আমার এক ছোট ভাই বললো, কী যে বিপদে আছি ভাই! বাসা থেকে বের হওয়ার অবস্থা নেই। যে রাস্তা দিয়ে বের হতে যাই, সেই রাস্তায়ই বিপদের সম্মুখীন হই। আমি বললাম, বিষয়টা আসলেই জটিল। কেন যে মানুষ রাস্তা বন্ধ করে রাখে! ছোট ভাই বললো, আপনি আমার কথাটা বুঝতে পারেননি ভাই। রাস্তা বন্ধ তো পুরনো ইস্যু। আমি সেটা নিয়ে কথা বলিনি। আমি বলছি এই চাপ বেড়ে যায় বাসা থেকে বের হওয়ার সময়, বাসায় ঢোকার সময়। কী আর বলবো ভাই, আমার বাসা থেকে বের হওয়ার যতগুলো রাস্তা আছে, সবগুলো রাস্তার পাশে একটা না একটা রেস্টুরেন্ট আছেই। এই অবস্থায়... আমি ছোট ভাইকে থামিয়ে দিয়ে বললাম, বাসার কাছে রেস্টুরেন্ট থাকলে তো সেটা ভালো খবর। এখানে চাপে থাকার কী আছে? ছোটভাই বললো, ভাইরে, এমনিতেই নানাবিধ চাপে জীবন চ্যাপ্টা হয়ে গেছে। এখন চাপ শব্দটা শুনলেই বুকে ব্যথা শুরু হয়ে যায়। এমতাবস্থায় যদি বাসায় ঢোকার সময় বা বের হওয়ার সময় রাস্তার পাশের রেস্টুরেন্ট থেকে ‘খাসির চাপ’ ‘গরুর চাপ’ ‘চিকেন চাপ’ কথাগুলো কানে আসতে থাকে, তখন চাপ বাড়তে বাড়তে বুকের ব্যথা থেকে হার্টের ব্যথা কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়াতে পারে একবার চিন্তা করেন। আমি বললাম, চিন্তা করতে পারবো না। চিন্তা করা ছাড়াই জানি, আমরা সবাই চাপে আছি। আর সবার কথা কী বলবো, আমি নিজেই তো বিস্তর চাপে আছি। ছোট ভাই জানতে চাইলো আমি কী ধরনের চাপে আছি। আমি বললাম, চাপের আবার ধরন কী? চাপ তো চাপই। যেমন ধর আমার এক প্রতিবেশী চাপ দিচ্ছে এসি খুলে ফেলতে হবে। কারণ কী? আমার এসির পানিতে নাকি তার বাসার জানালা ভেসে যাচ্ছে। ছোট ভাই বললো, এটা গুরুতর সমস্যাই বটে। এসি খুলে ফেলেন। আমি ধমক দিলাম, ফালতু কথা বলবি না তো! এসি খুলে ফেলতে গেলে তোর ভাবির পক্ষ থেকে যে চাপটা আসবে, সেটা সহ্য করতে পারবো? ছোট ভাই বললো, তাহলে এক কাজ করেন। এসির পানি পড়া বন্ধ করার ব্যবস্থা নেন। সহজ একটা ব্যবস্থা আছে। পাইপ সিস্টেম। মানে লম্বা একটা পাইপ লাগিয়ে দেবেন। পানি দূরে গিয়ে পড়বে। আমি বললাম, যত সহজে বলছিস, ব্যাপারটা অত সহজ না। পাইপ দিয়ে পানি দূরে ফেলতে গেলে সেখানেও চাপ আছে। ছোটভাই অবাক হয়ে বললো, সেখানে আবার কিসের চাপ? আমি বললাম, আশপাশের যত পিঁপড়া আছে, তেলাপোকা আছে, উইপোকা আছে, পাইপ বেয়ে বেয়ে সব চলে আসে ঘরে। কিন্তু ঘরে তো ওদের বসবাসের জন্য ভালো বন্দোবস্ত নেই। এই জন্য ভালো জায়গা খুঁজে। তারপর খুঁজতে খুঁজতে কানে ঢুকে পড়ে। ছোটভাই বললো, এর চেয়ে বড় বড় চাপ, বড় বড় বিপদ প্রতিমুহূর্তেই আমাদের চারপাশে ঘুরছে। যেমন ধরেন পাওনাদারের চাপ। এই চাপ এড়িয়ে যাওয়ার সাধ্য কোনো বেটার আছে? আমি বললাম, আমার জানা মতে তুই তো অনেকের কাছ থেকেই টাকা ধার করেছিস। তার মানে তোর এই চাপ সহ্য করার ক্ষমতা আগে। ছোট ভাই বললো, এই চাপ সহ্য করার ক্ষমতা আগে ছিল। এখন নেই। কেন নেই জানেন? কারণ, পাওনাদারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এতটাই বেড়ে গেছে যে, তারা একসঙ্গে মিলিত হলে মিটিং-মিছিলের মতো বড় আয়োজন মনে হয়। তো এরা কিছুদিন ধরে করছে কী, আমার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছে। অনশনও করবে বলে শোনা যাচ্ছে। আমি একটা গরম নিঃশ্বাস ছেড়ে বললাম, আসলেই খুব চাপ। সব ক্ষেত্রে এত চাপ ভালো লাগে না।
শিরোনাম
- মিয়ানমার থেকে রাষ্ট্রদূতকে ফিরে আসার নির্দেশ
- ট্রাম্পের চাপে হার্ভার্ডের সরকারি তহবিল বন্ধের আশঙ্কা
- বিশ্বরেকর্ড গড়ে ৩১ বার এভারেস্টে উঠলেন নেপালি শেরপা
- ভোলায় পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত
- অর্থনীতি ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্র
- আমরা দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই : ডা. জাহিদ
- প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিন স্কুলে শিক্ষার্থী উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনা
- রাবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের ওপর হামলা, শিবিরকে দায়ী করে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
- তথ্য কমিশনের সচিব হলেন রকিবুল বারী
- মোহাম্মদপুরে শীর্ষ সন্ত্রাসী এক্সেল বাবুসহ গ্রেফতার ৪
- ওমানে চাঁদ দেখা গেছে, ঈদ ৬ জুন
- কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ত হওয়ার পরিকল্পনা নেই
- চাঁদ দেখা গেছে, সৌদিতে ঈদ ৬ জুন
- ডিআরএস ছাড়াই মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ
- ২২ দেশের নারী পুলিশের সমন্বয় করবেন এআইজি শামীমা
- স্টিলথ যুদ্ধবিমান তৈরি করবে ভারত
- বাংলাদেশিদের ড্রোন প্রশিক্ষণ দেবে চীন
- সরাসরি বৈঠক করেছে সিরিয়া ও ইসরায়েল
- রাজশাহীতে পরিত্যক্ত রকেট লাঞ্চার উদ্ধার
- পাচার হওয়া ৩৬ নারী-কিশোর-শিশুকে হস্তান্তর করলো ভারত