শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০১৬

সুখরঞ্জন রায় : রবীন্দ্রনাথের কথাসাহিত্যের প্রথম সমালোচক

যতীন সরকার
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
সুখরঞ্জন রায় : রবীন্দ্রনাথের কথাসাহিত্যের প্রথম সমালোচক

ডক্টর সুকুমার সেন তাঁর ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস’ গ্রন্থের চতুর্থ খণ্ডের তৃতীয় সংস্করণে লিখেছিলেন—

‘আধুনিক বাঙ্গালা সাহিত্যের অগ্রণী সমালোচকদের মধ্যে সুখরঞ্জন রায় ছিলেন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন তিনি। তাঁহার কবিপ্রকৃতি ও অধ্যাপকসুলভ অনুসন্ধিৎসা এ কাজে তাঁহার প্রতিভাকে  উদ্দীপ্ত করিয়াছিল। রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস ও ছোটগল্পের আলোচনায় তিনিই সর্বপ্রথম প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। সে আলোচনা ধারাবাহিকভাবে ‘প্রতিভা’ পত্রিকায় (ঢাকা, ১৩১৮ সাল হইতে) প্রকাশিত। ‘মানসী ও মর্মবাণী,’ ‘প্রবাসী’, ভারতী,’ ‘বিচিত্রা’ প্রভৃতি পত্রিকায়ও প্রবন্ধ বাহির হইয়াছিল। রবীন্দ্রনাথের অন্যান্য রচনার এবং তাঁহার সামগ্রিক প্রতিভা বিশ্লেষণেও তিনি তত্পর ছিলেন। এই সমস্ত মূল্যবান প্রবন্ধগুলি পুস্তকাকারে প্রকাশের অপেক্ষায় আছে।... সেগুলির অপ্রকাশে থাকা বাঙ্গালা সাহিত্যের অগৌরবের কথা।’

সেই অগৌরব দূর করার দায়িত্বই নিজ হাতে তুলে নিয়ে সুখরঞ্জন পুত্র মিহিররঞ্জন রায় পিতার লেখা প্রবন্ধগুলোর যে সংকলন প্রকাশ করেছিলেন সেটিরই নাম— ‘রবীন্দ্রনাথ কাব্যের শিল্পসূত্র’ (ফাল্গুন ১৩৮৩)। নামটি সুখরঞ্জনের নিজের দেওয়া নয়। মিহিররঞ্জন জানিয়েছেন, ‘সংকলিত প্রবন্ধগুলি লেখার সময় এগুলি একত্রিত করে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করার সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা লেখকের ছিল না বলেই মনে হয়। প্রতিটি প্রবন্ধই তাই স্বয়ংসম্পূর্ণ করেই লেখা হয়েছে।’

তবু, বলতেই হবে, গ্রন্থটির নামকরণ হয়েছে অত্যন্ত সার্থক। ৩৮৮ পৃষ্ঠার সংকলন গ্রন্থটির তিনটি অংশ-‘কথা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ’, ‘কাব্যে ও নাট্যকাব্যে রবীন্দ্রনাথ’ এবং ‘পরিশিষ্ট’। এর মধ্যে ‘কথাসাহিত্যে রবীন্দ্রনাথই রয়েছে গ্রন্থের দুই তৃতীয়াংশ স্থান জুড়ে।

আমরা জানি : রবীন্দ্রনাথ বায়ান্ন বছর বয়সে, উনিশ শো তেরো সালে, নোবেল পুরস্কার পান। এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিলাভের আগে কবির ভাগ্যে তাঁর স্বদেশবাসীর নান্দীর বদলে নিন্দাই জুটেছে বেশি করে। বিদগ্ধ সাহিত্যরসজ্ঞদের মধ্যেও প্রায় কেউই তার প্রতিভার স্বীকৃতি জানাননি।

কেবল মোহিত চন্দ্র সেন আর অজিত কুমার চক্রবর্তী— এই দুজন সমালোচক রবীন্দ্রনাথের কাব্য সাহিত্য নিয়ে উল্লেখযোগ্য আলোচনার সূত্রপাত ঘটান। মোহিত চন্দ্র ‘কাব্যগ্রন্থ’ নাম দিয়ে রবীন্দ্রনাথের কবিতাসমূহের একটি সংকলন প্রকাশ করেন। সেই সংকলন গ্রন্থটিতে তিনি যে ভূমিকা সংযোজন করেছিলেন সেটিকেই রবীন্দ্র কাব্যের যথার্থ আলোচনা বলে ধরা যেতে পারে। এরপর অজিত কুমার লেখেন ‘রবীন্দ্রনাথ’ নামে একটি সুদীর্ঘ প্রবন্ধ। সে প্রবন্ধেও রবীন্দ্রনাথের কবিতারই শুধু আলোচনা করা হয়, তখনো পর্যন্ত কেউই তাঁর ছোটগল্প বা উপন্যাসের মূল্যায়নে মনোযোগী হননি। অথচ, সে সময়েই, বয়স পঞ্চাশ হওয়ার আগেই, রবীন্দ্রনাথ ‘বৌ ঠাকুরানীর হাট; ‘রাজর্ষি,’ ‘চোখের বালি,’ নৌকাডুবি’ ও ‘গোরা’র মতো উপন্যাস রচনা করে ফেলেছেন। ‘বৌ রাকুরানীর হাট’-এ বঙ্কিমের প্রভাব চিহ্নিত করা গেলেও অন্যগুলো সম্পূর্ণ মৌলিক ও ভিন্নধর্মী, বাংলা উপন্যাসে নতুন ধারার সূচনাকারী। আর বাংলা ছোটগল্পের প্রবর্তক ও প্রাণ-প্রতিষ্ঠাতা তো রবীন্দ্রনাথই। আঠারো শো ছিয়ানব্বই সালের মধ্যেই তিনি ৩৭/৩৮টি ছোটগল্প প্রকাশ করে ফেললেন। তবু, উনিশ শো দশ সাল নাগাদও রবীন্দ্রনাথের গল্প উপন্যাসের দিকে কোনো সমালোচকের দৃষ্টি পড়ল না। উনিশ শো এগারো সালে (কবির বয়স পঞ্চাশ পূর্ণ হয়েছে যে বছরে) এমন একজন তরুণ সমালোচকের আবির্ভাব ঘটল যিনি রবীন্দ্রনাথের গল্প উপন্যাসের সমালোচনার সূত্রপাত্রই ঘটালেন না শুধু, বাংলা সাহিত্যে তাঁর যথার্থ স্থানটিও চিহ্নিত করলেন। এই সমালোচকেরই নাম সুখরঞ্জন রায়।

রবীন্দ্রনাথের কাব্য সাহিত্যের যাঁরা প্রথম সমালোচক, সেই মোহিত চন্দ্র সেন ও অজিত কুমার চক্রবর্তী ছিলেন রবীন্দ্র পরিমণ্ডলেরই মানুষ। একান্তভাবে রবীন্দ্র পরিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত থাকার ফলেই তাদের সমালোচনায় রবীন্দ্র সৃষ্টির প্রতি মুগ্ধতার প্রকাশ যত ঘটেছে, বিচারশীলতার পরিচয় তত ফুটে ওঠেনি। অন্যদিকে রবীন্দ্র কথাসাহিত্যের প্রথম সমালোচক সুখরঞ্জনের অবস্থান রবীন্দ্র-পরিমণ্ডলের  বাইরে ছিল বলেই অতি মুগ্ধতায়  তাঁর সমালোচনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। সুখরঞ্জনের সমালোচনায় সহৃদয় রসজ্ঞতাও ছিল, বস্তুনিষ্ট বিচারশীলতাও ছিল।

তা ছাড়া সমালোচক সুখরঞ্জনের অবস্থান সম্পর্কে আরেকটি তথ্যও বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। তিনি শুধু রবীন্দ্র পরিমণ্ডলের বাইরের মানুষই ছিলেন না, সেকালের বাংলার সাহিত্য সংস্কৃতির কেন্দ্রস্থল কলকাতা থেকেও দূর মফস্বলে ছিল তার অবস্থান। ঢাকা শহরে অধ্যাপনা করার সময়েই তিনি সাহিত্য সমালোচনার কাজে ব্রতী হন। বিশ শতকের সেই সূচনালগ্নেও ঢাকা তো মফস্বলই। কলকাতার এলিটরাও তখন ঢাকাকে দেখতেন উন্নাসিকের চোখ দিয়ে। শুধু ঢাকা নয়, সমগ্র পূর্ববঙ্গবাসী ‘বাঙাল’দের  প্রতিই ছিল তাদের অবজ্ঞার দৃষ্টি। বাঙালদের ভাষাভঙ্গি, জীবনাচরণ, মানস সংস্কৃতি -সবকিছু নিয়েই তাঁরা ঠাট্টামস্করা করতেন। অন্যদিকে, ঢাকাইয়া তথা বাঙালদেরও গোঁ একেবারে কম ছিল না। তাঁরাও উনিশ শতক থেকেই কলকাতার বিপরীতে ঢাকাকে পূর্ববঙ্গীয় মননচর্চার একটি কেন্দ্র রূপে গড়ে তুলতে থাকেন। এখানে সাধারণভাবে বৃহত্তর ও উদার বাঙালিত্বের সাধনা করা হয়েছে অবশ্যই, তবে সে সাধনায় ‘বাঙাল’এর স্বাতন্ত্র্য চেতনারও স্পষ্ট প্রকাশ থাকত। উনিশ শতকেই ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘ঢাকা প্রকাশ’ কিংবা ‘বান্ধব’ পত্রিকা বাঙালি সংস্কৃতিকে বাঙালের অবদান দিয়ে সমৃদ্ধ করেছে। বিশ শতকের গোড়ায় সে সমৃদ্ধিকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে ঢাকার মাসিক পত্রিকা ‘প্রতিভা।’ সেই ‘প্রতিভা’র পাতাতেই সর্বপ্রথম রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস ও ছোটগল্পের গভীর ও বিস্তৃত সমালোচনা লেখেন ‘বাঙাল’ সমালোচক সুখরঞ্জন রায়। সেই বাঙালদের দেশ পূর্ববঙ্গ যখন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রূপে বিশ্বের মানচিত্রে সগৌরবে স্থান করে নিয়েছে তখন এই তথ্যটি স্মরণ করে আমরা অবশ্যই বিশেষ গৌরব বোধ করতে পারি। অথচ, খুবই দুঃখ ও লজ্জার বিষয় : অনেক বিলম্বে হলেও বাংলা ১৩৮৩ সালের ফাল্গুনে (অর্থাৎ ১৯৭৭-এর ফেব্রুয়ারিতে) যখন কলকাতার ‘মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স’ থেকে সুখরঞ্জন রায়ের ‘রবীন্দ্র কথা কাব্যের শিল্পসূত্র’ প্রকাশিত হলো তখনো গৌরববোধে উজ্জীবিত হওয়া তো দূরের কথা, রবীন্দ্রনাথের কথাসাহিত্যের প্রথম সমালোচক সম্পর্কে আমরা সচেতনই হলাম না। বইটি প্রকাশিত হওয়ার পরপরই যদি বাংলাদেশে আমরা একটি জাতীয় সেমিনারের আয়োজন করে সুখরঞ্জন রায়কে (যাঁর জন্ম ১৮৮৯ সালে ও মৃত্যু ১৯৬৪-তে) স্মরণ করতাম, এবং রবীন্দ্রনাথের গল্প ও উপন্যাসের প্রথম সমালোচক রূপে তাঁর পরিচয় দেশের সাহিত্য রসিকদের কাছে তুলে ধরতাম, তবে তাই হতো যথার্থ সারস্বত দায়িত্ব পালন।

যাই হোক, তখন করিনি বলে এখন যে সে দায়িত্ব পালন করা যাবে না, তা তো নয়। বিগত একশো বছরেরও বেশি সময়ে রবীন্দ্র সাহিত্যের বিশ্লেষণ করে অজস্র রচনা প্রকাশিত হয়েছে। সেসবের মধ্যে রবীন্দ্রনাথের কথাসাহিত্যের সমালোচনার সংখ্যাও মোটেই কম নয়। তবুও সেই ভূরি ভূরি রচনার ভিড়েও রবীন্দ্র কথাসাহিত্যের প্রথম সমালোচক সুখরঞ্জন রায়ের সমালোচনাগুলোকে আজও মোটেই নিষ্প্রভ মনে হবে না। আজও যে কোনো ধীমান ও রসজ্ঞ পাঠক সুখরঞ্জনের সমালোচনায় তাঁর অন্তরদৃষ্টি ও মৌলিকতার পরিচয় পেয়ে চমত্কৃৎ হয়ে যাবেন। আমার তো মনে হয়, এ যুগের সমালোচকদেরও সুখরঞ্জনের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়ার মতো অনেক কিছুই আছে।

বিশ শতকের প্রথম দুই দশকেও বাঙালি পাঠক হৃদয়ে বঙ্কিমচন্দ্রেরই ছিল একাধিপত্য। রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস থেকে রস আহরণ করার মতো পাঠকরুচি তখনো গড়ে ওঠেনি। বঙ্কিমের ‘বিষবৃক্ষ’ বা ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ এর জমজমাট কাহিনী যাদের আনন্দে উদ্বেল করে তোলে, তাঁরাই আবার রবীন্দ্রনাথের ‘চোখের বালি’ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। অর্থাৎ বাঙালি পাঠক তখনো উপন্যাসে ঘটনার ঘনঘটাই পছন্দ করেন, পাত্রপাত্রীর ‘আঁতের কথা’ জানতে তাঁদের তেমন আগ্রহ নেই। শুধু সাধারণ পাঠক নন, পাঠকদের মধ্যে যারা নিজেদের স্বতন্ত্র ও বিশিষ্ট বলে দাবি করেন সেই সমালোচককুলও বোধ হয় সে সময়ে রবীন্দ্র উপন্যাসের স্বাতন্ত্র্য ও অসাধারণত্বের স্বরূপ উপলব্ধি করতে পারেননি। তা না হলে রবীন্দ্রনাথের ‘চোখের বালি’ ‘নৌকাডুবি’ ও ‘গোরা’ প্রকাশের পরও তারা নীরব রইলেন কেন?

সুখরঞ্জন রায় শুধু সেই নীরবতাই ভঙ্গ করলেন না, ঔপন্যাসিক রবীন্দ্রনাথের স্বাতন্ত্র্য চিহ্নগুলো অত্যন্ত স্পষ্টভাবে তুলে ধরলেন, বঙ্কিমচন্দ্রের সঙ্গে তুলনামূলক আলোচনায় রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যিক বেশিষ্ট্যকে তিনিই প্রথম নৈপুণ্যের সঙ্গে উদঘাটন করলেন। ‘চোখের বালি’ ও ‘নৌকাডুবি’র প্রতিটি চরিত্রেরই অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ তিনি উপস্থিত করেছিলেন; দুটো উপন্যাসেরই ঘটনাবৈচিত্র্য, রসবৈচিত্র্য, ভাষা ও রচনাভঙ্গির প্রকৃতি প্রাঞ্জলভাবে চিহ্নিত করেছিলেন; ‘বৌ ঠাকুররানীর হাট’ ও রাজর্ষিতে যে রাবীন্দ্রিক বৈশিষ্ট্যের পরিপূর্ণ প্রকাশ ঘটেনি— সে কথাও জানাতে ভুললেন না। সুখরঞ্জনের সমালোচনা- রীতিটি সেকালের জন্য ছিল  খুবই উপযোগী। একালেও বোধ হয় এ রীতিটিকে একেবারে বাতিল করে দেওয়া চলে না। এ রীতিতে সমালোচক শুধু মূল্যায়নকারী হয়েই থাকেন না, অনভ্যস্ত পাঠকের জন্য শিক্ষকের ভূমিকাও গ্রহণ করেন। সমালোচকের এ রকম ভূমিকা গ্রহণের প্রয়োজন একালেও নিশ্চয়ই ফুরিয়ে যায়নি। লেখকের সঙ্গে পাঠকের সেতুবন্ধন করে দেওয়ার দায়িত্ব তো সবকালের  সমালোচককেই বহন করতে হয়। পাঠকের মানসিক জড়তা ভাঙার জন্য যে রকম দরকার, সে রকম রীতিই যে কোনো যুগের যে কোনো সৎ সমালোচককেই খুঁজে নিতে হয়। সুখরঞ্জন, তাই অত্যন্ত সঙ্গতভাবেই এ রকম উপযুক্ত রীতিটি উদ্ভাবন করে নিয়ে রবীন্দ্র কথাসাহিত্যের পথিকৃৎ সমালোচকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

সুখরঞ্জনের রবীন্দ্র-উপন্যাস-সমালোচনা অবশ্যি ‘চোখের বালি’ ও ‘নৌকাডুবি’ পর্যন্ত এসেই থেমে রইল। এরপর তিনি পুরো মনোযোগ নিবদ্ধ করলেন ছোটগল্পের আলোচনায়।

উপন্যাসের তুলনায় ছোটগল্পের প্রকৃত রসগ্রাহী ও বোদ্ধা পাঠক তো বরাবরই কম। বিশ শতকের সূচনায় আরও কম ছিল। তখন বাংলায় ছোটগল্পের প্রবতর্ক রবীন্দ্রনাথ ছাড়া অন্য কোনো সার্থক ছোটগল্পকার ছিলেনই না বলতে গেলে। সে সময়ে, তাই, সুখরঞ্জন রায় বাঙালি পাঠকদের কাছে ছোটগল্পের রূপ-প্রকৃতি ও তার ইতিহাস তুলে ধরার দায়িত্ব অনুভব করলেন। এভাবে ছোটগল্পের নানা দিক সম্পর্কে অবহিত করেই তিনি পাঠককে রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পের রস আহরণের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে চেয়েছিলেন।

এ ব্যাপারেও, মনে হয়, সুখরঞ্জন অনুপ্রেরণা তথা দিক-নির্দেশনা পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকেই। সমালোচকের দায়িত্ব সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের চিন্তার পরিচয় দিতে গিয়ে আচার্য সুকুমার সেন লিখেছিলেন—

‘সমালোচকের আসল কাজ, লেখকের ও পাঠকের মধ্যে না বোঝার অন্তরাল যথাসাধ্য অপসারণ করা এবং রচনায় কোনো মূল্য থাকিলে তাহাও পাঠকের গোচরে আনা। উঁচু সমালোচক হইলে তিনি রচনার মূল্য আবিষ্কার করিতে পারেন। তখন সমালোচক ও স্রষ্টার মধ্যে পার্থক্য ঘুচিয়া যায়। বাঙ্গালা সাহিত্যে এই কাজে রবীন্দ্রনাথ একক ও অপ্রতিম।’

সুখরঞ্জন রায়-যে যথার্থই একজন ‘উঁচু সমালোচক’ ছিলেন তাঁর লিখিত সমালোচনাসমূহই সে প্রমাণ বহন করে। বোঝা যায় : তিনি রবীন্দ্রনাথের চিন্তাকেই আপন সত্তায় ধারণ করে সাহিত্য সমালোচনায় প্রবৃত্ত হয়েছিলেন, এবং একই সঙ্গে তাতে স্বকীয় বৈশিষ্ট্যেরও প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন।

সে সময়ে বাংলায় কথাসাহিত্য সমালোচনার উপযোগী ভাষাটিও তৈরি হয়নি। সেক্ষেত্রেও সুখরঞ্জনকে নিজের পথ নিজেই কেটে নিতে হয়েছিল, সমালোচনার পরিভাষাও তিনি নিজেই সৃষ্টি করে নিয়েছিলেন। ‘রোমান্টিসিজম’ বোঝানোর জন্য তিনি ব্যবহার করেছেন ‘কল্পপন্থা’ শব্দটি। তেমনই তার হাতে ‘মিস্টিসিজম’ হয়েছে ‘আলোকপন্থা’, ‘বিয়্যালিজিম’— ‘বস্তুপন্থা,’ ‘আইডিয়ালিজম।’— ‘শ্রেয়ঃপন্থা’ এবং ‘সিম্বলিজম’-‘বিগ্রহ পন্থা।’ এসব পন্থা রবীন্দ্রনাথের কোন ছোটগল্পে কোনভাবে প্রকাশ রূপ লাভ করেছে তার বিস্তৃত আলোচনা করেছেন সুখরঞ্জন। সে আলোচনায় কখনো কখনো তিনি পাশ্চাত্যের দিকপাল লেখকদের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের তুলনা টেনে এনেছেন। এরকম তুলনামূলক সমালোচনার উত্কৃষ্ট উদাহরণ সুখরঞ্জনের ‘অলোকপন্থায় পো ও রবীন্দ্রনাথ’ প্রবন্ধটি। ‘আমেরিকার গল্পের রাজা এডগার এ্যালেন পো ও বাংলার গল্পের রাজা রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পে অলোকপন্থা কীভাবে ফুটিয়া উঠিয়াছে’— ওই প্রবন্ধটিতে রয়েছে তারই সুনিপুণ বিশ্লেষণ। এ ধরনের বিশ্লেষণ আমাদের সমালোচনা-সাহিত্যে খুব বেশি আছে বলে মনে হয় না।

‘রবীন্দ্র কথাকাব্যের শিল্প সূত্র’ গ্রন্থটি পাঠ করার পর মানতেই হয় যে রবীন্দ্রনাথের কথাসাহিত্যের সমালোচনায় সুখরঞ্জন রায় শুধু পথিকৃৎই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একান্ত সার্থক এবং প্রকৃত রসগ্রাহী ও সূক্ষ্মদর্শী একজন সমালোচক।

এই বিভাগের আরও খবর
একগুচ্ছ কবিতা
একগুচ্ছ কবিতা
লাল শাপলার বক্ষটান
লাল শাপলার বক্ষটান
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাসাহিত্য
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাসাহিত্য
রূপকথার গান গানের রূপকথা
রূপকথার গান গানের রূপকথা
একটি চুমুর আকাঙ্ক্ষা
একটি চুমুর আকাঙ্ক্ষা
প্রভাত পাখির গান
প্রভাত পাখির গান
রঙ বদলের খেলা
রঙ বদলের খেলা
বিষণ্নতা
বিষণ্নতা
একা দাঁড়িয়ে একটি গাছ
একা দাঁড়িয়ে একটি গাছ
চূর্ণ পঙ্ক্তি
চূর্ণ পঙ্ক্তি
ইস্কুলকালের ইরেজার
ইস্কুলকালের ইরেজার
আঁকারীতি
আঁকারীতি
সর্বশেষ খবর
ডেঙ্গুতে ৬ জনের প্রাণহানি
ডেঙ্গুতে ৬ জনের প্রাণহানি

৩ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

সন্ত্রাসী কাজ করে কিছু মানুষ, কলঙ্ক দেওয়া হয় সব কাশ্মীরিকে: ওমর
সন্ত্রাসী কাজ করে কিছু মানুষ, কলঙ্ক দেওয়া হয় সব কাশ্মীরিকে: ওমর

৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনীর সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনীর সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

৪ মিনিট আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

৪ মিনিট আগে | জাতীয়

ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে গোপালগঞ্জের ২ যুবক নিহত
ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে গোপালগঞ্জের ২ যুবক নিহত

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করলো বসুন্ধরা নিবাসী চবিয়ানরা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করলো বসুন্ধরা নিবাসী চবিয়ানরা

৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নভেম্বরের ১৮ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ডলার
নভেম্বরের ১৮ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ডলার

৯ মিনিট আগে | অর্থনীতি

ব্যাট দিয়ে স্ট্যাম্পে আঘাত করায় শাস্তি পেলেন বাবর
ব্যাট দিয়ে স্ট্যাম্পে আঘাত করায় শাস্তি পেলেন বাবর

১১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

প্রকৃতিতে উঁকি দিচ্ছে শীত, বাড়ছে লেপ-তোশকের চাহিদা
প্রকৃতিতে উঁকি দিচ্ছে শীত, বাড়ছে লেপ-তোশকের চাহিদা

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দাউদের ডান হাত থেকে নাম্বার ওয়ান শত্রু রাজনের উত্থান-পতন
দাউদের ডান হাত থেকে নাম্বার ওয়ান শত্রু রাজনের উত্থান-পতন

১৫ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে শর্ত শিথিল করতে বলেছি : আসিফ নজরুল
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে শর্ত শিথিল করতে বলেছি : আসিফ নজরুল

১৮ মিনিট আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

১৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে রাতভর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার, নিহত ৯
ইউক্রেনে রাতভর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার, নিহত ৯

২৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রামে আগ্নেয়াস্ত্রসহ তিনজন গ্রেফতার
চট্টগ্রামে আগ্নেয়াস্ত্রসহ তিনজন গ্রেফতার

২৬ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ৯ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ থাকবে উন্মুক্ত লাইব্রেরি
জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ৯ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ থাকবে উন্মুক্ত লাইব্রেরি

২৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নীলফামারীতে ক্রীড়া সামগ্রী ও সাইকেল বিতরণ
নীলফামারীতে ক্রীড়া সামগ্রী ও সাইকেল বিতরণ

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লক্ষ্মীপুরে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
লক্ষ্মীপুরে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ড্র করেও বিশ্বকাপে স্পেন-অস্ট্রিয়া-সুইজারল্যান্ড
ড্র করেও বিশ্বকাপে স্পেন-অস্ট্রিয়া-সুইজারল্যান্ড

৩২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হত্যাচেষ্টা মামলায় তাপস-কামরুলসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
হত্যাচেষ্টা মামলায় তাপস-কামরুলসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

৩৩ মিনিট আগে | জাতীয়

নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে হবিগঞ্জে নৌ র‌্যালি
নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে হবিগঞ্জে নৌ র‌্যালি

৩৫ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

রংপুর বইমেলাসহ প্রশাসনের সাংস্কৃতিক আয়োজন বয়কট
রংপুর বইমেলাসহ প্রশাসনের সাংস্কৃতিক আয়োজন বয়কট

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে প্রোটিয়া দলে এনগিডি
ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে প্রোটিয়া দলে এনগিডি

৩৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতে যাচ্ছেন ট্রাম্প পুত্র
বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতে যাচ্ছেন ট্রাম্প পুত্র

৪৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উলিপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে কিশোরীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা কর্মসূচি
উলিপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে কিশোরীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা কর্মসূচি

৪৫ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

নীলফামারীতে নতুন আলু উত্তোলন
নীলফামারীতে নতুন আলু উত্তোলন

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে
সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে

৪৭ মিনিট আগে | অর্থনীতি

বাউবির এমবিএ পরীক্ষার ফল প্রকাশ
বাউবির এমবিএ পরীক্ষার ফল প্রকাশ

৪৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বিএসটিআই-এর সব সেবা এখন অনলাইনে
বিএসটিআই-এর সব সেবা এখন অনলাইনে

৪৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজে গ্র্যাজুয়েশন সনদ বিতরণ প্রধান উপদেষ্টার
সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজে গ্র্যাজুয়েশন সনদ বিতরণ প্রধান উপদেষ্টার

৫৩ মিনিট আগে | জাতীয়

১০০ টেস্টের ক্লাবে মুশফিক, পন্টিং-করুনারত্নের অভিনন্দন
১০০ টেস্টের ক্লাবে মুশফিক, পন্টিং-করুনারত্নের অভিনন্দন

৫৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর
২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’
তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের
কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন
আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তারেক রহমানের জন্মদিন নিয়ে বিএনপির বিশেষ নির্দেশনা
তারেক রহমানের জন্মদিন নিয়ে বিএনপির বিশেষ নির্দেশনা

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা
এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

৪ ঘণ্টা আগে | টক শো

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের শুল্ক সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি বেড়েছে ১৪ শতাংশ
ট্রাম্পের শুল্ক সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি বেড়েছে ১৪ শতাংশ

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

পেছনের পৃষ্ঠা

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

দেশগ্রাম

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি
আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি

প্রথম পৃষ্ঠা

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে
স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে

মাঠে ময়দানে

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা