য পা কাজে লাগাতে হবে। মানে প্যাডেল মারতে হবে। এতে পায়ের ভালো ব্যায়াম হয়। ছোটভাই বলল, যানজট নিয়ে কথা বলে লাভ নেই ভাই। ট্রাফিক নিয়ম না মেনে মূল সড়কে অটোরিকশা চললে রাস্তায় জ্যামের সৃষ্টি হবেই। তবে ঢাকা শহর ঠিকঠাক রাখার স্বার্থে প্রশাসনকে অবশ্যই কড়া ভূমিকা রাখতে হবে। আমি জানতে চাইলাম, কী ভূমিকা? ছোটভাই বলল, কী ভূমিকা, সেটা আমিও জানি না। তবে যত্রতত্র অটোরিকশা চলাচলে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। কারণ, কেউ কেউ বাড়াবাড়ি শুরু করছে। আমি বললাম, কী ধরনের বাড়াবাড়ি? ছোটভাই বলল, আর বলবেন না ভাই। আমার মোটরসাইকেলের হর্ন কোনটা, সেটা এখন আর বুঝতেই পারি না। কারণ, বাসার পাশের এক অটোরিকশায় হুবহু আমার মোটরসাইকেলের হর্নের আওয়াজের একটা হর্ন লাগানো হয়েছে। কী একটা অবস্থা বলেন তো! আমি বললাম- এসব টুকটাক বিষয় সামনে আনিস না তো! যানজট এখন পুরো ঢাকা শহরের সমস্যা। শুধু ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নয়, রাস্তায় কোন গাড়িটা ঠিকঠাক ট্রাফিক আইন মেনে চলে? তুই নিজেই তো কোনো ট্রাফিক আইন মানিস না। সেদিনও তো দেখলাম দৌড়ে রাস্তা পার হচ্ছিস অথচ পাশেই ফুটওভার ব্রিজ! অতএব ওইসব নিয়ে কথা না বলাই ভালো। চল প্রয়োজনে রাস্তায় নামি। এ কথায় ছোটভাইয়ের মুখটা শুকিয়ে গেল। মিনমিন করে বলল, এত মানুষ যদি হুটহাট রাস্তায় নামি তাহলে তো আবার জ্যাম লেগে যাবে!
শিরোনাম
- শিগগিরই জাপান ও কানাডায় চালু হচ্ছে এনআইডি সেবা
- আজ রাতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ
- ক্ষুদ্র আমানতকারীদের অর্থ ফেরতের ভাবনা
- সাইকেল চালালে মিলবে সুস্থতা
- বিপজ্জনক থার্ড পার্টি অ্যাপ চেনার উপায় কী
- দুই পরিবারের মজার ঘটনা নিয়ে ধারাবাহিক ‘গিট্টু’
- চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত
- মালয়েশিয়ায় গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ও রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস উদযাপন
- বর্ণবাদ রুখতে কঠিন শাস্তির পক্ষে রুনি
- রাজধানীতে আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
- বুড়িগঙ্গার তীর দখলমুক্তে দুই দিনের যৌথ অভিযান শুরু
- ডাকসু নির্বাচন: মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন আজ
- ইরান থেকে বিতাড়িত হয়ে ফিরছিলেন, পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৭১ আফগানির
- আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
- খুলনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
- চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে অসুস্থ ফখরুল, ভর্তি হাসপাতালে
- কক্সবাজারে র্যাবের অভিযানে দুই ক্যাডার অস্ত্রসহ গ্রেফতার
- টেকনাফে বিজিবির অভিযানে দুই মানব পাচারকারী আটক
- ঠাকুরগাঁওয়ে মৎস্যচাষি ও জেলেদের সাথে মতবিনিময়
- রাজধানীতে বালতির পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু
অটো যন্ত্রণা
ইকবাল খন্দকার
প্রিন্ট ভার্সন
