শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০১৬

সুখরঞ্জন রায় : রবীন্দ্রনাথের কথাসাহিত্যের প্রথম সমালোচক

যতীন সরকার
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
সুখরঞ্জন রায় : রবীন্দ্রনাথের কথাসাহিত্যের প্রথম সমালোচক

ডক্টর সুকুমার সেন তাঁর ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস’ গ্রন্থের চতুর্থ খণ্ডের তৃতীয় সংস্করণে লিখেছিলেন—

‘আধুনিক বাঙ্গালা সাহিত্যের অগ্রণী সমালোচকদের মধ্যে সুখরঞ্জন রায় ছিলেন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন তিনি। তাঁহার কবিপ্রকৃতি ও অধ্যাপকসুলভ অনুসন্ধিৎসা এ কাজে তাঁহার প্রতিভাকে  উদ্দীপ্ত করিয়াছিল। রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস ও ছোটগল্পের আলোচনায় তিনিই সর্বপ্রথম প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। সে আলোচনা ধারাবাহিকভাবে ‘প্রতিভা’ পত্রিকায় (ঢাকা, ১৩১৮ সাল হইতে) প্রকাশিত। ‘মানসী ও মর্মবাণী,’ ‘প্রবাসী’, ভারতী,’ ‘বিচিত্রা’ প্রভৃতি পত্রিকায়ও প্রবন্ধ বাহির হইয়াছিল। রবীন্দ্রনাথের অন্যান্য রচনার এবং তাঁহার সামগ্রিক প্রতিভা বিশ্লেষণেও তিনি তত্পর ছিলেন। এই সমস্ত মূল্যবান প্রবন্ধগুলি পুস্তকাকারে প্রকাশের অপেক্ষায় আছে।... সেগুলির অপ্রকাশে থাকা বাঙ্গালা সাহিত্যের অগৌরবের কথা।’

সেই অগৌরব দূর করার দায়িত্বই নিজ হাতে তুলে নিয়ে সুখরঞ্জন পুত্র মিহিররঞ্জন রায় পিতার লেখা প্রবন্ধগুলোর যে সংকলন প্রকাশ করেছিলেন সেটিরই নাম— ‘রবীন্দ্রনাথ কাব্যের শিল্পসূত্র’ (ফাল্গুন ১৩৮৩)। নামটি সুখরঞ্জনের নিজের দেওয়া নয়। মিহিররঞ্জন জানিয়েছেন, ‘সংকলিত প্রবন্ধগুলি লেখার সময় এগুলি একত্রিত করে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করার সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা লেখকের ছিল না বলেই মনে হয়। প্রতিটি প্রবন্ধই তাই স্বয়ংসম্পূর্ণ করেই লেখা হয়েছে।’

তবু, বলতেই হবে, গ্রন্থটির নামকরণ হয়েছে অত্যন্ত সার্থক। ৩৮৮ পৃষ্ঠার সংকলন গ্রন্থটির তিনটি অংশ-‘কথা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ’, ‘কাব্যে ও নাট্যকাব্যে রবীন্দ্রনাথ’ এবং ‘পরিশিষ্ট’। এর মধ্যে ‘কথাসাহিত্যে রবীন্দ্রনাথই রয়েছে গ্রন্থের দুই তৃতীয়াংশ স্থান জুড়ে।

আমরা জানি : রবীন্দ্রনাথ বায়ান্ন বছর বয়সে, উনিশ শো তেরো সালে, নোবেল পুরস্কার পান। এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিলাভের আগে কবির ভাগ্যে তাঁর স্বদেশবাসীর নান্দীর বদলে নিন্দাই জুটেছে বেশি করে। বিদগ্ধ সাহিত্যরসজ্ঞদের মধ্যেও প্রায় কেউই তার প্রতিভার স্বীকৃতি জানাননি।

কেবল মোহিত চন্দ্র সেন আর অজিত কুমার চক্রবর্তী— এই দুজন সমালোচক রবীন্দ্রনাথের কাব্য সাহিত্য নিয়ে উল্লেখযোগ্য আলোচনার সূত্রপাত ঘটান। মোহিত চন্দ্র ‘কাব্যগ্রন্থ’ নাম দিয়ে রবীন্দ্রনাথের কবিতাসমূহের একটি সংকলন প্রকাশ করেন। সেই সংকলন গ্রন্থটিতে তিনি যে ভূমিকা সংযোজন করেছিলেন সেটিকেই রবীন্দ্র কাব্যের যথার্থ আলোচনা বলে ধরা যেতে পারে। এরপর অজিত কুমার লেখেন ‘রবীন্দ্রনাথ’ নামে একটি সুদীর্ঘ প্রবন্ধ। সে প্রবন্ধেও রবীন্দ্রনাথের কবিতারই শুধু আলোচনা করা হয়, তখনো পর্যন্ত কেউই তাঁর ছোটগল্প বা উপন্যাসের মূল্যায়নে মনোযোগী হননি। অথচ, সে সময়েই, বয়স পঞ্চাশ হওয়ার আগেই, রবীন্দ্রনাথ ‘বৌ ঠাকুরানীর হাট; ‘রাজর্ষি,’ ‘চোখের বালি,’ নৌকাডুবি’ ও ‘গোরা’র মতো উপন্যাস রচনা করে ফেলেছেন। ‘বৌ রাকুরানীর হাট’-এ বঙ্কিমের প্রভাব চিহ্নিত করা গেলেও অন্যগুলো সম্পূর্ণ মৌলিক ও ভিন্নধর্মী, বাংলা উপন্যাসে নতুন ধারার সূচনাকারী। আর বাংলা ছোটগল্পের প্রবর্তক ও প্রাণ-প্রতিষ্ঠাতা তো রবীন্দ্রনাথই। আঠারো শো ছিয়ানব্বই সালের মধ্যেই তিনি ৩৭/৩৮টি ছোটগল্প প্রকাশ করে ফেললেন। তবু, উনিশ শো দশ সাল নাগাদও রবীন্দ্রনাথের গল্প উপন্যাসের দিকে কোনো সমালোচকের দৃষ্টি পড়ল না। উনিশ শো এগারো সালে (কবির বয়স পঞ্চাশ পূর্ণ হয়েছে যে বছরে) এমন একজন তরুণ সমালোচকের আবির্ভাব ঘটল যিনি রবীন্দ্রনাথের গল্প উপন্যাসের সমালোচনার সূত্রপাত্রই ঘটালেন না শুধু, বাংলা সাহিত্যে তাঁর যথার্থ স্থানটিও চিহ্নিত করলেন। এই সমালোচকেরই নাম সুখরঞ্জন রায়।

রবীন্দ্রনাথের কাব্য সাহিত্যের যাঁরা প্রথম সমালোচক, সেই মোহিত চন্দ্র সেন ও অজিত কুমার চক্রবর্তী ছিলেন রবীন্দ্র পরিমণ্ডলেরই মানুষ। একান্তভাবে রবীন্দ্র পরিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত থাকার ফলেই তাদের সমালোচনায় রবীন্দ্র সৃষ্টির প্রতি মুগ্ধতার প্রকাশ যত ঘটেছে, বিচারশীলতার পরিচয় তত ফুটে ওঠেনি। অন্যদিকে রবীন্দ্র কথাসাহিত্যের প্রথম সমালোচক সুখরঞ্জনের অবস্থান রবীন্দ্র-পরিমণ্ডলের  বাইরে ছিল বলেই অতি মুগ্ধতায়  তাঁর সমালোচনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। সুখরঞ্জনের সমালোচনায় সহৃদয় রসজ্ঞতাও ছিল, বস্তুনিষ্ট বিচারশীলতাও ছিল।

তা ছাড়া সমালোচক সুখরঞ্জনের অবস্থান সম্পর্কে আরেকটি তথ্যও বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। তিনি শুধু রবীন্দ্র পরিমণ্ডলের বাইরের মানুষই ছিলেন না, সেকালের বাংলার সাহিত্য সংস্কৃতির কেন্দ্রস্থল কলকাতা থেকেও দূর মফস্বলে ছিল তার অবস্থান। ঢাকা শহরে অধ্যাপনা করার সময়েই তিনি সাহিত্য সমালোচনার কাজে ব্রতী হন। বিশ শতকের সেই সূচনালগ্নেও ঢাকা তো মফস্বলই। কলকাতার এলিটরাও তখন ঢাকাকে দেখতেন উন্নাসিকের চোখ দিয়ে। শুধু ঢাকা নয়, সমগ্র পূর্ববঙ্গবাসী ‘বাঙাল’দের  প্রতিই ছিল তাদের অবজ্ঞার দৃষ্টি। বাঙালদের ভাষাভঙ্গি, জীবনাচরণ, মানস সংস্কৃতি -সবকিছু নিয়েই তাঁরা ঠাট্টামস্করা করতেন। অন্যদিকে, ঢাকাইয়া তথা বাঙালদেরও গোঁ একেবারে কম ছিল না। তাঁরাও উনিশ শতক থেকেই কলকাতার বিপরীতে ঢাকাকে পূর্ববঙ্গীয় মননচর্চার একটি কেন্দ্র রূপে গড়ে তুলতে থাকেন। এখানে সাধারণভাবে বৃহত্তর ও উদার বাঙালিত্বের সাধনা করা হয়েছে অবশ্যই, তবে সে সাধনায় ‘বাঙাল’এর স্বাতন্ত্র্য চেতনারও স্পষ্ট প্রকাশ থাকত। উনিশ শতকেই ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘ঢাকা প্রকাশ’ কিংবা ‘বান্ধব’ পত্রিকা বাঙালি সংস্কৃতিকে বাঙালের অবদান দিয়ে সমৃদ্ধ করেছে। বিশ শতকের গোড়ায় সে সমৃদ্ধিকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে ঢাকার মাসিক পত্রিকা ‘প্রতিভা।’ সেই ‘প্রতিভা’র পাতাতেই সর্বপ্রথম রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস ও ছোটগল্পের গভীর ও বিস্তৃত সমালোচনা লেখেন ‘বাঙাল’ সমালোচক সুখরঞ্জন রায়। সেই বাঙালদের দেশ পূর্ববঙ্গ যখন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রূপে বিশ্বের মানচিত্রে সগৌরবে স্থান করে নিয়েছে তখন এই তথ্যটি স্মরণ করে আমরা অবশ্যই বিশেষ গৌরব বোধ করতে পারি। অথচ, খুবই দুঃখ ও লজ্জার বিষয় : অনেক বিলম্বে হলেও বাংলা ১৩৮৩ সালের ফাল্গুনে (অর্থাৎ ১৯৭৭-এর ফেব্রুয়ারিতে) যখন কলকাতার ‘মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স’ থেকে সুখরঞ্জন রায়ের ‘রবীন্দ্র কথা কাব্যের শিল্পসূত্র’ প্রকাশিত হলো তখনো গৌরববোধে উজ্জীবিত হওয়া তো দূরের কথা, রবীন্দ্রনাথের কথাসাহিত্যের প্রথম সমালোচক সম্পর্কে আমরা সচেতনই হলাম না। বইটি প্রকাশিত হওয়ার পরপরই যদি বাংলাদেশে আমরা একটি জাতীয় সেমিনারের আয়োজন করে সুখরঞ্জন রায়কে (যাঁর জন্ম ১৮৮৯ সালে ও মৃত্যু ১৯৬৪-তে) স্মরণ করতাম, এবং রবীন্দ্রনাথের গল্প ও উপন্যাসের প্রথম সমালোচক রূপে তাঁর পরিচয় দেশের সাহিত্য রসিকদের কাছে তুলে ধরতাম, তবে তাই হতো যথার্থ সারস্বত দায়িত্ব পালন।

যাই হোক, তখন করিনি বলে এখন যে সে দায়িত্ব পালন করা যাবে না, তা তো নয়। বিগত একশো বছরেরও বেশি সময়ে রবীন্দ্র সাহিত্যের বিশ্লেষণ করে অজস্র রচনা প্রকাশিত হয়েছে। সেসবের মধ্যে রবীন্দ্রনাথের কথাসাহিত্যের সমালোচনার সংখ্যাও মোটেই কম নয়। তবুও সেই ভূরি ভূরি রচনার ভিড়েও রবীন্দ্র কথাসাহিত্যের প্রথম সমালোচক সুখরঞ্জন রায়ের সমালোচনাগুলোকে আজও মোটেই নিষ্প্রভ মনে হবে না। আজও যে কোনো ধীমান ও রসজ্ঞ পাঠক সুখরঞ্জনের সমালোচনায় তাঁর অন্তরদৃষ্টি ও মৌলিকতার পরিচয় পেয়ে চমত্কৃৎ হয়ে যাবেন। আমার তো মনে হয়, এ যুগের সমালোচকদেরও সুখরঞ্জনের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়ার মতো অনেক কিছুই আছে।

বিশ শতকের প্রথম দুই দশকেও বাঙালি পাঠক হৃদয়ে বঙ্কিমচন্দ্রেরই ছিল একাধিপত্য। রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস থেকে রস আহরণ করার মতো পাঠকরুচি তখনো গড়ে ওঠেনি। বঙ্কিমের ‘বিষবৃক্ষ’ বা ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ এর জমজমাট কাহিনী যাদের আনন্দে উদ্বেল করে তোলে, তাঁরাই আবার রবীন্দ্রনাথের ‘চোখের বালি’ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। অর্থাৎ বাঙালি পাঠক তখনো উপন্যাসে ঘটনার ঘনঘটাই পছন্দ করেন, পাত্রপাত্রীর ‘আঁতের কথা’ জানতে তাঁদের তেমন আগ্রহ নেই। শুধু সাধারণ পাঠক নন, পাঠকদের মধ্যে যারা নিজেদের স্বতন্ত্র ও বিশিষ্ট বলে দাবি করেন সেই সমালোচককুলও বোধ হয় সে সময়ে রবীন্দ্র উপন্যাসের স্বাতন্ত্র্য ও অসাধারণত্বের স্বরূপ উপলব্ধি করতে পারেননি। তা না হলে রবীন্দ্রনাথের ‘চোখের বালি’ ‘নৌকাডুবি’ ও ‘গোরা’ প্রকাশের পরও তারা নীরব রইলেন কেন?

সুখরঞ্জন রায় শুধু সেই নীরবতাই ভঙ্গ করলেন না, ঔপন্যাসিক রবীন্দ্রনাথের স্বাতন্ত্র্য চিহ্নগুলো অত্যন্ত স্পষ্টভাবে তুলে ধরলেন, বঙ্কিমচন্দ্রের সঙ্গে তুলনামূলক আলোচনায় রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যিক বেশিষ্ট্যকে তিনিই প্রথম নৈপুণ্যের সঙ্গে উদঘাটন করলেন। ‘চোখের বালি’ ও ‘নৌকাডুবি’র প্রতিটি চরিত্রেরই অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ তিনি উপস্থিত করেছিলেন; দুটো উপন্যাসেরই ঘটনাবৈচিত্র্য, রসবৈচিত্র্য, ভাষা ও রচনাভঙ্গির প্রকৃতি প্রাঞ্জলভাবে চিহ্নিত করেছিলেন; ‘বৌ ঠাকুররানীর হাট’ ও রাজর্ষিতে যে রাবীন্দ্রিক বৈশিষ্ট্যের পরিপূর্ণ প্রকাশ ঘটেনি— সে কথাও জানাতে ভুললেন না। সুখরঞ্জনের সমালোচনা- রীতিটি সেকালের জন্য ছিল  খুবই উপযোগী। একালেও বোধ হয় এ রীতিটিকে একেবারে বাতিল করে দেওয়া চলে না। এ রীতিতে সমালোচক শুধু মূল্যায়নকারী হয়েই থাকেন না, অনভ্যস্ত পাঠকের জন্য শিক্ষকের ভূমিকাও গ্রহণ করেন। সমালোচকের এ রকম ভূমিকা গ্রহণের প্রয়োজন একালেও নিশ্চয়ই ফুরিয়ে যায়নি। লেখকের সঙ্গে পাঠকের সেতুবন্ধন করে দেওয়ার দায়িত্ব তো সবকালের  সমালোচককেই বহন করতে হয়। পাঠকের মানসিক জড়তা ভাঙার জন্য যে রকম দরকার, সে রকম রীতিই যে কোনো যুগের যে কোনো সৎ সমালোচককেই খুঁজে নিতে হয়। সুখরঞ্জন, তাই অত্যন্ত সঙ্গতভাবেই এ রকম উপযুক্ত রীতিটি উদ্ভাবন করে নিয়ে রবীন্দ্র কথাসাহিত্যের পথিকৃৎ সমালোচকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

সুখরঞ্জনের রবীন্দ্র-উপন্যাস-সমালোচনা অবশ্যি ‘চোখের বালি’ ও ‘নৌকাডুবি’ পর্যন্ত এসেই থেমে রইল। এরপর তিনি পুরো মনোযোগ নিবদ্ধ করলেন ছোটগল্পের আলোচনায়।

উপন্যাসের তুলনায় ছোটগল্পের প্রকৃত রসগ্রাহী ও বোদ্ধা পাঠক তো বরাবরই কম। বিশ শতকের সূচনায় আরও কম ছিল। তখন বাংলায় ছোটগল্পের প্রবতর্ক রবীন্দ্রনাথ ছাড়া অন্য কোনো সার্থক ছোটগল্পকার ছিলেনই না বলতে গেলে। সে সময়ে, তাই, সুখরঞ্জন রায় বাঙালি পাঠকদের কাছে ছোটগল্পের রূপ-প্রকৃতি ও তার ইতিহাস তুলে ধরার দায়িত্ব অনুভব করলেন। এভাবে ছোটগল্পের নানা দিক সম্পর্কে অবহিত করেই তিনি পাঠককে রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পের রস আহরণের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে চেয়েছিলেন।

এ ব্যাপারেও, মনে হয়, সুখরঞ্জন অনুপ্রেরণা তথা দিক-নির্দেশনা পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকেই। সমালোচকের দায়িত্ব সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের চিন্তার পরিচয় দিতে গিয়ে আচার্য সুকুমার সেন লিখেছিলেন—

‘সমালোচকের আসল কাজ, লেখকের ও পাঠকের মধ্যে না বোঝার অন্তরাল যথাসাধ্য অপসারণ করা এবং রচনায় কোনো মূল্য থাকিলে তাহাও পাঠকের গোচরে আনা। উঁচু সমালোচক হইলে তিনি রচনার মূল্য আবিষ্কার করিতে পারেন। তখন সমালোচক ও স্রষ্টার মধ্যে পার্থক্য ঘুচিয়া যায়। বাঙ্গালা সাহিত্যে এই কাজে রবীন্দ্রনাথ একক ও অপ্রতিম।’

সুখরঞ্জন রায়-যে যথার্থই একজন ‘উঁচু সমালোচক’ ছিলেন তাঁর লিখিত সমালোচনাসমূহই সে প্রমাণ বহন করে। বোঝা যায় : তিনি রবীন্দ্রনাথের চিন্তাকেই আপন সত্তায় ধারণ করে সাহিত্য সমালোচনায় প্রবৃত্ত হয়েছিলেন, এবং একই সঙ্গে তাতে স্বকীয় বৈশিষ্ট্যেরও প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন।

সে সময়ে বাংলায় কথাসাহিত্য সমালোচনার উপযোগী ভাষাটিও তৈরি হয়নি। সেক্ষেত্রেও সুখরঞ্জনকে নিজের পথ নিজেই কেটে নিতে হয়েছিল, সমালোচনার পরিভাষাও তিনি নিজেই সৃষ্টি করে নিয়েছিলেন। ‘রোমান্টিসিজম’ বোঝানোর জন্য তিনি ব্যবহার করেছেন ‘কল্পপন্থা’ শব্দটি। তেমনই তার হাতে ‘মিস্টিসিজম’ হয়েছে ‘আলোকপন্থা’, ‘বিয়্যালিজিম’— ‘বস্তুপন্থা,’ ‘আইডিয়ালিজম।’— ‘শ্রেয়ঃপন্থা’ এবং ‘সিম্বলিজম’-‘বিগ্রহ পন্থা।’ এসব পন্থা রবীন্দ্রনাথের কোন ছোটগল্পে কোনভাবে প্রকাশ রূপ লাভ করেছে তার বিস্তৃত আলোচনা করেছেন সুখরঞ্জন। সে আলোচনায় কখনো কখনো তিনি পাশ্চাত্যের দিকপাল লেখকদের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের তুলনা টেনে এনেছেন। এরকম তুলনামূলক সমালোচনার উত্কৃষ্ট উদাহরণ সুখরঞ্জনের ‘অলোকপন্থায় পো ও রবীন্দ্রনাথ’ প্রবন্ধটি। ‘আমেরিকার গল্পের রাজা এডগার এ্যালেন পো ও বাংলার গল্পের রাজা রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পে অলোকপন্থা কীভাবে ফুটিয়া উঠিয়াছে’— ওই প্রবন্ধটিতে রয়েছে তারই সুনিপুণ বিশ্লেষণ। এ ধরনের বিশ্লেষণ আমাদের সমালোচনা-সাহিত্যে খুব বেশি আছে বলে মনে হয় না।

‘রবীন্দ্র কথাকাব্যের শিল্প সূত্র’ গ্রন্থটি পাঠ করার পর মানতেই হয় যে রবীন্দ্রনাথের কথাসাহিত্যের সমালোচনায় সুখরঞ্জন রায় শুধু পথিকৃৎই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একান্ত সার্থক এবং প্রকৃত রসগ্রাহী ও সূক্ষ্মদর্শী একজন সমালোচক।

এই বিভাগের আরও খবর
ছায়া পোড়ার ধোঁয়া
ছায়া পোড়ার ধোঁয়া
সংহার
সংহার
মায়াবী নিঃসঙ্গ ওম
মায়াবী নিঃসঙ্গ ওম
আমি ও জীবনানন্দ
আমি ও জীবনানন্দ
স্কুলের বন্ধু
স্কুলের বন্ধু
কবিধাম-কবির শহর টাঙ্গাইল
কবিধাম-কবির শহর টাঙ্গাইল
জেগে থাকার জন্য
জেগে থাকার জন্য
অগ্নিসখা
অগ্নিসখা
নাই কিছু নাই
নাই কিছু নাই
ঘুমিয়ে থাকা ঈশ্বর
ঘুমিয়ে থাকা ঈশ্বর
যে জীবনে কিছুই ঘটে না
যে জীবনে কিছুই ঘটে না
এক সাহিত্যিক বিপ্লব
এক সাহিত্যিক বিপ্লব
সর্বশেষ খবর
টানা বৃষ্টিপাত চলবে আরও কয়েকদিন, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর
টানা বৃষ্টিপাত চলবে আরও কয়েকদিন, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

১০ মিনিট আগে | জাতীয়

কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো চবির আরেক শিক্ষার্থীর লাশ
কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো চবির আরেক শিক্ষার্থীর লাশ

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নতুন বাংলাদেশ গড়তে ‘তারুণ্যের উৎসব’ চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত : উপদেষ্টা আসিফ
নতুন বাংলাদেশ গড়তে ‘তারুণ্যের উৎসব’ চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত : উপদেষ্টা আসিফ

১২ মিনিট আগে | জাতীয়

তালেবানের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
তালেবানের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

১৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রুশ ন্যাশনাল গার্ডের সদসসহ নিহত ৩
ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রুশ ন্যাশনাল গার্ডের সদসসহ নিহত ৩

২০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রের কিছু বিমানবন্দরে যাত্রীদের আর জুতা খুলতে হবে না!
যুক্তরাষ্ট্রের কিছু বিমানবন্দরে যাত্রীদের আর জুতা খুলতে হবে না!

২২ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

দুর্ঘটনার কবলে ওয়েলস নারী ফুটবল দল
দুর্ঘটনার কবলে ওয়েলস নারী ফুটবল দল

৪৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

চীন-ভারতসহ ব্রিকস সদস্যদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি
চীন-ভারতসহ ব্রিকস সদস্যদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি

৪৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী
এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নয়নতারার বিরুদ্ধে ৫ কোটি ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা
নয়নতারার বিরুদ্ধে ৫ কোটি ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আফ্রিকা-জিম্বাবুয়ের সঙ্গে যুবাদের ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচি ঘোষণা
আফ্রিকা-জিম্বাবুয়ের সঙ্গে যুবাদের ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচি ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আন্দোলনকারীদের ওপর গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন হাসিনা, অডিও বিশ্লেষণ করে জানাল বিবিসি
আন্দোলনকারীদের ওপর গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন হাসিনা, অডিও বিশ্লেষণ করে জানাল বিবিসি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণমাধ্যমকে হুমকি বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা মার্কিন কংগ্রেসের
গণমাধ্যমকে হুমকি বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা মার্কিন কংগ্রেসের

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বৃষ্টিতে মোংলা পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা, জনজীবন বিপর্যস্ত
বৃষ্টিতে মোংলা পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা, জনজীবন বিপর্যস্ত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভিন্নমত দমনের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতারা
ভিন্নমত দমনের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতারা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্র্যাব ও অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের উদ্বেগ
ক্র্যাব ও অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের উদ্বেগ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সূর্য একদিন নিভে যাবে, কী হবে পৃথিবীর ভাগ্য?
সূর্য একদিন নিভে যাবে, কী হবে পৃথিবীর ভাগ্য?

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

রাজধানীতে দুই বাসের মাঝে চাপা পড়ে একজন নিহত
রাজধানীতে দুই বাসের মাঝে চাপা পড়ে একজন নিহত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

একজনের নামে সর্বোচ্চ ১০ সিম, কার্যকর ১৫ আগস্ট থেকে
একজনের নামে সর্বোচ্চ ১০ সিম, কার্যকর ১৫ আগস্ট থেকে

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

চীনে সীসা বিষক্রিয়ায় অসুস্থ ২৩৩ শিশু
চীনে সীসা বিষক্রিয়ায় অসুস্থ ২৩৩ শিশু

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশজুড়ে পুলিশি অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১৬০৭
দেশজুড়ে পুলিশি অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১৬০৭

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পেদ্রোর জোড়া গোলে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসি
পেদ্রোর জোড়া গোলে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসি

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি, আজও বৃষ্টির আভাস
২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি, আজও বৃষ্টির আভাস

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভবিষ্যতের মহাকাশ অনুসন্ধানে নতুন দিশা দেখাচ্ছে রাডার গবেষণা
ভবিষ্যতের মহাকাশ অনুসন্ধানে নতুন দিশা দেখাচ্ছে রাডার গবেষণা

৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলে ফেরার তাড়া নেই ডেভিডের
অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলে ফেরার তাড়া নেই ডেভিডের

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার
ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পণ্য-বাজারে বৈচিত্র্য ও বাণিজ্য সংস্কারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে
পণ্য-বাজারে বৈচিত্র্য ও বাণিজ্য সংস্কারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

খনিজে গড়া অর্থনীতি, তেজস্ক্রিয়তায় বিধ্বস্ত জনপদ—চীনের ভয়ংকর এক শহরের গল্প
খনিজে গড়া অর্থনীতি, তেজস্ক্রিয়তায় বিধ্বস্ত জনপদ—চীনের ভয়ংকর এক শহরের গল্প

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

দীপিকার ‘৮ ঘন্টা কাজ’ প্রসঙ্গ নিয়ে রাশমিকার খোঁচা!
দীপিকার ‘৮ ঘন্টা কাজ’ প্রসঙ্গ নিয়ে রাশমিকার খোঁচা!

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জিম্বাবুয়ে হোয়াইটওয়াশ, প্রোটিয়াদের টানা ১০ জয়ের রেকর্ড
জিম্বাবুয়ে হোয়াইটওয়াশ, প্রোটিয়াদের টানা ১০ জয়ের রেকর্ড

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
ভারতীয় নার্স প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে ইয়েমেন
ভারতীয় নার্স প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে ইয়েমেন

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোবাইল সিমের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত
মোবাইল সিমের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চীন থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে ইরান: রিপোর্ট
চীন থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে ইরান: রিপোর্ট

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আইসিসির
আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আইসিসির

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সামরিক স্থাপনায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার কথা স্বীকার করল ইসরায়েল
সামরিক স্থাপনায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার কথা স্বীকার করল ইসরায়েল

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা, যেভাবে জানবেন
এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা, যেভাবে জানবেন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সৌদি আরব!
এত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সৌদি আরব!

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায় নেই বিল গেটস
বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায় নেই বিল গেটস

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল যুদ্ধ চায়, ইরানও তৈরি
ইসরায়েল যুদ্ধ চায়, ইরানও তৈরি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিবলী রুবাইয়াতের ১০তলা বাণিজ্যিক ভবন জব্দের আদেশ
শিবলী রুবাইয়াতের ১০তলা বাণিজ্যিক ভবন জব্দের আদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গড়ে প্রতিদিন ৪ লাখ যাত্রী মেট্রোতে, সবচেয়ে বেশি যে স্টেশনে
গড়ে প্রতিদিন ৪ লাখ যাত্রী মেট্রোতে, সবচেয়ে বেশি যে স্টেশনে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে চান ট্রাম্প
ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে চান ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা
গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিপজলের বিরুদ্ধে মামলা
ডিপজলের বিরুদ্ধে মামলা

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তির বিধান বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তির বিধান বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট আসাদুজ্জামান নূর
৪ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট আসাদুজ্জামান নূর

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরমাণু কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা খেয়েছে ইরান : ফরাসি গোয়েন্দা প্রধান
পরমাণু কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা খেয়েছে ইরান : ফরাসি গোয়েন্দা প্রধান

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ইসরায়েলকে আবু ওবায়দার হুঁশিয়ারি
ইসরায়েলকে আবু ওবায়দার হুঁশিয়ারি

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক সরানোর বিষয়ে আলাপ করেছেন ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু
ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক সরানোর বিষয়ে আলাপ করেছেন ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পকে ‘শান্তিতে নোবেল’ দিতে পাকিস্তানের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাল হোয়াইট হাউস
ট্রাম্পকে ‘শান্তিতে নোবেল’ দিতে পাকিস্তানের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাল হোয়াইট হাউস

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিঙ্গাপুর থেকে ৫৩১ কোটি টাকায় আসবে এক কার্গো এলএনজি
সিঙ্গাপুর থেকে ৫৩১ কোটি টাকায় আসবে এক কার্গো এলএনজি

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৬৪০ দিনের যুদ্ধেও সফল হয়নি ইসরায়েল, হামাসের দাবি
৬৪০ দিনের যুদ্ধেও সফল হয়নি ইসরায়েল, হামাসের দাবি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেভাবে জানবেন এসএসসির ফল
যেভাবে জানবেন এসএসসির ফল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যারা পিআর চায়, তারা আওয়ামী লীগকে ফেরাতে চায়’
‘যারা পিআর চায়, তারা আওয়ামী লীগকে ফেরাতে চায়’

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তৃতীয় বিয়ের ইঙ্গিত, গৌরীকে নিয়ে যা বললেন আমির
তৃতীয় বিয়ের ইঙ্গিত, গৌরীকে নিয়ে যা বললেন আমির

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা সিটি কলেজ উত্তপ্ত, পরীক্ষা স্থগিত
অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা সিটি কলেজ উত্তপ্ত, পরীক্ষা স্থগিত

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পক্ষপাতদুষ্ট বিদেশি পর্যবেক্ষকদের এবার অনুমোদন নয়: সিইসি
পক্ষপাতদুষ্ট বিদেশি পর্যবেক্ষকদের এবার অনুমোদন নয়: সিইসি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার
ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লেবুর খোসার যত গুণ
লেবুর খোসার যত গুণ

২২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফের ট্রাম্পের ট্যারিফ তাণ্ডব
ফের ট্রাম্পের ট্যারিফ তাণ্ডব

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই অভ্যুত্থান : কী পেলাম! কী হারালাম
জুলাই অভ্যুত্থান : কী পেলাম! কী হারালাম

সম্পাদকীয়

কই গেল দুই লাখ তাল গাছ
কই গেল দুই লাখ তাল গাছ

নগর জীবন

সন্তান খাঁচায় ভরে ভিক্ষা করছেন মা
সন্তান খাঁচায় ভরে ভিক্ষা করছেন মা

পেছনের পৃষ্ঠা

সিনেমা হল এখন কার নিয়ন্ত্রণে
সিনেমা হল এখন কার নিয়ন্ত্রণে

শোবিজ

ঘরে পৌঁছাবে পদ্মার বিশুদ্ধ পানি
ঘরে পৌঁছাবে পদ্মার বিশুদ্ধ পানি

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

শাবনূর কেন অনীকের স্ত্রী হতে চাননি
শাবনূর কেন অনীকের স্ত্রী হতে চাননি

শোবিজ

তাজুলের টাকার খনি ওয়াসা আর এলজিইডি
তাজুলের টাকার খনি ওয়াসা আর এলজিইডি

প্রথম পৃষ্ঠা

গণমাধ্যমকে হুমকি বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা মার্কিন কংগ্রেসের
গণমাধ্যমকে হুমকি বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা মার্কিন কংগ্রেসের

প্রথম পৃষ্ঠা

কেন বাড়ছে ডেঙ্গুতে মৃত্যু
কেন বাড়ছে ডেঙ্গুতে মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা
ভারতে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা

পেছনের পৃষ্ঠা

মিডিয়াকে হুমকি গণতন্ত্রের পরিপন্থি
মিডিয়াকে হুমকি গণতন্ত্রের পরিপন্থি

প্রথম পৃষ্ঠা

থামছে না দাবি আদায়ের আন্দোলন
থামছে না দাবি আদায়ের আন্দোলন

প্রথম পৃষ্ঠা

ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি
ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি

শোবিজ

ছুটিই যেন কাবরেরার চাকরি
ছুটিই যেন কাবরেরার চাকরি

মাঠে ময়দানে

দেশ গঠনে ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন রয়েছে
দেশ গঠনে ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন রয়েছে

নগর জীবন

হতাশায় বিশ্বাস করি না
হতাশায় বিশ্বাস করি না

শোবিজ

বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা শিল্প বিকাশে সহায়তা দেবে তুরস্ক
বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা শিল্প বিকাশে সহায়তা দেবে তুরস্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

বিব্রত শ্রদ্ধা...
বিব্রত শ্রদ্ধা...

শোবিজ

ফাইনালের আগে ফাইনাল!
ফাইনালের আগে ফাইনাল!

মাঠে ময়দানে

জয়ার পুতুল নাচের ইতিকথা
জয়ার পুতুল নাচের ইতিকথা

শোবিজ

এবার কিংস অ্যারিনায় আফঈদাদের লড়াই
এবার কিংস অ্যারিনায় আফঈদাদের লড়াই

মাঠে ময়দানে

জোকোভিচ ১৬ সুয়াটেকের দ্বিতীয়
জোকোভিচ ১৬ সুয়াটেকের দ্বিতীয়

মাঠে ময়দানে

বিকালে শ্লীলতাহানি রাতে অস্বাভাবিক মৃত্যু
বিকালে শ্লীলতাহানি রাতে অস্বাভাবিক মৃত্যু

দেশগ্রাম

তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বিলুপ্তি বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বিলুপ্তি বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

তারা আ.লীগকে ফেরাতে চায়
তারা আ.লীগকে ফেরাতে চায়

নগর জীবন

জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ বহিষ্কৃতদের
জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ বহিষ্কৃতদের

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি আদিল চৌধুরী
ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি আদিল চৌধুরী

নগর জীবন

জেলখানা থেকে বের হতে পারতেন না
জেলখানা থেকে বের হতে পারতেন না

নগর জীবন