শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

আবুল মনসুর আহমদের আয়না

মুখোশ উন্মোচনের আশি বছর

ইমরান মাহফুজ
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
মুখোশ উন্মোচনের আশি বছর

‘এতভঙ্গ বঙ্গদেশ তবু রঙ্গে ভরা’ বাংলার লোকসাহিত্য নিয়ে এ উক্তি। প্রাচীন ও মধ্যযুগের অধিকাংশ সাহিত্যে কম করে হলেও একটি চরিত্র থাকত যার মাধ্যমে রঙ্গ-ব্যঙ্গাত্মক পরিবেশে আসর জমানো হতো। সে চরিত্র কখনো নিজে হাসতো আবার কখনো অন্যকে হাসাতো। এ ধারা রামায়ণ, মহাভারত, শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন থেকে শুরু করে যাত্রা ও কবিগান পর্যন্ত দেখা যায়। সময়ের বাঁকবদলে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত থেকে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ইসলাম এবং তাঁদের পরেও অনেক লেখককের মাধ্যমে রঙ্গ-ব্যঙ্গ পরিবেশিত হয়েছে। বিশ্বসাহিত্যের মতো বাংলাসাহিত্যেও এ ধারার শক্তিমান লেখক হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন অনেকে। এঁদের মধ্যে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত, প্রমথ চৌধুরী, পরশুরাম, শিবরাম চক্রবর্তী, পরিমল গোস্বামী, সৈয়দ মুজতবা আলী ও আবুল মনসুর আহমদের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

আবুল মনসুর আহমদ, বাংলার ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন সময়ের অকুতোভয় এক যোদ্ধার নাম। এই উপমহাদেশে অনেকবার উচ্চারিত হয়েছে আবুল মনসুর আহমদের নাম এবং স্বাতন্ত্র্যতা নিয়ে বিরাজিত এই নাম এসেছে নানাভাবে আমাদের কাছে। কখনো রাজনীতির মঞ্চে, কখনো সংবাদপত্রে, কখনো সাহিত্যে-স্যাটায়ারিস্ট ও প্রবন্ধের চিন্তানায়ক হিসেবে, এমনকি আইনজীবী হিসেবে সুপ্রিয় নাম। তাঁর জীবনের শুরুতে বাঙালি মুসলমানের চেতনায় উন্মেষ যুগলকে দেখেছেন, যৌবনে উপমহাদেশের স্মরণীয় আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থেকেছেন, পূর্ণজীবনে সংবাদপত্রের সঙ্গে নানা রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং সর্বোপরি একজন জীবনশিল্পীর চোখে চারপাশ গভীরভাবে উপলব্ধি করেছেন।

‘আত্মকথা’ পড়ে জানা যায়, গোঁড়া মোহাম্মদী পরিবারের সন্তান ছিলেন আবুল মনসুর আহমদ। লাল তুর্কি টুপি মাথায় মোহাম্মদীর পক্ষে তর্কেও যেতেন মাঝে মাঝে। ঘটনাক্রমে একদিন তিনি ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের হেড মৌলভী আলী নেওয়াজ ও শিক্ষক মৌলভী শেখ আবদুল মজিদের সংস্পর্শে আসেন। এদের সাহচর্যে আবুল মনসুর প্রথম উদারতার পাঠ নেন। তাঁর এই উদারতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতিও। ১৯১৮-১৯ সাল থেকে তিনি কবরপূজা এবং পীরপূজাসহ হিন্দু-মুসলিম সমাজের সব কুসংস্কারের সরাসরি বিরোধিতা শুরু করেন (আত্মকথা, পৃ. ১৮০-৮১)। এ বিষয়টি ছাড়াও তিনি কলকাতা যাওয়ার পর নতুন চিন্তায় উদ্বুদ্ধ হন। সেখানে বাল্যবন্ধু আবুল কালাম শামসুদ্দীনসহ ইয়াকুব আলী চৌধুরী, ডা. লুত্ফুর রহমান, মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলীকে কাছে পান। এঁরা সবাই বাংলা সাহিত্যের মুক্তচিন্তার লেখক হিসেবে পরিচিত। সওগাতকে কেন্দ্র করে সবার সঙ্গে আবুল মনসুর আহমদ বুদ্ধির মুক্তির পক্ষে সমানে লিখে চলেন। কিছুদিন পর মৌলভী মুজিবুর রহমানকে সভাপতি করে ‘লীগ এগেনস্ট মোল্লাইজম’ গঠন করেন। উদ্দেশ্য ছিল, মোল্লাগিরি (১২ তকবির বনাম ৬ তকবির, জোরে বা আস্তে কথা বলা, তহরিম নিয়ে মারামারি, নামাজ না পড়েও কবর জেয়ারতসহ প্রভৃতি বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি) খতম করা। কারণ, মুসলমানদের কিছু তথাকথিক বাড়াবাড়ি লেখককে ব্যথিত করেছিল। আর টলারেন্সকে এ বিষয়ের প্রতিকার হিসেবে ভাবছেন। টলারেন্স ছাড়া সমাজ জীবনে শান্তি অসম্ভব। এই সময়েই আবুল মনসুর আহমদ ৭টি গল্প নিয়ে প্রথম বই প্রকাশ করেন ‘আয়না’ শিরোনামে। উদারতার কারণেই ‘আয়না’য় অন্তর্ভুক্ত ‘মুজাহেদীন’, ‘নায়েবে নবী’ ও ‘হুজুর কেবলা’র মতো শ্রেষ্ঠ গল্পতে বাস্তব চিত্র ফুটে ওঠে। ‘গো দেওতা কা দেশ’, ‘লীডরে কওম’, ‘বিদ্রোহী সংঘ’ ও ‘ধর্মরাজ্য’ এই চারটি গল্পও অত্যন্ত উন্নত শিল্পমানে। গল্পগুলো ১৯২২-২৯ সালের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় ‘সওগাত’ পত্রিকায়। বই হিসেবে পাঠকের কাছে আসে ১৯৩৫ সালে। ২০১৬ সালে এসে আয়না প্রকাশের ৮০ বছর পূর্তি হলেও তার আবেদন বিন্দুমাত্র ফুরায়নি, বরং বেড়েই চলছে। প্রথম গ্রন্থ দিয়েই আবুল মনসুর আহমদ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যঙ্গ স্রষ্টা হিসেবে খ্যাতি পান। ‘আয়না’ ছাড়াও রয়েছে তাঁর তিনটি ব্যঙ্গ রচনা ‘ফুড কনফারেন্স’, ‘আসমানি পর্দা’ ও ‘গালিভারের সফরনামা’। প্রতিটি গ্রন্থে অতুলনীয় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন সমাজসচেতন এই গল্পকার।

‘আয়না’র প্রথম গল্প ‘হুজুর কেবলা’ গল্পে এমদাদ নামক একজন কলেজ ছাত্র কথিত হুজুরের খপ্পরে পড়েন। সে পীর সাহেবের সান্নিধ্যে গিয়ে কিভাবে নিজের অস্তিত্ব হারান অর্থাৎ হুজুর তার মুরিদের স্ত্রীকে তালাকের মাধ্যমে বিবাহ করল এবং তার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে পীরের মুরিদদের দ্বারা লঞ্ছিত হয়, সেই বিষয়টি উন্মোচিত হয়। হুজুর কেবলা ধর্ম ব্যবসায়ীদের লোভ ও লালসা চরিতার্থ করার বাস্তব ঘটনা, যা অশিক্ষা ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন দরিদ্র বাঙালি মুসলমান সমাজের বাস্তব দলিল। আবুল মনসুর আহমদ ধর্মের নামে ভণ্ডামির এক অসাধারণ চিত্র নিপুণতা ও রঙ্গব্যঙ্গের মাধ্যমে ‘হুজুর কেবলা’ গল্পে চিত্রিত করে সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। এখনো এসব মিথ্যাচার ও ভণ্ডামি থেকে মুক্ত হয়নি আমাদের সমাজ। তাই তো পরবর্তীকালে সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহকে লিখতে হয়েছে ‘লাল সালু’ উপন্যাস। আর ‘লাল সালু’র মজিদের মতোই হুজুরে কেবলার দশা।

‘নায়েবে নবী’ গল্পে দেখা যায়, গ্রামের সরদার মৌলভী সুধারানী সাহেব এবং প্রতিদ্বন্দ্বী মৌলভী গরিবুল্লার প্রভাব-প্রতিপত্তি নিয়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের চিত্র। সেই সঙ্গে স্কুলের ছাত্রদের তুর্কি টুপি পোরানোর ঘটনা, মৌলভীর ইতিহাস জ্ঞানের অভাব, একজনের মৃত্যুতে কিভাবে জানাজা পড়া হবে তা নিয়ে দুই মৌলভীর বাহাস, জুতা পেটাপেটি, ইমামতি নিয়ে কাড়াকাড়ি, ধাক্কাধাক্কি, পরে মাতাব্বরের মধ্যস্থতায় জানাজা। গল্পটি রঙ্গরসপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও গ্রামবাংলার এক সামাজিক বাস্তবতারই আলেখ্য।

‘লীডারে-কওম’ বর্ণিত হয় একাধারে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ভণ্ডামির কাহিনী, সেই সঙ্গে আহলে-হাদিস ও হানাফিদের বিবাদ, হানাফি-মোহাম্মদীর বাহাস। ঐ সুযোগে ইসমাইল সাহেব ‘আহলে-হাদিস-গুর্য’ নামক পত্রিকা প্রকাশ করেন। হানাফি-নিন্দার সঙ্গে সঙ্গে কিছু ইংরেজ নিন্দা ও ইসমাইল সাহেব কর্তৃক পত্রিকার মালিকানা গ্রহণ, ময্হাবি-ঝগড়া বিবাদের নিন্দা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে ‘মুসলমান সম্প্রদায়ের তুলনা, ইতিকাফের সাহায্যে ‘মুসলিম বঙ্গের অদ্বিতীয় নেতা হজরত মওলানা সাহেবের ‘অঞ্জুমান-তবলিগুল-ইসলাম’ নামক আঞ্জুমান কায়েম, সর্বত্র শাখা স্থাপন, চাঁদা আদায়, বন্যায় রিলিফের জন্য টাকা সংগ্রহ, খেলাফত আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ, আহলে হাদিস কনফারেন্স, স্বরাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, টাকা-পয়সার হিসাবে গোলমাল তবলিগ, আঞ্জুমান ও খেলাফত নেতা মওলানার কংগ্রসের অন্যতম প্রধান নেতায় উন্নতি, গ্রেফতার, কারাদণ্ড কিন্তু স্বাস্থ্যগত কারণে তিন মাসের মধ্যে মুক্তি এবং স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের জন্য রাঁচি চলে যান। ‘লিডারে কওম’কে অবিভক্ত বাংলার একজন স্বনামধন্য মুসলমান নেতার ‘জীবনপঞ্জি’ বললে ভুল হবে না। আবুল মনসুর আহমদ ঐ মওলানা সাহেব সংবাদপত্রে চাকরি করেছেন সুতরাং তার উদ্ভব ও বিকাশ সম্পর্কে সম্যকভাবে ধারণা লাভ করেন, স্বাভাবিকভাবেই ‘লিডার কওম’-এর চরিত্র বুননে মুন্সিয়ানার পরিচয় মিলে।

‘মুজাহেদিন’ ধর্মীয় ভণ্ডামির কাহিনী, কীভাবে এক অঞ্চলের মধ্যে হানাফি ও মোহাম্মদী উভয় সম্প্রদায়ের শান্তিপূর্ণ বসবাসকে এক বহিরাগত মওলানা বাহাসের মাধ্যেমে সাম্প্রদায়িক সংঘাতে পরিণত করে এবং উভয়পক্ষে সংষর্ষ ও গ্রেফতার, পুলিশি তদন্ত, পরিণামে গ্রামের প্রায় সবার জেল জরিমানা। আর ওদিকে উভয় সম্প্রদায়ের মওলানার বাহাস সভার বিবরণসংবলিত দুটি পৃথক পুস্তিকায় উভয়পক্ষের জয় দাবি। ‘মুজাহেদিন’রা খেলাফত আন্দোলন আর পরবর্তী সময়ে সাম্রাজ্যবাদ ও ঔপনিবেশিক ইংরেজের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে, দেশ ছেড়ে আফগানিস্তানে আর বাংলার মুসলমান সমাজে হানাফি-ওয়াহাবি, সংঘাত বাধিয়ে মুসলমানরা হয় সর্বস্বান্ত। এসব বিষয় রঙ্গরসে চিত্রিত করেন আবুল মনুসর।

‘বিদ্রোহী সংঘ’ গল্পে ইংরেজবিরোধী সশস্ত্র বিপ্লবী দলের কর্মী ও নেতার স্ববিরোধিতার স্যাটায়ার। এটি অত্যন্ত রসাত্মক হলেও ভাবুকদের ডুব দিতে হবে বারবার। ‘ধর্ম-রাজ্য’ হিন্দু ও মুসলমানের সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও ইংরেজের ভূমিকার আক্ষরিক চিত্র তরতর করে ভেসে ওঠে। দেখা যাচ্ছে ‘আয়না’ গ্রন্থে তিনি যেমন ধর্ম ব্যবসায়ী ফতোয়াবাজ মৌলবাদী ও স্বার্থপর, সুবিধাবাদী রাজনীতিক তেমন বাংলার দুই প্রধান সম্প্রদায় হিন্দু ও মুসলমান সমাজের সাম্প্রদায়িকতাকে সমান তীব্রতার সঙ্গে ব্যঙ্গ, পরিহাস সমালোচনা করেছেন। ‘আয়না’ সমালোচনায় তাকে দুর্ধর্ষ বলতেই হবে। সেই সঙ্গে আর একটি বিষয়— আবুল মনসুর আহমদ তার রচনায় বিষয় অনুযায়ী প্রচুর আরবি-ফারসি-ইংরেজি শব্দের ব্যবহার করায় ভাষার শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে। আর রচনার ফর্ম শিল্পবোধকেও করেছে তীক্ষ।

তাই তো আবুল মনসুর আহমদ ‘আয়না’ ও ফুড কনফারেন্সের’ বিষয়ে নিজেই এক প্রবন্ধে বলেন : আমাদের বাংলা সাহিতেও উনিশ শতকের গোড়া থেকেই রসরচনা-প্রাচুর্য দেখা যায়। ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নববাবু বিলাস’ প্যারিচাঁদ মিত্র ওরফে টেকচাঁদ ঠাকুরের ‘আলালের ঘরের দুলাল’ কালীপ্রসন্ন সিংহের ‘হুতুম পেঁচার নকশা’ বঙ্কিমচন্দ্রের ‘কমলাকান্তের দফতর’ও ‘লোকরহস্য’ মীর মশাররফ হোসেনের ‘গাজী মিয়ার বস্তানী’ রাজশেখর বসুর ‘গড্ডলিকা’ বাংলা গদ্যসাহিত্যে ব্যঙ্গ রচনার ক্রমাগত ধারা বজায় রেখেছে। এর পিছনে আমার ‘আয়না’ ও ফুড কনফারেন্সের নামও বলতে পারেন।

আবুল মনসুর আহমদের রচনাগুলো আপাতদৃষ্টিতে কিছুটা হাসির সৃষ্টি করলেও লেখকের মর্মভেদী কান্না, কখনো স্পষ্ট, কখনো প্রচ্ছন্ন থেকে পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করেছিল। তিনি হেসেছেন, হাসিয়েছেন, কিন্তু হৃদয় নিংড়ানো কান্নাও কেঁদেছেন প্রচুর। রবীন্দ্রনাথের একটি কবিতার চরণের সঙ্গে সঙ্গে অনুভূতির কিছুটা মিল তার রচনায় দেখা যায়। ‘বাইরে রবে হাসির ছটা, ভিতরে থাকে অশ্রুজল’।

‘আয়না’ বইটি আগাগোড়াই অতি উচ্চমানের সুস্মিত রচনা। এতে লেখক লেখনীশক্তি ও দূরদৃষ্টিতে কাহিনী নির্মাণে ফেঁদেছেন নিজস্ব ঢঙে। সরল কথকের গুণাবলির সমাহার আয়না গ্রন্থটিতে। ‘গো দেওতা কা দেশ’ গল্পে সামাজিক বিত্তে নিম্নশ্রেণির এবং মানবিক বৃত্তিতে গরু নামক অবলার মাধ্যমে লেখক কেবল মনুষ্য সমাজের লোভ, লালসা, অনাচার, অবিচার প্রতিকৃতি আঁকেননি, জীব জগতের অন্তরের আর্তির প্রতিধ্বনিও শুনিয়েছেন। এক কথায় আবুল মনসুর আহমদের প্রতিভার আঁচড়ে দৈনন্দিনের যন্ত্রণা, গঞ্জনাই অথবা সাদামাঠা ঘটনাপ্রবাহও লক্ষ্যভেদী রম্য হয়ে উঠতে পারে তা তাঁর রচনা না পড়লে বুঝা সম্ভব না।

 

অনায়াসেই বলা যায়—আবুল মনসুর আহমদ সমকাল, সমাজ, জনগণ ও রাজনীতিসচেতন গল্পকার। সমাজের অতি-নিকটে কথকের বসবাস। জীবনের কঠিন বাস্তবতায় পায়ে হেঁটে চলায় নানা অনুঘটনা ভিড় করেছে তাঁর অভিজ্ঞতার ডালিতে। আর খোলা চোখে দেখা ঘটনাপুঞ্জ ও চরিত্রের সন্নিবেশ ঘটেছে তাঁর সাহিত্যকর্মে, তার মধ্যে ‘আয়না’ গ্রন্থটি উল্লেখযোগ্য। ‘আয়নার ফ্রেম’ নামক ভূমিকায় কাজী নজরুল ইসলাম স্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন— ‘এমনি আয়নায় শুধু মানুষের বাইরের প্রতিচ্ছবিই দেখা যায়। কিন্তু আমার বন্ধু শিল্পী আবুল মনসুর যে আয়না তৈরি করেছেন, তাতে মানুষের অন্তরের রূপ ধরা পড়েছে। যেসব মানুষ হরেক রকমের মুখোশ পরে আমাদের সমাজে অবাধে বিচরণ করছে আবুল মনসুরের আয়নার ভিতরে তাদের স্বরূপ মূর্তি বন্য মন্দিরে, মসজিদে, বক্তৃতার মঞ্চে, পলিটিকসের আখড়ায়, সাহিত্য সমাজে বহুবার দেখেছি বলে মনে হচ্ছে।’

আর সে জন্যই অন্য সব পরিচিতি ডিঙিয়ে একমাত্র সাহিত্যিক আবুল মনসুর আহমদই যেন সর্বোপরি অধিষ্ঠিত নাম, আজকের যেমন তেমনি অনাগত কালের জন্যও। মননশীলতার বিচারে দেখলে আবুল মনসুর আহমদ নামের যে বটবৃক্ষ- সময়ের মধ্যে থেকে সব সহজযোগ নাগালে থাকলেও, সময়ের অনাচারের বিরুদ্ধে অবিচল বটের মতো স্থির ছিলেন। সম্প্রদায়ের প্রতি; প্রত্যক্ষ ও উচ্চকিত হৃদ্যতা থাকা সত্ত্বেও অসাম্প্রদায়িকতার পরিচয় দিয়েছেন। প্রসঙ্গে এমিরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের বক্তব্যটি উল্লেখযোগ্য : ‘পরাশুরাম হিন্দু দেবদেবী নিয়ে অনেক কিছু বলেছেন, হিন্দু সম্প্রদায় তা সহ্য করেছে। আবুল মনসুর আহমদের দুঃসাহস সেদিন সমাজ সহ্য করেছিল। আজ কোন সম্পাদক এমন গল্প ছাপতে সাহস করবে কিনা এবং সমাজ তা সহ্য করবে কিনা, সে সম্পর্কে আমার সন্দেহ আছে। আবুল মনসুরের আক্রমণের লক্ষ্য কোনো ব্যক্তি, ধর্ম বা সম্প্রদায় নয়। তাঁর বিদ্রোহ কুসংস্কারের বিরুদ্ধে। ‘আয়না’ প্রকাশের এতকাল পরেও মনে হয়, এরকম একটি গ্রন্থের প্রয়োজন আজও সমাজে রয়ে গেছে।’

আয়নার একই ভূমিকায় কাজী নজরুল ইসলাম বলেন : ‘বাঙলা ভাষায় ব্যঙ্গ-সাহিত্য খুব উন্নত হয়নি; তার কারণ, ব্যঙ্গ-সৃষ্টিতে অসাধারণ প্রতিভার প্রয়োজন। এ যেন সেতারের কান মলে সুর বের করা-সুরও বেরুবে, তারও ছিঁড়বে না। আমি একবার এক ওস্তাদকে লাঠি দিয়ে স্বরোধ বাজাতে দেখেছিলাম। সেদিন সেই ওস্তাদের হাত সাফাই দেখে তাজ্জব হয়েছিলুম। আর আজ বন্ধু আবুল মনসুরের হাত সাফাই দেখে বিস্মিত হলুম। ভাষার কান মলে রস সৃষ্টির ক্ষমতা আবুল মনসুরের অসাধারণ। এ যেন পাকা ওস্তাদী হাত।’

সত্যি আবুল মনসুর আহমদ পাকা হাতের পরিচয়ই দিয়েছেন তার রচনাতে। ‘আয়না’ তাঁর সমকালকে অতিক্রম করে আগামীকালেও দীক্ষা দিচ্ছে। সাহিত্য চিরকালীন সত্যের পটভূমিতে মানবিক দর্শনের বিশুদ্ধ ক্ষেত্র, শিল্পের জায়গা থেকে, যেমন তেমনি দর্শনের জায়গা থেকে সত্য। বিশ্বাস তা হারাবে না কোনোদিন চোরাবালিতে।

সাধারণ পরিবার থেকে ওঠে এসে অস্তিত্ব রক্ষার নানা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যে জীবনের প্রতিষ্ঠা, তার পক্ষেই সূক্ষ্ম শিল্প সাধনা কতটা পরিশ্রমের! কিন্তু এ সংগ্রামের ইতিহাসকে বিচ্ছিন্ন না করে, বরং জাতিসত্তার ইতিহাসের সঙ্গে নিজেকে জুড়ে দিয়ে যিনি তাকে সাহিত্য-নির্মাণের উপজীব্য করে তুলেছিলেন, তিনি নিশ্চয়ই কৃতিত্বের দাবিদার। সেই অর্থে বাংলা সাহিত্যে আবুল মনসুর আহমদ একজন কৃতী পুরুষ।

এই বিভাগের আরও খবর
পুরোনো চিঠির ভাঁজে
পুরোনো চিঠির ভাঁজে
তোমার কাছে ফিরছি
তোমার কাছে ফিরছি
ডিজিটাল হাটে
ডিজিটাল হাটে
সামনেই শীত, তুমি ব্যস্ত
সামনেই শীত, তুমি ব্যস্ত
হেমন্তবন্দনা
হেমন্তবন্দনা
বৈরী বাতাস
বৈরী বাতাস
বুকপকেট
বুকপকেট
ভুলপুরাণের জোছনা
ভুলপুরাণের জোছনা
সমুদ্রমন্থন
সমুদ্রমন্থন
দুপুরভরা চাঁদ এবং কিছু স্বায়ত্তশাসিত ছায়া
দুপুরভরা চাঁদ এবং কিছু স্বায়ত্তশাসিত ছায়া
লেনদেন
লেনদেন
যদি তুমি
যদি তুমি
সর্বশেষ খবর
ঢাবির ঝুঁকিপূর্ণ ভবন দ্রুত সংস্কারের দাবি ছাত্রদলের
ঢাবির ঝুঁকিপূর্ণ ভবন দ্রুত সংস্কারের দাবি ছাত্রদলের

এই মাত্র | রাজনীতি

শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ
শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ

৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

আজ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
আজ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন
ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন

১৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

আজকের নামাজের সময়সূচি, ২২ নভেম্বর ২০২৫
আজকের নামাজের সময়সূচি, ২২ নভেম্বর ২০২৫

১৭ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

যুদ্ধবিরতির পর থেকে ৬৭ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত : জাতিসংঘ
যুদ্ধবিরতির পর থেকে ৬৭ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত : জাতিসংঘ

১৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ লুইস দিয়াস
তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ লুইস দিয়াস

২৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
ঢাকায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

২৮ মিনিট আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

৪০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকায় সকাল শুরু ২০ ডিগ্রিতে, দিনভর যেমন থাকবে আবহাওয়া
ঢাকায় সকাল শুরু ২০ ডিগ্রিতে, দিনভর যেমন থাকবে আবহাওয়া

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

ভারত সফরের দল ঘোষণা প্রোটিয়াদের, ফিরলেন নরকিয়া
ভারত সফরের দল ঘোষণা প্রোটিয়াদের, ফিরলেন নরকিয়া

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে যুবদল নেতা বহিষ্কার
সোনারগাঁয়ে যুবদল নেতা বহিষ্কার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সশস্ত্র বাহিনী দিবস ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার অভিযাত্রা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার অভিযাত্রা

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

কমেনি প্রশাসনে আওয়ামী সুবিধাভোগীদের দাপট
কমেনি প্রশাসনে আওয়ামী সুবিধাভোগীদের দাপট

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কুমিল্লায় মোটরসাইকেল র‌্যালিতে জামায়াত প্রার্থীর প্রচারণা
কুমিল্লায় মোটরসাইকেল র‌্যালিতে জামায়াত প্রার্থীর প্রচারণা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যেসব বিষয় পরকালে বিশ্বাসের সম্পূরক
যেসব বিষয় পরকালে বিশ্বাসের সম্পূরক

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

তাসকিনের ২৪ রানের ওভার
তাসকিনের ২৪ রানের ওভার

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন
শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খুশকিমুক্ত চুল পেতে চাইলে
খুশকিমুক্ত চুল পেতে চাইলে

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

আলজারি-শামারের চোটে উইন্ডিজ দলে রোচ
আলজারি-শামারের চোটে উইন্ডিজ দলে রোচ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী
বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১
কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার
মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা
জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত
ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

১২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

৩৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিস ইউনিভার্স হলেন মেক্সিকান সুন্দরী ফাতিমা বশ
মিস ইউনিভার্স হলেন মেক্সিকান সুন্দরী ফাতিমা বশ

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি
মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

লাউয়ের গ্রাম লালমতি
লাউয়ের গ্রাম লালমতি

শনিবারের সকাল

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন
উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন

নগর জীবন

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

মাঠে ময়দানে

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড
নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম
সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম

নগর জীবন

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই

নগর জীবন