শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর, ২০১৪

গল্প

দিগম্বর

সুমন্ত আসলাম
প্রিন্ট ভার্সন
দিগম্বর

বিছানায় শুয়েই দৃশ্যটা দেখতে পেলেন মাজবুর ফাকির। হঠাৎ। সঙ্গে সঙ্গেই উঠে বসলেন ঝট করে। বড় বড় করে ফেললেন ঘুম জড়ানো চোখ দুটো। ঘরের কোনায় যে লম্বা ড্রেসিং টেবিলটা আছে, তার স্ত্রী দাঁড়িয়ে আছেন সেই আয়নার সামনে। প্রতিদিনের মতো যেমন সময় নিয়ে সাজেন, সাজছেন আজও। কিন্তু আজ তার গায়ে কোনো পোশাক নেই, নেই এক টুকরো সুতোও- এ প্লেইন বিউটি উইথআউট ক্লথ!
ধক করে উঠল মাজবুর ফাকিরের বুকের ভেতরটা। বিছানায় বসেই তিনি কিছুটা শব্দ করে বললেন, ‘রুবিতা, এটা কী করছো তুমি!’
গ্রীবা সামান্য না ঘুরিয়েই রুবিতা বললেন, ‘কেন, কী করছি আমি?’ রুবিতার গলার স্বরে প্রচ্ছন্ন অবহেলা, অবজ্ঞাও, ‘রূপচর্চা জীবনের একটা অংশ, এ কথাটা এর আগেও তোমাকে বলেছি, আজও বলছি। মাইন্ড ইট।’ ‘না না, ওটা আমি অস্বীকার করছি না। কিন্তু তোমার শরীরে কোনো কাপড়-চোপড় নেই কেন!’ কাঁপা কাঁপা গলা মাজবুর ফাকিরের।
শ্লথগতিতে একটু ঘুরে দাঁড়ালেন রুবিতা রহমান। চোখ কুঁচকে ফেললেন, সঙ্গে কপালও। প্রসাধনে ঢাকা পুরো চেহারাটায় ভাঁজ পড়ার আগেই সচেতন হয়ে উঠলেন তিনি। চোখ-কপাল সামলে নিয়ে প্রলম্বিত ভঙ্গিতে বললেন, ‘মা-নে!’
‘এ ঘরে অবশ্য আমি ছাড়া কেউ নেই।’ ঘরের চারপাশটা একবার দেখে নিলেন মাজবুর ফাকির, ‘দরজা-জানালাও বন্ধ। তাই বলে একেবারে ন্যাংটো হয়ে সাজতে শুরু করে দিলে!’
‘কী! অসভ্যর মতো কথা বলছো!’ আয়নায় নিজেকে দেখে নিয়ে কিছুটা চিৎকার করে উঠলেন রুবিতা রহমান, ‘দিনে দিনে তোমার কাণ্ডজ্ঞান লোপ পাচ্ছে নাকি ফাকির। পুরো মাতালের মতো কথা বলছো তুমি!’
মাজবুর ফাকির টান টান করে ফেললেন চোখ দুটো। ঝাপসা কিংবা অস্বচ্ছ কিছু দেখছেন না তিনি। তবুও। চোখ দুটো আরও টান করে ঘরের কোনার দিকে তাকালেন ভালো করে। না, তিনি যা দেখছেন, তা সত্য দেখছেন। কোনো সমস্যা নেই, কোনো ভুল নেই-সম্পূর্ণ সুতোবিহীন তার স্ত্রী, দ্বিধাহীন শরীরে বিলুপ্ত আবরণ!
সাজতে শুরু করেছেন আবার রুবিতা রহমান। মনোযোগ দিয়ে, পুঙ্খানুপুঙ্খানো প্রসাধনের প্রলেপে। পলকহীন মাজবুর ফাকির। তিনি বুঝতে পারছেন না তার স্ত্রী হঠাৎ এমন উন্মুক্ত কেন! স্বামীর কিংকর্তব্যবিমূঢ়তা টের পেলেন তিনি। গ্রীবা সামান্য বাঁকিয়ে পাশ ফিরলেন। তাচ্ছিল্য আর অবজ্ঞার মিশেলে সেই চাহনীতে কিছু বলার আগেই মাজবুর ফাকির বললেন, ‘সম্ভবত আমি ভুল দেখছি না, রুবিতা।’
সম্পূর্ণ ঘুরে দাঁড়ালেন এবার রুবিতা রহমান। উপরের ঠোঁটটা রাঙানো হয়েছে তার, নিচেরটা এখনো বাকি। সেই অবস্থাতেই দুজনের দূরত্বের মাঝখানে এসে কিছুটা থমকে দাঁড়ালেন। তারপর নিজের শরীরটা নিজে একবার পর্যবেক্ষণ করে বললেন, ‘এবার কী মনে হচ্ছে তোমার?’ স্ত্রীকে দিব্যি ন্যাংটোই দেখছেন তিনি, তবুও চোখ দুটো মেলে ধরলেন আরও। দ্বিধা, বিব্রতা, সংকোচ সব একসঙ্গে এসে ঠাঁই নিল অবয়বে। চোখ-মুখে সেসব নিয়েই তিনি বললেন, ‘সত্যি বলছি, তোমার শরীরে কোনো কাপড় নেই, একদম নেই। সম্পূর্ণ খালি গা তুমি!’
নিজের শরীরে লেপ্টে থাকা অ্যানডি কটন শাড়িটার আঁচল হাতে নিলেন রুবিতা রহমান। আরও একটু এগিয়ে এলেন স্বামীর দিকে। আঁচলটা মেলে ধরলেন আরও প্রশস্ত করে, ‘এটা কী?’
কিছু বলেন না মাজবুর ফাকির। চোখ দুটো আগের মতোই আধা বিস্ফোরিত রেখেছেন তিনি। বিছানা থেকে নামলেন সেই অবস্থাতেই। ঘোর লাগা অবয়বে, অবিন্যস্ত পায়ে, এগিয়ে গেলেন সামনের দিকে। উঁচু করে রাখা স্ত্রীর হাতের দিকে হাত বাড়ালেন। ঝুলে থাকা শাড়ির আঁচলটার স্পর্শ পেতেই চমকে উঠলেন বেশ। একটু কুঁজো হয়ে ভালো করে তাকালেন নিচের দিকে। পার্পেল রঙের শাড়িটা এবার স্পষ্ট দেখতে পেলেন তিনি। সেই দেখাটাকে আরও প্রমাণিত করার জন্য কাঁধে হাত রাখলেন রুবিতা রহমানের। না, শরীরটা সুতোবিহীন না, বরং সুতোয় বোনা কয়েক প্রস্ত আবরণ রয়েছে তার গায়ে।
শক খাওয়া মানুষের মতো কিছুটা ছিটকে সোজা হলেন মাজবুর ফকির। স্ত্রীর চোখের দিকে তাকালেন। বিব্রত হলেন তিনি সঙ্গে সঙ্গে। রুবিতা রহমানের চোখে-মুখে আগের মতোই অবজ্ঞা, অবহেলা, তুচ্ছতা। ঠোঁটের কোনায় কেমন যেন এক টুকরো রূঢ়তাও ঝুলে আছে স্পষ্টভাবে।
ড্রেসিং টেবিলের দিকে আবার এগিয়ে গেলেন রুবিতা রহমান। রূপচর্চায় মনোযোগী হলেন আবার। কয়েক সেকেন্ড সেদিকে তাকিয়ে থেকে মাজবুর ফাকির ফিরে এলেন বিছানায়। ঘুমমুক্ত হয়ে গেছে চোখ দুটো অনেক আগেই। তবুও কেমন যেন ঝিঁমুনি এসে ঠাঁই নিয়েছে শরীরে। মাথাটাও গরম হয়ে উঠেছে। দোদুল্যমান মনে হচ্ছে সামনের সব কিছু।
২.
নাশতার টেবিলে আসতে নিয়েই দ্বিতীয়বারের মতো ধাক্কা খেলেন মাজবুর ফাকির। ডান পাশের চেয়ারে তার ছেলে বসে আছে। সদ্য নবম শ্রেণিতে পা দেওয়া ছেলেটা থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট পরে থাকে বাসায়, উপরে গোল গলা টি-শার্ট। আজ ওগুলোর একটাও নেই!  
ডাইনিং রুমের দরজার কাছেই দাঁড়িয়ে পড়লেন মাজবুর ফাকির। অবয়বে ইতস্ততা, আচরণে দ্বিধা। ব্যাপারটা খেয়াল করলেন রুবিতা রহমান। চিরাচরিত কপাল কুঁচকে তিনি বললেন, ‘কী ব্যাপার, ওখানে দাঁড়িয়ে পড়লে যে!’
‘এমনি’। দুর্বল স্বর মাজবুর ফাকিরের।
‘এমনি মানে কী?’ ঝাঁঝালো গলায় বললেন রুবিতা রহমান, ‘ওটা কোনো দাঁড়িয়ে থাকার জায়গা হলো!’
বিব্রত ভঙ্গি কাটাতে এদিক-ওদিক তাকালেন মাজবুর ফাকির। আশপাশে কিছু একটা খোঁজার পর বললেন, ‘পলিন কোথায়?’
‘তোমার মেয়ে সকালে ঘুম থেকে ওঠে নাকি! টেনে তুলতে হয় ওকে। ও আসছে। নাশতা সেরে ভার্সিটি যাবে।’
বুকের ভেতরটা আবার ধক করে উঠল মাজবুর ফাকিরের। মেয়ের দিকে চোখ যাওয়ার আগেই সরে পড়তে হবে তাকে। সম্ভবত মেয়েকেও আবরণহীন দেখবেন তিনি। ব্যাপারটা যেমন লজ্জার হবে, অনুশোচনারও হবে তেমন। বুকের ভেতরটা কুঁকড়ে থাকবে সব সময়। অপরাধবোধে ছেয়ে যাবে সমস্ত আচরণ। বেশভূষাহীন একটা মেয়ে হাঁটাচলা করছে একজন বাবার সামনে, ব্যাপারটা কেমন অশোভনীয় হবে না!
ঘুরে চলে যাচ্ছিলেন মাজবুর ফাকির। আড়চোখে সেটা দেখলেন রুবিতা রহমান, ‘কোথায় যাচ্ছো আবার? এখনই বাইরে যেতে হবে আমাকে। জরুরি একটা মিটিং আছে আজ।’
‘ভালো লাগছে না, খেতেও ইচ্ছে করছে না।’
‘ডাক্তার তোমাকে প্রতিদিন সকালের নাশতা করতে বলেছেন ঠিকমতো। রাতে এটা-ওটা গিলে সকালে দেরি করে ওঠার অভ্যাস তোমার। নাশতা না সেরে একেবারে দুপুরের খাবার খাও তুমি! ডাক্তার বারণ করেছেন এসব।’
একটু থমকে দাঁড়ালেন মাজবুর ফাকির। কী একটা ভেবে বললেন, ‘নাশতাটা বেডরুমে পাঠিয়ে দাও।’ আর কোনো কথা না বলে দ্রুত বেডরুমে চলে এলেন তিনি। দরজা চাপিয়ে বিছানায় বসেই দু-হাত দিয়ে চেপে ধরলেন মাথাটা- এমন হচ্ছে কেন তার? এসব তিনি কী দেখছেন! এভাবে চলতে থাকলে তো চোখ বুঁজে থাকতে হবে তাকে সারাক্ষণ। কিংবা ঘরবাড়ি ছেড়ে কোথাও চলে যেতে হবে চুপচাপ।
দরজায় নক হতেই চমকে উঠলেন মাজবুর ফাকির, ‘কে’?
‘ড্যাড, আমি।’
মেয়ের গলা শুনে কিছুটা লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়ালেন মাজবুর ফাকির। দ্রুত দরজার কাছে গিয়ে লক লাগিয়ে বললেন, ‘কী ব্যাপার, মা?’
‘দরজার লক লাগিয়ে দিলে কেন, ড্যাড?’
‘একটা সমস্যা আছে, মা।’
‘কী সমস্যা?’
‘আপাতত বলা যাবে না।’
কিছুক্ষণ থেমে রইল পলিন। তারপর কিছুটা ম্লান গলায় বলল, ‘তুমি নাকি নাশতা করবে না, ড্যাড।’
‘হ্যাঁ’
‘কেন?’
‘শরীরটা ভালো লাগছে না।’
‘ওকে, ড্যাড।’
বিছানায় এসে বসলেন মাজবুর ফাকির। মাথাটা চেপে আসছে চারপাশ থেকে। দপদপ করছে কপালের দু-পাশ। অস্থির হয়ে উঠছে বুকের ভেতরটা। কোনো কিছুই ভালো লাগছে না।
দরজায় শব্দ হলো আবার। আবার চমকে উঠলেন মাজবুর ফাকির। দ্রুত দরজার কাছে গিয়ে বললেন, ‘কে’?
‘আমি’।
‘রুবিতা’? দরজা খুলে দিলেন মাজবুর ফাকির। রুবিতা রহমান রুমে ঢুকেই ভ্রৃ কুঁচকালেন, ‘ভেতর থেকে দরজায় লক করে রেখেছিলে কেন তুমি!’  
হাসার চেষ্টা করলেন মাজবুর ফাকির, ‘এমনি’।
দৃষ্টি সন্দেহ-ছোঁয়া হলো রুবিতা রহমানের। রুমের চারপাশটা একবার দেখে আবার স্বামীর দিকে তাকালেন, ‘কোনো সমস্যা ফিল করছ নাকি তুমি? তোমাদের পার্টিতে তো অনেক ঝামেলা চলছে এখন। পেপার পত্রিকায় এটা-ওটা লিখছে। সেখানে তোমার নামও আছে।’
‘না না, ওসব কিছু না। কোনো সমস্যা নেই আমার।’
‘কিন্তু সকাল থেকে এখন পর্যন্ত যা দেখা যাচ্ছে তাতে তোমাকে সমস্যাগ্রস্তই মনে হচ্ছে আমার কাছে।’
‘না না, সব ঠিক আছে। অল ওকে।’
দরজায় শব্দ হলো আবার। পলিন কিছুটা উদগ্রিব হয়ে বলল, ‘মাম, আসব? ভার্সিটিতে যাব, দেরি হয়ে যাচ্ছে।’
পলিনের গলা শুনে দ্রুত বাথরুমের দিকে পা বাড়ালেন মাজবুর ফাকির। ঝটকা দিয়ে দরজা খুলে ঝটকা দিয়েই বন্ধ করলেন সেটা। তারপর শব্দ করে একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে বললেন, ‘আল্লারে, জীবনে অনেক বিপদে পড়েছি, কিন্তু এটা কোন ধরনের বিপদে ফেললা তুমি আমাকে, মাওলা!’
৩.
বাসা থেকে বের হতে নিতেই থমকে দাঁড়ালেন মাজবুর ফাকির। স্ত্রী, ছেলেমেয়ে বাইরে গেছে। কাজের মেয়ে ছাড়া বাসায় আর কেউ নেই। দরজা বন্ধ করার জন্য ডাইনিং টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে আছে মেয়েটা। সালোয়ার-কামিজ পরে আছে সে, পায়ে এক জোড়া স্যান্ডেলও আছে তার।
মাথা এদিক-ওদিক করলেন ফাকির সাহেব। কোনো কিছু কোনো কিছুতে মিলছে না- স্ত্রী আর ছেলেকে ন্যাংটো দেখেছেন তিনি, কিন্তু কাজের মেয়েটাকে দিব্যি কাপড় পরা অবস্থায় দেখছেন। কেন? ব্যাপারটা কিছুতেই মিলছে না, মেলানো যাচ্ছে না।
তার মাথা ঝাঁকানো দেখে কাজের মেয়েটা একটু এগিয়ে এসে বলল, ‘কাক্কু, আপনার কি মাথা ধরিছে?’
কাক্কু শব্দটা শুনলে ভীষণ রাগ হয় মাজবুর ফাকিরের। কিন্তু এখন হলো না। মাস দুয়েক আগে গ্রাম থেকে আনা হয়েছে এই মেয়েটাকে। মুখে এখনো গ্রামের ভাষাই রয়ে গেছে।
‘না, মাথা ধরেনি আমার।’
‘তাহলে ওমন মাথা ঝাকানছে যে?’
কোনো জবাব দিলেন না মাজবুর ফাকির। মেয়েটার দিকে কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে থেকে বের হয়ে এলেন বাসা থেকে।
রাস্তায় অসংখ্য মানুষ। সবার শরীরে পোশাক, কোনো মানুষই উন্মুক্ত নেই, এমনকি আধা উন্মুক্তও। দিব্যি সবাই যে যার কাজে ব্যস্ত। কেবল তিনি ব্যস্ত হতে পারছেন না। সকাল থেকে কী যেন আটকে আছে মাথার ভেতর। বের করতে পারছেন না সেটা কোনোভাবেই। ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে রাস্তার কোনায়। হাত দিয়ে ইশারা করলেন তিনি তাকে। না, তিনি আজ বাইরে যাবেন না। পার্টি অফিসে জরুরি একটা মিটিং আছে, যেতে ইচ্ছে করছে না আজ সেখানেও।
৪.
সন্ধ্যায় মাজবুর ফাকির হঠাৎ অনুভব করলেন-আশপাশের সব কিছু কেমন যেন পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে তার কাছে। দেয়ালের ওপাশে কী আছে তিনি তা দেখতে পাচ্ছেন। এমনকি পাশের বিল্ডিংয়ের কী ঘটছে, দেখতে পাচ্ছেন সেটাও। একেবারে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন সব কিছু।
দু-হাত দিয়ে নিজের দু-চোখ ঢেকে ফেললেন মাজবুর ফকির। দু-পা গুটিয়ে বিছানার উপর বসে রইলেন অনেকক্ষণ। হঠাৎ মনে হলো, দু-হাতের হাড়-মাংস-চামড়া ভেদ করেও দেখতে পাচ্ছেন তিনি। চোখ আরও জোরে ঠেসে ধরলেন দু-হাত দিয়ে। না, অস্বস্তিটা যাচ্ছে না কিছুতেই। উপুর হয়ে, বিছানায় নাক-মুখ ঠেকিয়ে, দু-হাত দিয়ে চোখের দু-পাশ চেপে ধরলেন তিনি এবার। বুঁজে ফেললেন চোখ দুটোও। কোনো কিছু দেখতে চান না; কোনো কিছু চোখের সামনে ভেসে উঠুক, চান না এটাও।
দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকলেন রুবিতা রহমান। স্বামীকে এভাবে উপুর হয়ে বসে থাকতে দেখে চমকে উঠলেন তিনি। কিছুটা এগিয়ে এসে বিরক্ত গলায় বললেন, ‘এভাবে উপুর হয়ে বসে থাকার মানে কী?’
নতজানু ভঙ্গিতেই মাজবুর ফাকির বললেন, ‘আমি কোনো কিছু দেখতে চাই না, রুবিতা।’
‘তোমাকে সব কিছু দেখতে কে বলেছে?’   
‘কেউ বলেনি। কিন্তু সব কিছু দেখতে পাচ্ছি আমি।’ মাজবুর ফাকির কথা শেষ করেই মাথাটা উঁচু করলেন একটু। রুবিতা রহমানের দিকে চোখ পরতেই শব্দ করে বললেন, ‘তুমি এখনো ন্যাংটো হয়ে আছো! তোমার গায়ের কাপড়-চোপড় কই?’
চোখ বড় বড় করে ফেললেন রুবিতা রহমান। ধীর পায়ে এগিয়ে গিয়ে বসে পড়লেন স্বামীর পাশে। আলতো হাত রাখলেন তার মাথায়। কী যেন চিন্তা করলেন কিছুক্ষণ। তারপর উঠে গিয়ে ফোন করলেন ডাক্তারকে।
৫.
ডাক্তার শাহরিয়ার মামুন মাজবুর ফাকিরের একেবারে সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘চোখ নিচু করে রাখবেন না, প্লিজ। আপনি আমার দিকে তাকান।’
‘না, আমি তাকাতে পারব না। আপনার পাশে আমার স্ত্রী, ছেলেমেয়ে দাঁড়িয়ে আছে, ওদের সরে যেতে বলুন। আমার অসুবিধা হচ্ছে।’
হাত দিয়ে ইশারা করলেন ডাক্তার তাদের। রুমের বাইরে চলে গেল তারা। ‘এবার আমার দিকে তাকান। বাইরে চলে গেছেন সবাই।’ মাজবুর ফাকিরের আরও একটু সামনে এসে বললেন ডাক্তার। ধীরে ধীরে মাথা উঁচু করলেন মাজবুর ফাকির। ডাক্তার শাহরিয়ার মামুন হাসতে হাসতে বললেন, ‘কী, আমাকে কি ন্যাংটো দেখা যাচ্ছে?’
মাজবুর ফাকির মাথা এদিক-ওদিক করলেন।
‘আমাকে ন্যাংটো দেখা যাচ্ছে না, কিন্তু আপনার স্ত্রী, ছেলেমেয়েকে ন্যাংটো দেখছেন আপনি!’ ডাক্তার শাহরিয়ার মামুন একটু থামলেন, ‘ব্যাপারটা কেমন গোলমেলে মনে হচ্ছে না!’
‘হ্যাঁ, গোলমেলেই মনে হচ্ছে।’
‘আপনি বরং একটা কাজ করুন-আপনার এই রুম থেকে বের হওয়ার দরকার নেই কয়দিন। কিছু ওষুধ লিখে দিচ্ছি, ঘুম একটু একটু বেশি হবে। আশা করি তিন-চার দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে সব কিছু।’
‘ডাক্তার।’ একটু থামলেন মাজবুর ফাকির, ‘ভালো তো লাগছেই না, আমার কেমন যেন ভয়ও করছে।’
 কিছুটা শব্দ করে হেসে উঠলেন ডাক্তার শাহরিয়ার মামুন, ‘আপনাকে দেখে এই এলাকার সবাই ভয় পায়, আর আপনি সেই নিজেই পাচ্ছেন ভয়!’ কাঁধে হাত রাখেন মাজবুর ফাকিরের, ‘বেশি চিন্তা করবেন না, সব ঠিক হয়ে যাবে।’
৬.
রাতে ভালো ঘুম হয়নি মাজবুর ফাকিরের। সকালের দিকে একটু ঘুম আসতেছিল, কিন্তু বিছানায় লাফ দিয়ে উঠে বসেন তিনি হঠাৎ। গায়ের সব কাপড় খুলে ফেলে চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘আমার এতো গরম লাগছে কেন! আমার এতো গরম লাগছে কেন!’ স্বামীর  চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় রুবিতা রহমানের। দ্রুত স্বামীকে চেপে ধরে বলেন, ‘কী হয়েছে তোমার?’
‘আমার এতো গরম লাগছে কেন?’
‘কই গরম লাগছে তোমার। এসির বাতাসে রুম তো ঠাণ্ডা হয়ে গেছে!’
‘আমার তবুও গরম লাগছে রুবিতা। দম বন্ধ হয়ে আসছে এই রুমের ভেতর। আমি বাইরে যাব।’ বিছানা থেকে দ্রুত নেমে পড়েন মাজবুর ফাকির। রুবিতা রহমান বাধা দেওয়ার আগেই দরজা খুলে বের হয়ে পড়েন তিনি বাইরে। বাসার বাইরের গেট খুলে দৌড়াতে থাকেন চার রাস্তার মোড়ের দিকে। পেছনে পেছনে রুবিতা রহমান, ড্রাইভার, দারোয়ান- সবাই।
চার রাস্তার মোড়ের মাঝখানে এসে হঠাৎ থমকে দাঁড়ান মাজবুর ফাকির। ট্রাফিক পুলিশের মতো হাত নাড়তে থাকেন তিনি দ্রুত। আশপাশে মানুষ জড়ো হয়ে গেছে। চারপাশের বিল্ডিংয়ের জানালা খুলে উৎসুক্য হয়ে তাকিয়ে আছে অনেকে। একটু পর অনেকগুলো টিভি চ্যানেলের গাড়ি এসে জড়ো হলো রাস্তার একপাশে। তারা সবাই দেখতে পেলেন- সম্পূর্র্ণ কাপড়হীন হয়ে এই সময়ের জাঁদরেল নেতা মাজবুর ফাকির হাত-পা নাড়ছেন পাগলের মতো। আর মাজবুর ফাকির দেখতে পেলেন মাত্র কয়েকটি মানুষকে, চারপাশে এতো মানুষ তার মাঝে মাত্র এগারজনকে। তাকে সমালোচনা করায়, তার বিরুদ্ধে কথা বলায় যে কয়জনকে তিনি তার লোক দিয়ে ন্যাংটো করে রাস্তায় ঘুরিয়েছিলেন, সেই এগারজনকে।
কয়দিন আগে শেষের জনকে ন্যাংটো করে তিনি বলেছিলেন, আর একজন হলেই একডজন হবে। সবার ন্যাংটো ছবি তোলা আছে। একডজন পুরো হলেই সবার ছবি দিয়ে একটা পোস্টার বানাবেন তিনি। নিচে লেখা থাকেবে- ওরা বারোজন। সেই পোস্টার সারা শহরে টাঙিয়ে দেবেন তিনি ইচ্ছেমতো।
সেই পোস্টারের জন্যই কিনা, চারপাশ থেকে কেউ ক্যামেরায়, কেউ মোবাইলে টপটপ করে ছবি তুলতে লাগলেন দিগম্বর নেতা মাজবুর ফাকিরের।

এই বিভাগের আরও খবর
বেদনা সেলাই
বেদনা সেলাই
আমি নদী অথবা নদীই আমি
আমি নদী অথবা নদীই আমি
প্রত্যাশা
প্রত্যাশা
নীলকবুতর
নীলকবুতর
দহনের সন্তরণ
দহনের সন্তরণ
অপ্রাপ্তি স্বীকার
অপ্রাপ্তি স্বীকার
ধ্বংসের পূর্বাপর
ধ্বংসের পূর্বাপর
চাঁদবিলাপ
চাঁদবিলাপ
তোমার যত চাঞ্চল্য
তোমার যত চাঞ্চল্য
বাঁধাকপি
বাঁধাকপি
শালবন বসন্তে
শালবন বসন্তে
অতিথি
অতিথি
সর্বশেষ খবর
চুরির গরু বিক্রির জন্য ট্রাক ভাড়া, কৌশলে দুই চোরকে ধরিয়ে দিলেন চালক
চুরির গরু বিক্রির জন্য ট্রাক ভাড়া, কৌশলে দুই চোরকে ধরিয়ে দিলেন চালক

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দেশে ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনের করোনা শনাক্ত

১৯ মিনিট আগে | হেলথ কর্নার

যমুনা সেতু দিয়ে একদিনে ৩১ হাজার যানবাহন পারাপার
যমুনা সেতু দিয়ে একদিনে ৩১ হাজার যানবাহন পারাপার

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঈদুল আজহায় মৌলভীবাজার কারাগারে ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন
ঈদুল আজহায় মৌলভীবাজার কারাগারে ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন

২১ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

মাগুরায় বিসিআইসি বাফার গুদামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
মাগুরায় বিসিআইসি বাফার গুদামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সেচ পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়ে প্রাণ গেল দীন মোহনের
সেচ পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়ে প্রাণ গেল দীন মোহনের

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বন্যাদুর্গত এলাকার জন্য খাদ্য বরাদ্দ বাড়ানো হবে : খাদ্য উপদেষ্টা
বন্যাদুর্গত এলাকার জন্য খাদ্য বরাদ্দ বাড়ানো হবে : খাদ্য উপদেষ্টা

৩৪ মিনিট আগে | জাতীয়

সোনারগাঁয়ে রাস্তার পাশ থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে রাস্তার পাশ থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মাতামুহুরী নদী থেকে পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার
মাতামুহুরী নদী থেকে পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভারতে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজ থেকে ঝাঁপ দেয়া যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার, দাবি রিপোর্টে
ভারতে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজ থেকে ঝাঁপ দেয়া যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার, দাবি রিপোর্টে

৪৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডেঙ্গুতে বরিশালে নার্সিং শিক্ষার্থীসহ তিনজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে বরিশালে নার্সিং শিক্ষার্থীসহ তিনজনের মৃত্যু

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাগরে জেলের জালে ধরা পড়লো বিরল প্রজাতির চারটি ‘টিয়া মাছ’
সাগরে জেলের জালে ধরা পড়লো বিরল প্রজাতির চারটি ‘টিয়া মাছ’

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ওয়ানডে দলের নতুন অধিনায়ক মিরাজ
ওয়ানডে দলের নতুন অধিনায়ক মিরাজ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় পাকিস্তানের শোক
ভারতের উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় পাকিস্তানের শোক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাইলট ‘মে-ডে কল’ পাঠিয়েছিল — কী এই বিপদসংকেত?
পাইলট ‘মে-ডে কল’ পাঠিয়েছিল — কী এই বিপদসংকেত?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে প্লেন দুর্ঘটনায় হতবাক ব্রিটিশ রাজা চার্লস
ভারতে প্লেন দুর্ঘটনায় হতবাক ব্রিটিশ রাজা চার্লস

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় জামায়াত আমিরের শোক
ভারতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় জামায়াত আমিরের শোক

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফরিদপুরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
ফরিদপুরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় নদীতে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার
গাইবান্ধায় নদীতে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রিমান্ড শেষে আওয়ামী লীগের আরও দুজন কারাগারে
রিমান্ড শেষে আওয়ামী লীগের আরও দুজন কারাগারে

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ
ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় ১৭ ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সস্প্রীতি উৎসব
বগুড়ায় ১৭ ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সস্প্রীতি উৎসব

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জুলাই আন্দোলনে আহত-নিহতদের পাশে থাকবে বিএনপি’
‘জুলাই আন্দোলনে আহত-নিহতদের পাশে থাকবে বিএনপি’

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় ভারতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনা
প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় ভারতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার পর বোয়িংয়ের শেয়ারে বড় ধস
উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার পর বোয়িংয়ের শেয়ারে বড় ধস

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভারতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় তারেক রহমানের শোক
ভারতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় তারেক রহমানের শোক

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাঙ্গুনিয়ায় সেলুন থেকে তরুণের মরদেহ উদ্ধার
রাঙ্গুনিয়ায় সেলুন থেকে তরুণের মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভারতে প্লেন দুর্ঘটনায় বিশ্বনেতাদের শোক
ভারতে প্লেন দুর্ঘটনায় বিশ্বনেতাদের শোক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধান উপদেষ্টা
রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নড়াইলে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী নিহত
নড়াইলে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
পাশে থাকার ফের সফ্‌ট মেসেজ সেনাবাহিনীর
পাশে থাকার ফের সফ্‌ট মেসেজ সেনাবাহিনীর

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এসএসসির ফল প্রকাশের সময় জানালেন ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান
এসএসসির ফল প্রকাশের সময় জানালেন ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের সম্পদ জব্দ করল যুক্তরাজ্যের জাতীয় অপরাধ সংস্থা
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের সম্পদ জব্দ করল যুক্তরাজ্যের জাতীয় অপরাধ সংস্থা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে বিধ্বস্ত সেই প্লেনে ছিলেন ৫৩ ব্রিটিশ নাগরিক: বিবিসি
ভারতে বিধ্বস্ত সেই প্লেনে ছিলেন ৫৩ ব্রিটিশ নাগরিক: বিবিসি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের আহমেদাবাদে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, বহু হতাহতের আশঙ্কা
ভারতের আহমেদাবাদে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, বহু হতাহতের আশঙ্কা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তুরস্ক থেকে ৪৮টি যুদ্ধবিমান কিনছে ইন্দোনেশিয়া
তুরস্ক থেকে ৪৮টি যুদ্ধবিমান কিনছে ইন্দোনেশিয়া

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'ঘেউ ঘেউ করার জন্য ইউরোপ টোকাইয়া মাত্র ২০টা লোক পাইলো!'
'ঘেউ ঘেউ করার জন্য ইউরোপ টোকাইয়া মাত্র ২০টা লোক পাইলো!'

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

করোনার চোখ রাঙানি, যাদের টিকা নিতে বলা হচ্ছে
করোনার চোখ রাঙানি, যাদের টিকা নিতে বলা হচ্ছে

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরব আমিরাতে ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা!
আরব আমিরাতে ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা!

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীনের অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাছাকাছি আরাকান আর্মি
চীনের অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাছাকাছি আরাকান আর্মি

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্ষমতাচ্যুত হওয়া থেকে বেঁচে গেলেন নেতানিয়াহু
ক্ষমতাচ্যুত হওয়া থেকে বেঁচে গেলেন নেতানিয়াহু

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপে উজবেকিস্তান, খেলোয়াড়দের বিলাসবহুল গাড়ি উপহার
বিশ্বকাপে উজবেকিস্তান, খেলোয়াড়দের বিলাসবহুল গাড়ি উপহার

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চীনা শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে পড়ার শর্ত হিসেবে খনিজ সরবরাহ চাইলেন ট্রাম্প
চীনা শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে পড়ার শর্ত হিসেবে খনিজ সরবরাহ চাইলেন ট্রাম্প

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬: এখন পর্যন্ত কোয়ালিফাই করেছে যারা
ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬: এখন পর্যন্ত কোয়ালিফাই করেছে যারা

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের দেশে ফিরতে বাধা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তারেক রহমানের দেশে ফিরতে বাধা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্লেন ট্র্যাজেডি আমাদের হতবাক করেছে: মোদি
প্লেন ট্র্যাজেডি আমাদের হতবাক করেছে: মোদি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত : ২৪২ আরোহীর সবাই নিহত
ভারতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত : ২৪২ আরোহীর সবাই নিহত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হোস্টেলের ওপর প্লেন বিধ্বস্তে পাঁচ মেডিকেল শিক্ষার্থী নিহত
হোস্টেলের ওপর প্লেন বিধ্বস্তে পাঁচ মেডিকেল শিক্ষার্থী নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের হামলার আশঙ্কায় বাগদাদের দূতাবাস থেকে কর্মী সরালো যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের হামলার আশঙ্কায় বাগদাদের দূতাবাস থেকে কর্মী সরালো যুক্তরাষ্ট্র

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে বিমান বিধ্বস্ত: ‘জরুরি সংকেত’ পাঠিয়েছিলেন পাইলট
ভারতে বিমান বিধ্বস্ত: ‘জরুরি সংকেত’ পাঠিয়েছিলেন পাইলট

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত : নিহতের সংখ্যা জানা গেল
ভারতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত : নিহতের সংখ্যা জানা গেল

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩ ইস্যুতে ভূমিকা রাখবে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক
৩ ইস্যুতে ভূমিকা রাখবে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নাট্যকার সমু চৌধুরীর গামছা পরা ছবি ভাইরালের বিষয়ে যা জানা গেল
নাট্যকার সমু চৌধুরীর গামছা পরা ছবি ভাইরালের বিষয়ে যা জানা গেল

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ত্রিভুজ প্রেম: চিকিৎসক, মা-বাবাসহ ৬ জনের হাতে খুন সরিফুল
ত্রিভুজ প্রেম: চিকিৎসক, মা-বাবাসহ ৬ জনের হাতে খুন সরিফুল

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিকিৎসকদের হোস্টেলের ওপর ভেঙে পড়েছে প্লেনটি
চিকিৎসকদের হোস্টেলের ওপর ভেঙে পড়েছে প্লেনটি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লর্ডসে ইতিহাস গড়লেন স্টিভেন স্মিথ
লর্ডসে ইতিহাস গড়লেন স্টিভেন স্মিথ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ‘সম্ভাব্য’ কারণ নিয়ে যা জানা গেল
ভারতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ‘সম্ভাব্য’ কারণ নিয়ে যা জানা গেল

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে প্রবেশে বাধা, বিপাকে বাংলাদেশের দাবাড়ু রানী হামিদ
ভারতে প্রবেশে বাধা, বিপাকে বাংলাদেশের দাবাড়ু রানী হামিদ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রথমবারের মতো বিধ্বস্ত হলো বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার
প্রথমবারের মতো বিধ্বস্ত হলো বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রশংসায় ভাসছেন ভারতের তরুণ অধিনায়ক গিল
প্রশংসায় ভাসছেন ভারতের তরুণ অধিনায়ক গিল

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডন বৈঠকেই সমাধান!
লন্ডন বৈঠকেই সমাধান!

প্রথম পৃষ্ঠা

লন্ডন গেলেন আমীর খসরু
লন্ডন গেলেন আমীর খসরু

প্রথম পৃষ্ঠা

মাদকের বিপরীতে যাচ্ছে নিত্যপণ্য
মাদকের বিপরীতে যাচ্ছে নিত্যপণ্য

পেছনের পৃষ্ঠা

নতুন রূপে করোনার হানা
নতুন রূপে করোনার হানা

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতিতে পলিটিক্‌স্‌ ঢুকে গেছে
রাজনীতিতে পলিটিক্‌স্‌ ঢুকে গেছে

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ঈদ-পরবর্তী হৃদরোগীদের পরামর্শ
ঈদ-পরবর্তী হৃদরোগীদের পরামর্শ

স্বাস্থ্য

উৎসবে ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
উৎসবে ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস

স্বাস্থ্য

বিএনপির দুর্গ বগুড়ায় নির্বাচনি হাওয়া
বিএনপির দুর্গ বগুড়ায় নির্বাচনি হাওয়া

নগর জীবন

অর্থ পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করলেন গভর্নর
অর্থ পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করলেন গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

গণতন্ত্রের পথ দেখাবে ইউনূস-তারেক বৈঠক?
গণতন্ত্রের পথ দেখাবে ইউনূস-তারেক বৈঠক?

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ
ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ

নগর জীবন

বিশ্বকাপ নিশ্চিত এশিয়ার ছয় দেশের
বিশ্বকাপ নিশ্চিত এশিয়ার ছয় দেশের

মাঠে ময়দানে

মার্কিন সিনেটে বাংলাদেশ নিয়ে পরিকল্পনা
মার্কিন সিনেটে বাংলাদেশ নিয়ে পরিকল্পনা

প্রথম পৃষ্ঠা

আমির খানের কাছে তিনবার পরীক্ষা দিয়েছি
আমির খানের কাছে তিনবার পরীক্ষা দিয়েছি

শোবিজ

কোনো কিছুই নেই সরকারের নিয়ন্ত্রণে
কোনো কিছুই নেই সরকারের নিয়ন্ত্রণে

পেছনের পৃষ্ঠা

হামজাদের নিয়ে ভারতীয় ফুটবলে অস্বস্তি
হামজাদের নিয়ে ভারতীয় ফুটবলে অস্বস্তি

মাঠে ময়দানে

ভুল ট্যাকটিসে হারল বাংলাদেশ
ভুল ট্যাকটিসে হারল বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

সাগরে মৃত্যুমিছিল
সাগরে মৃত্যুমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

ভালোমন্দে ঈদের সিনেমা
ভালোমন্দে ঈদের সিনেমা

শোবিজ

যুক্তরাজ্যের সম্পত্তি জব্দ সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামানের
যুক্তরাজ্যের সম্পত্তি জব্দ সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামানের

প্রথম পৃষ্ঠা

কত টাকার টিকিট বিক্রি হলো
কত টাকার টিকিট বিক্রি হলো

মাঠে ময়দানে

মারমুখী অবস্থানে ছাত্ররাজনীতি
মারমুখী অবস্থানে ছাত্ররাজনীতি

পেছনের পৃষ্ঠা

পর্যটন স্পটগুলোতে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস
পর্যটন স্পটগুলোতে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস

নগর জীবন

কর্ণিয়ার জামদানি শাড়ি
কর্ণিয়ার জামদানি শাড়ি

শোবিজ

২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিল
২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিল

মাঠে ময়দানে

‘অপরাজিত সত্যজিৎ’-এ ববিতা
‘অপরাজিত সত্যজিৎ’-এ ববিতা

শোবিজ

আবুল হায়াতের আক্ষেপ
আবুল হায়াতের আক্ষেপ

শোবিজ

কাবরেরার দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন
কাবরেরার দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন

মাঠে ময়দানে

মেয়াদ বাড়ে, খনন শেষ হয় না
মেয়াদ বাড়ে, খনন শেষ হয় না

রকমারি নগর পরিক্রমা