শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

আবুল মনসুর আহমদের আয়না

মুখোশ উন্মোচনের আশি বছর

ইমরান মাহফুজ
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
মুখোশ উন্মোচনের আশি বছর

‘এতভঙ্গ বঙ্গদেশ তবু রঙ্গে ভরা’ বাংলার লোকসাহিত্য নিয়ে এ উক্তি। প্রাচীন ও মধ্যযুগের অধিকাংশ সাহিত্যে কম করে হলেও একটি চরিত্র থাকত যার মাধ্যমে রঙ্গ-ব্যঙ্গাত্মক পরিবেশে আসর জমানো হতো। সে চরিত্র কখনো নিজে হাসতো আবার কখনো অন্যকে হাসাতো। এ ধারা রামায়ণ, মহাভারত, শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন থেকে শুরু করে যাত্রা ও কবিগান পর্যন্ত দেখা যায়। সময়ের বাঁকবদলে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত থেকে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ইসলাম এবং তাঁদের পরেও অনেক লেখককের মাধ্যমে রঙ্গ-ব্যঙ্গ পরিবেশিত হয়েছে। বিশ্বসাহিত্যের মতো বাংলাসাহিত্যেও এ ধারার শক্তিমান লেখক হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন অনেকে। এঁদের মধ্যে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত, প্রমথ চৌধুরী, পরশুরাম, শিবরাম চক্রবর্তী, পরিমল গোস্বামী, সৈয়দ মুজতবা আলী ও আবুল মনসুর আহমদের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

আবুল মনসুর আহমদ, বাংলার ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন সময়ের অকুতোভয় এক যোদ্ধার নাম। এই উপমহাদেশে অনেকবার উচ্চারিত হয়েছে আবুল মনসুর আহমদের নাম এবং স্বাতন্ত্র্যতা নিয়ে বিরাজিত এই নাম এসেছে নানাভাবে আমাদের কাছে। কখনো রাজনীতির মঞ্চে, কখনো সংবাদপত্রে, কখনো সাহিত্যে-স্যাটায়ারিস্ট ও প্রবন্ধের চিন্তানায়ক হিসেবে, এমনকি আইনজীবী হিসেবে সুপ্রিয় নাম। তাঁর জীবনের শুরুতে বাঙালি মুসলমানের চেতনায় উন্মেষ যুগলকে দেখেছেন, যৌবনে উপমহাদেশের স্মরণীয় আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থেকেছেন, পূর্ণজীবনে সংবাদপত্রের সঙ্গে নানা রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং সর্বোপরি একজন জীবনশিল্পীর চোখে চারপাশ গভীরভাবে উপলব্ধি করেছেন।

‘আত্মকথা’ পড়ে জানা যায়, গোঁড়া মোহাম্মদী পরিবারের সন্তান ছিলেন আবুল মনসুর আহমদ। লাল তুর্কি টুপি মাথায় মোহাম্মদীর পক্ষে তর্কেও যেতেন মাঝে মাঝে। ঘটনাক্রমে একদিন তিনি ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের হেড মৌলভী আলী নেওয়াজ ও শিক্ষক মৌলভী শেখ আবদুল মজিদের সংস্পর্শে আসেন। এদের সাহচর্যে আবুল মনসুর প্রথম উদারতার পাঠ নেন। তাঁর এই উদারতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতিও। ১৯১৮-১৯ সাল থেকে তিনি কবরপূজা এবং পীরপূজাসহ হিন্দু-মুসলিম সমাজের সব কুসংস্কারের সরাসরি বিরোধিতা শুরু করেন (আত্মকথা, পৃ. ১৮০-৮১)। এ বিষয়টি ছাড়াও তিনি কলকাতা যাওয়ার পর নতুন চিন্তায় উদ্বুদ্ধ হন। সেখানে বাল্যবন্ধু আবুল কালাম শামসুদ্দীনসহ ইয়াকুব আলী চৌধুরী, ডা. লুত্ফুর রহমান, মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলীকে কাছে পান। এঁরা সবাই বাংলা সাহিত্যের মুক্তচিন্তার লেখক হিসেবে পরিচিত। সওগাতকে কেন্দ্র করে সবার সঙ্গে আবুল মনসুর আহমদ বুদ্ধির মুক্তির পক্ষে সমানে লিখে চলেন। কিছুদিন পর মৌলভী মুজিবুর রহমানকে সভাপতি করে ‘লীগ এগেনস্ট মোল্লাইজম’ গঠন করেন। উদ্দেশ্য ছিল, মোল্লাগিরি (১২ তকবির বনাম ৬ তকবির, জোরে বা আস্তে কথা বলা, তহরিম নিয়ে মারামারি, নামাজ না পড়েও কবর জেয়ারতসহ প্রভৃতি বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি) খতম করা। কারণ, মুসলমানদের কিছু তথাকথিক বাড়াবাড়ি লেখককে ব্যথিত করেছিল। আর টলারেন্সকে এ বিষয়ের প্রতিকার হিসেবে ভাবছেন। টলারেন্স ছাড়া সমাজ জীবনে শান্তি অসম্ভব। এই সময়েই আবুল মনসুর আহমদ ৭টি গল্প নিয়ে প্রথম বই প্রকাশ করেন ‘আয়না’ শিরোনামে। উদারতার কারণেই ‘আয়না’য় অন্তর্ভুক্ত ‘মুজাহেদীন’, ‘নায়েবে নবী’ ও ‘হুজুর কেবলা’র মতো শ্রেষ্ঠ গল্পতে বাস্তব চিত্র ফুটে ওঠে। ‘গো দেওতা কা দেশ’, ‘লীডরে কওম’, ‘বিদ্রোহী সংঘ’ ও ‘ধর্মরাজ্য’ এই চারটি গল্পও অত্যন্ত উন্নত শিল্পমানে। গল্পগুলো ১৯২২-২৯ সালের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় ‘সওগাত’ পত্রিকায়। বই হিসেবে পাঠকের কাছে আসে ১৯৩৫ সালে। ২০১৬ সালে এসে আয়না প্রকাশের ৮০ বছর পূর্তি হলেও তার আবেদন বিন্দুমাত্র ফুরায়নি, বরং বেড়েই চলছে। প্রথম গ্রন্থ দিয়েই আবুল মনসুর আহমদ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যঙ্গ স্রষ্টা হিসেবে খ্যাতি পান। ‘আয়না’ ছাড়াও রয়েছে তাঁর তিনটি ব্যঙ্গ রচনা ‘ফুড কনফারেন্স’, ‘আসমানি পর্দা’ ও ‘গালিভারের সফরনামা’। প্রতিটি গ্রন্থে অতুলনীয় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন সমাজসচেতন এই গল্পকার।

‘আয়না’র প্রথম গল্প ‘হুজুর কেবলা’ গল্পে এমদাদ নামক একজন কলেজ ছাত্র কথিত হুজুরের খপ্পরে পড়েন। সে পীর সাহেবের সান্নিধ্যে গিয়ে কিভাবে নিজের অস্তিত্ব হারান অর্থাৎ হুজুর তার মুরিদের স্ত্রীকে তালাকের মাধ্যমে বিবাহ করল এবং তার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে পীরের মুরিদদের দ্বারা লঞ্ছিত হয়, সেই বিষয়টি উন্মোচিত হয়। হুজুর কেবলা ধর্ম ব্যবসায়ীদের লোভ ও লালসা চরিতার্থ করার বাস্তব ঘটনা, যা অশিক্ষা ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন দরিদ্র বাঙালি মুসলমান সমাজের বাস্তব দলিল। আবুল মনসুর আহমদ ধর্মের নামে ভণ্ডামির এক অসাধারণ চিত্র নিপুণতা ও রঙ্গব্যঙ্গের মাধ্যমে ‘হুজুর কেবলা’ গল্পে চিত্রিত করে সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। এখনো এসব মিথ্যাচার ও ভণ্ডামি থেকে মুক্ত হয়নি আমাদের সমাজ। তাই তো পরবর্তীকালে সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহকে লিখতে হয়েছে ‘লাল সালু’ উপন্যাস। আর ‘লাল সালু’র মজিদের মতোই হুজুরে কেবলার দশা।

‘নায়েবে নবী’ গল্পে দেখা যায়, গ্রামের সরদার মৌলভী সুধারানী সাহেব এবং প্রতিদ্বন্দ্বী মৌলভী গরিবুল্লার প্রভাব-প্রতিপত্তি নিয়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের চিত্র। সেই সঙ্গে স্কুলের ছাত্রদের তুর্কি টুপি পোরানোর ঘটনা, মৌলভীর ইতিহাস জ্ঞানের অভাব, একজনের মৃত্যুতে কিভাবে জানাজা পড়া হবে তা নিয়ে দুই মৌলভীর বাহাস, জুতা পেটাপেটি, ইমামতি নিয়ে কাড়াকাড়ি, ধাক্কাধাক্কি, পরে মাতাব্বরের মধ্যস্থতায় জানাজা। গল্পটি রঙ্গরসপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও গ্রামবাংলার এক সামাজিক বাস্তবতারই আলেখ্য।

‘লীডারে-কওম’ বর্ণিত হয় একাধারে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ভণ্ডামির কাহিনী, সেই সঙ্গে আহলে-হাদিস ও হানাফিদের বিবাদ, হানাফি-মোহাম্মদীর বাহাস। ঐ সুযোগে ইসমাইল সাহেব ‘আহলে-হাদিস-গুর্য’ নামক পত্রিকা প্রকাশ করেন। হানাফি-নিন্দার সঙ্গে সঙ্গে কিছু ইংরেজ নিন্দা ও ইসমাইল সাহেব কর্তৃক পত্রিকার মালিকানা গ্রহণ, ময্হাবি-ঝগড়া বিবাদের নিন্দা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে ‘মুসলমান সম্প্রদায়ের তুলনা, ইতিকাফের সাহায্যে ‘মুসলিম বঙ্গের অদ্বিতীয় নেতা হজরত মওলানা সাহেবের ‘অঞ্জুমান-তবলিগুল-ইসলাম’ নামক আঞ্জুমান কায়েম, সর্বত্র শাখা স্থাপন, চাঁদা আদায়, বন্যায় রিলিফের জন্য টাকা সংগ্রহ, খেলাফত আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ, আহলে হাদিস কনফারেন্স, স্বরাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, টাকা-পয়সার হিসাবে গোলমাল তবলিগ, আঞ্জুমান ও খেলাফত নেতা মওলানার কংগ্রসের অন্যতম প্রধান নেতায় উন্নতি, গ্রেফতার, কারাদণ্ড কিন্তু স্বাস্থ্যগত কারণে তিন মাসের মধ্যে মুক্তি এবং স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের জন্য রাঁচি চলে যান। ‘লিডারে কওম’কে অবিভক্ত বাংলার একজন স্বনামধন্য মুসলমান নেতার ‘জীবনপঞ্জি’ বললে ভুল হবে না। আবুল মনসুর আহমদ ঐ মওলানা সাহেব সংবাদপত্রে চাকরি করেছেন সুতরাং তার উদ্ভব ও বিকাশ সম্পর্কে সম্যকভাবে ধারণা লাভ করেন, স্বাভাবিকভাবেই ‘লিডার কওম’-এর চরিত্র বুননে মুন্সিয়ানার পরিচয় মিলে।

‘মুজাহেদিন’ ধর্মীয় ভণ্ডামির কাহিনী, কীভাবে এক অঞ্চলের মধ্যে হানাফি ও মোহাম্মদী উভয় সম্প্রদায়ের শান্তিপূর্ণ বসবাসকে এক বহিরাগত মওলানা বাহাসের মাধ্যেমে সাম্প্রদায়িক সংঘাতে পরিণত করে এবং উভয়পক্ষে সংষর্ষ ও গ্রেফতার, পুলিশি তদন্ত, পরিণামে গ্রামের প্রায় সবার জেল জরিমানা। আর ওদিকে উভয় সম্প্রদায়ের মওলানার বাহাস সভার বিবরণসংবলিত দুটি পৃথক পুস্তিকায় উভয়পক্ষের জয় দাবি। ‘মুজাহেদিন’রা খেলাফত আন্দোলন আর পরবর্তী সময়ে সাম্রাজ্যবাদ ও ঔপনিবেশিক ইংরেজের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে, দেশ ছেড়ে আফগানিস্তানে আর বাংলার মুসলমান সমাজে হানাফি-ওয়াহাবি, সংঘাত বাধিয়ে মুসলমানরা হয় সর্বস্বান্ত। এসব বিষয় রঙ্গরসে চিত্রিত করেন আবুল মনুসর।

‘বিদ্রোহী সংঘ’ গল্পে ইংরেজবিরোধী সশস্ত্র বিপ্লবী দলের কর্মী ও নেতার স্ববিরোধিতার স্যাটায়ার। এটি অত্যন্ত রসাত্মক হলেও ভাবুকদের ডুব দিতে হবে বারবার। ‘ধর্ম-রাজ্য’ হিন্দু ও মুসলমানের সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও ইংরেজের ভূমিকার আক্ষরিক চিত্র তরতর করে ভেসে ওঠে। দেখা যাচ্ছে ‘আয়না’ গ্রন্থে তিনি যেমন ধর্ম ব্যবসায়ী ফতোয়াবাজ মৌলবাদী ও স্বার্থপর, সুবিধাবাদী রাজনীতিক তেমন বাংলার দুই প্রধান সম্প্রদায় হিন্দু ও মুসলমান সমাজের সাম্প্রদায়িকতাকে সমান তীব্রতার সঙ্গে ব্যঙ্গ, পরিহাস সমালোচনা করেছেন। ‘আয়না’ সমালোচনায় তাকে দুর্ধর্ষ বলতেই হবে। সেই সঙ্গে আর একটি বিষয়— আবুল মনসুর আহমদ তার রচনায় বিষয় অনুযায়ী প্রচুর আরবি-ফারসি-ইংরেজি শব্দের ব্যবহার করায় ভাষার শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে। আর রচনার ফর্ম শিল্পবোধকেও করেছে তীক্ষ।

তাই তো আবুল মনসুর আহমদ ‘আয়না’ ও ফুড কনফারেন্সের’ বিষয়ে নিজেই এক প্রবন্ধে বলেন : আমাদের বাংলা সাহিতেও উনিশ শতকের গোড়া থেকেই রসরচনা-প্রাচুর্য দেখা যায়। ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নববাবু বিলাস’ প্যারিচাঁদ মিত্র ওরফে টেকচাঁদ ঠাকুরের ‘আলালের ঘরের দুলাল’ কালীপ্রসন্ন সিংহের ‘হুতুম পেঁচার নকশা’ বঙ্কিমচন্দ্রের ‘কমলাকান্তের দফতর’ও ‘লোকরহস্য’ মীর মশাররফ হোসেনের ‘গাজী মিয়ার বস্তানী’ রাজশেখর বসুর ‘গড্ডলিকা’ বাংলা গদ্যসাহিত্যে ব্যঙ্গ রচনার ক্রমাগত ধারা বজায় রেখেছে। এর পিছনে আমার ‘আয়না’ ও ফুড কনফারেন্সের নামও বলতে পারেন।

আবুল মনসুর আহমদের রচনাগুলো আপাতদৃষ্টিতে কিছুটা হাসির সৃষ্টি করলেও লেখকের মর্মভেদী কান্না, কখনো স্পষ্ট, কখনো প্রচ্ছন্ন থেকে পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করেছিল। তিনি হেসেছেন, হাসিয়েছেন, কিন্তু হৃদয় নিংড়ানো কান্নাও কেঁদেছেন প্রচুর। রবীন্দ্রনাথের একটি কবিতার চরণের সঙ্গে সঙ্গে অনুভূতির কিছুটা মিল তার রচনায় দেখা যায়। ‘বাইরে রবে হাসির ছটা, ভিতরে থাকে অশ্রুজল’।

‘আয়না’ বইটি আগাগোড়াই অতি উচ্চমানের সুস্মিত রচনা। এতে লেখক লেখনীশক্তি ও দূরদৃষ্টিতে কাহিনী নির্মাণে ফেঁদেছেন নিজস্ব ঢঙে। সরল কথকের গুণাবলির সমাহার আয়না গ্রন্থটিতে। ‘গো দেওতা কা দেশ’ গল্পে সামাজিক বিত্তে নিম্নশ্রেণির এবং মানবিক বৃত্তিতে গরু নামক অবলার মাধ্যমে লেখক কেবল মনুষ্য সমাজের লোভ, লালসা, অনাচার, অবিচার প্রতিকৃতি আঁকেননি, জীব জগতের অন্তরের আর্তির প্রতিধ্বনিও শুনিয়েছেন। এক কথায় আবুল মনসুর আহমদের প্রতিভার আঁচড়ে দৈনন্দিনের যন্ত্রণা, গঞ্জনাই অথবা সাদামাঠা ঘটনাপ্রবাহও লক্ষ্যভেদী রম্য হয়ে উঠতে পারে তা তাঁর রচনা না পড়লে বুঝা সম্ভব না।

 

অনায়াসেই বলা যায়—আবুল মনসুর আহমদ সমকাল, সমাজ, জনগণ ও রাজনীতিসচেতন গল্পকার। সমাজের অতি-নিকটে কথকের বসবাস। জীবনের কঠিন বাস্তবতায় পায়ে হেঁটে চলায় নানা অনুঘটনা ভিড় করেছে তাঁর অভিজ্ঞতার ডালিতে। আর খোলা চোখে দেখা ঘটনাপুঞ্জ ও চরিত্রের সন্নিবেশ ঘটেছে তাঁর সাহিত্যকর্মে, তার মধ্যে ‘আয়না’ গ্রন্থটি উল্লেখযোগ্য। ‘আয়নার ফ্রেম’ নামক ভূমিকায় কাজী নজরুল ইসলাম স্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন— ‘এমনি আয়নায় শুধু মানুষের বাইরের প্রতিচ্ছবিই দেখা যায়। কিন্তু আমার বন্ধু শিল্পী আবুল মনসুর যে আয়না তৈরি করেছেন, তাতে মানুষের অন্তরের রূপ ধরা পড়েছে। যেসব মানুষ হরেক রকমের মুখোশ পরে আমাদের সমাজে অবাধে বিচরণ করছে আবুল মনসুরের আয়নার ভিতরে তাদের স্বরূপ মূর্তি বন্য মন্দিরে, মসজিদে, বক্তৃতার মঞ্চে, পলিটিকসের আখড়ায়, সাহিত্য সমাজে বহুবার দেখেছি বলে মনে হচ্ছে।’

আর সে জন্যই অন্য সব পরিচিতি ডিঙিয়ে একমাত্র সাহিত্যিক আবুল মনসুর আহমদই যেন সর্বোপরি অধিষ্ঠিত নাম, আজকের যেমন তেমনি অনাগত কালের জন্যও। মননশীলতার বিচারে দেখলে আবুল মনসুর আহমদ নামের যে বটবৃক্ষ- সময়ের মধ্যে থেকে সব সহজযোগ নাগালে থাকলেও, সময়ের অনাচারের বিরুদ্ধে অবিচল বটের মতো স্থির ছিলেন। সম্প্রদায়ের প্রতি; প্রত্যক্ষ ও উচ্চকিত হৃদ্যতা থাকা সত্ত্বেও অসাম্প্রদায়িকতার পরিচয় দিয়েছেন। প্রসঙ্গে এমিরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের বক্তব্যটি উল্লেখযোগ্য : ‘পরাশুরাম হিন্দু দেবদেবী নিয়ে অনেক কিছু বলেছেন, হিন্দু সম্প্রদায় তা সহ্য করেছে। আবুল মনসুর আহমদের দুঃসাহস সেদিন সমাজ সহ্য করেছিল। আজ কোন সম্পাদক এমন গল্প ছাপতে সাহস করবে কিনা এবং সমাজ তা সহ্য করবে কিনা, সে সম্পর্কে আমার সন্দেহ আছে। আবুল মনসুরের আক্রমণের লক্ষ্য কোনো ব্যক্তি, ধর্ম বা সম্প্রদায় নয়। তাঁর বিদ্রোহ কুসংস্কারের বিরুদ্ধে। ‘আয়না’ প্রকাশের এতকাল পরেও মনে হয়, এরকম একটি গ্রন্থের প্রয়োজন আজও সমাজে রয়ে গেছে।’

আয়নার একই ভূমিকায় কাজী নজরুল ইসলাম বলেন : ‘বাঙলা ভাষায় ব্যঙ্গ-সাহিত্য খুব উন্নত হয়নি; তার কারণ, ব্যঙ্গ-সৃষ্টিতে অসাধারণ প্রতিভার প্রয়োজন। এ যেন সেতারের কান মলে সুর বের করা-সুরও বেরুবে, তারও ছিঁড়বে না। আমি একবার এক ওস্তাদকে লাঠি দিয়ে স্বরোধ বাজাতে দেখেছিলাম। সেদিন সেই ওস্তাদের হাত সাফাই দেখে তাজ্জব হয়েছিলুম। আর আজ বন্ধু আবুল মনসুরের হাত সাফাই দেখে বিস্মিত হলুম। ভাষার কান মলে রস সৃষ্টির ক্ষমতা আবুল মনসুরের অসাধারণ। এ যেন পাকা ওস্তাদী হাত।’

সত্যি আবুল মনসুর আহমদ পাকা হাতের পরিচয়ই দিয়েছেন তার রচনাতে। ‘আয়না’ তাঁর সমকালকে অতিক্রম করে আগামীকালেও দীক্ষা দিচ্ছে। সাহিত্য চিরকালীন সত্যের পটভূমিতে মানবিক দর্শনের বিশুদ্ধ ক্ষেত্র, শিল্পের জায়গা থেকে, যেমন তেমনি দর্শনের জায়গা থেকে সত্য। বিশ্বাস তা হারাবে না কোনোদিন চোরাবালিতে।

সাধারণ পরিবার থেকে ওঠে এসে অস্তিত্ব রক্ষার নানা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যে জীবনের প্রতিষ্ঠা, তার পক্ষেই সূক্ষ্ম শিল্প সাধনা কতটা পরিশ্রমের! কিন্তু এ সংগ্রামের ইতিহাসকে বিচ্ছিন্ন না করে, বরং জাতিসত্তার ইতিহাসের সঙ্গে নিজেকে জুড়ে দিয়ে যিনি তাকে সাহিত্য-নির্মাণের উপজীব্য করে তুলেছিলেন, তিনি নিশ্চয়ই কৃতিত্বের দাবিদার। সেই অর্থে বাংলা সাহিত্যে আবুল মনসুর আহমদ একজন কৃতী পুরুষ।

এই বিভাগের আরও খবর
রূপকথার গান গানের রূপকথা
রূপকথার গান গানের রূপকথা
একটি চুমুর আকাঙ্ক্ষা
একটি চুমুর আকাঙ্ক্ষা
প্রভাত পাখির গান
প্রভাত পাখির গান
রঙ বদলের খেলা
রঙ বদলের খেলা
বিষণ্নতা
বিষণ্নতা
একা দাঁড়িয়ে একটি গাছ
একা দাঁড়িয়ে একটি গাছ
চূর্ণ পঙ্ক্তি
চূর্ণ পঙ্ক্তি
ইস্কুলকালের ইরেজার
ইস্কুলকালের ইরেজার
আঁকারীতি
আঁকারীতি
একলা হয়ে যায় সন্ধ্যা
একলা হয়ে যায় সন্ধ্যা
অব্যক্ত আলাপ
অব্যক্ত আলাপ
কবিতার ময়মনসিংহ সেকাল-একাল
কবিতার ময়মনসিংহ সেকাল-একাল
সর্বশেষ খবর
শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি ৪৫০০ কোটি টাকা
শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি ৪৫০০ কোটি টাকা

৩ মিনিট আগে | অর্থনীতি

হবিগঞ্জে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
হবিগঞ্জে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীর বনানীতে গৃহবধূর আত্মহত্যা
রাজধানীর বনানীতে গৃহবধূর আত্মহত্যা

১৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

২০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

পারিবারিক কলহের জেরে চকবাজারে গৃহবধূর আত্মহত্যা
পারিবারিক কলহের জেরে চকবাজারে গৃহবধূর আত্মহত্যা

৪৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

মাছ চুরির অপরাধে দুই যুবককে মারধর, গ্রাম্য বিচারক গ্রেপ্তার
মাছ চুরির অপরাধে দুই যুবককে মারধর, গ্রাম্য বিচারক গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ
ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ

১ ঘণ্টা আগে | টক শো

জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি
জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান
মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার
মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ফিফা দ্য বেস্ট ২০২৫: বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন ঘোষণা
ফিফা দ্য বেস্ট ২০২৫: বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন ঘোষণা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরে দেশ ও জাতির মুক্তি হয়েছিল : সেলিমুজ্জামান
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরে দেশ ও জাতির মুক্তি হয়েছিল : সেলিমুজ্জামান

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

জাপানের শ্রম ঘাটতি পূরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ
জাপানের শ্রম ঘাটতি পূরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান বুঝে জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হবে: নুর
রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান বুঝে জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হবে: নুর

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‌‌‌‌‘স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষে ভোট দিতে হবে’
‌‌‌‌‘স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষে ভোট দিতে হবে’

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মেহেরপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
মেহেরপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে বিএনপির শোভাযাত্রা
বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে বিএনপির শোভাযাত্রা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আরবি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উন্নয়নের উদ্যোগ নিচ্ছে উপসাগরীয় দেশগুলো
আরবি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উন্নয়নের উদ্যোগ নিচ্ছে উপসাগরীয় দেশগুলো

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

আগামীর বাংলাদেশে বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি করতে চাই : মাহদী আমিন
আগামীর বাংলাদেশে বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি করতে চাই : মাহদী আমিন

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

চট্টগ্রামে পৃথক ঘটনায় গ্রেফতার ৪
চট্টগ্রামে পৃথক ঘটনায় গ্রেফতার ৪

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল
পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নোয়াখালীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
নোয়াখালীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন বিরোধীদের ৭ নভেম্বরের চেতনায় পরাজিত করতে হবে : আমীর খসরু
নির্বাচন বিরোধীদের ৭ নভেম্বরের চেতনায় পরাজিত করতে হবে : আমীর খসরু

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পরবর্তী আইপিএলও খেলবেন ধোনি
পরবর্তী আইপিএলও খেলবেন ধোনি

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু
শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নওগাঁয় কর্মীসভা অনুষ্ঠিত
নওগাঁয় কর্মীসভা অনুষ্ঠিত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সোনারগাঁয়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
সোনারগাঁয়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধানের শীষের পক্ষে জনমত বাড়াতে মোংলায় বিএনপির উঠান বৈঠক
ধানের শীষের পক্ষে জনমত বাড়াতে মোংলায় বিএনপির উঠান বৈঠক

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

হঠাৎ মাঝ আকাশে পোড়া গন্ধ, আতঙ্কে উড়োজাহাজের যাত্রীরা!
হঠাৎ মাঝ আকাশে পোড়া গন্ধ, আতঙ্কে উড়োজাহাজের যাত্রীরা!

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
জামায়াতের আলোচনার প্রস্তাব, যা বললেন বিএনপির মহাসচিব
জামায়াতের আলোচনার প্রস্তাব, যা বললেন বিএনপির মহাসচিব

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ট্রাম্প
ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ট্রাম্প

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক ওভারে আব্বাস আফ্রিদির ৬ ছক্কা
এক ওভারে আব্বাস আফ্রিদির ৬ ছক্কা

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাহানারার মতো ভুক্তভোগীদের মুখ খোলার অনুরোধ তামিমের
জাহানারার মতো ভুক্তভোগীদের মুখ খোলার অনুরোধ তামিমের

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন : প্রেস সচিব
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন : প্রেস সচিব

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই ভাইয়ের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ
দুই ভাইয়ের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাড়িতে ঢুকে পড়ছে ভালুক, সেনা মোতায়েন
বাড়িতে ঢুকে পড়ছে ভালুক, সেনা মোতায়েন

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই সনদের ঐকমত্যের আইনানুগ বাস্তবায়নের আহ্বান বিএনপির
জুলাই সনদের ঐকমত্যের আইনানুগ বাস্তবায়নের আহ্বান বিএনপির

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল চুরি, বরখাস্ত আনসার সদস্য
পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল চুরি, বরখাস্ত আনসার সদস্য

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর
গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছোট ভাইয়ের সঙ্গে মারামারি করতে মাইকে ঘোষণা দিলেন বড় ভাই
ছোট ভাইয়ের সঙ্গে মারামারি করতে মাইকে ঘোষণা দিলেন বড় ভাই

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অবসরের ঘোষণার পর ন্যান্সি পেলোসিকে ‘শয়তান মহিলা’ বললেন ট্রাম্প
অবসরের ঘোষণার পর ন্যান্সি পেলোসিকে ‘শয়তান মহিলা’ বললেন ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচিত সেই বিড়াল হত্যাকারী নারী আটক
আলোচিত সেই বিড়াল হত্যাকারী নারী আটক

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শাহজালাল বিমানবন্দরে জুতা-প্যান্ট-শার্টে লুকানো ১৫ মোবাইল
শাহজালাল বিমানবন্দরে জুতা-প্যান্ট-শার্টে লুকানো ১৫ মোবাইল

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ
বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি
‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাজধানীতে সবজি স্থিতিশীল, অস্থির পেঁয়াজের বাজার
রাজধানীতে সবজি স্থিতিশীল, অস্থির পেঁয়াজের বাজার

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ডি ককের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে হেসেখেলে হারাল প্রোটিয়ারা
ডি ককের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে হেসেখেলে হারাল প্রোটিয়ারা

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৭ ভেন্যু চূড়ান্ত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৭ ভেন্যু চূড়ান্ত

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ
আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ

২৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল
পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর
চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘আয়নাঘর’ থেকে বেঁচে ফিরে বিএনপির প্রার্থী হয়ে মাঠে মাজেদ বাবু
‘আয়নাঘর’ থেকে বেঁচে ফিরে বিএনপির প্রার্থী হয়ে মাঠে মাজেদ বাবু

৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাজাখস্তান
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাজাখস্তান

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিধানসভায় হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না: মিঠুন
বিধানসভায় হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না: মিঠুন

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বন্যায় ডুবতে পারে এশিয়ার যে দেশ, জারি সতর্কতা
বন্যায় ডুবতে পারে এশিয়ার যে দেশ, জারি সতর্কতা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কিছুই জানেন না তিনি, অথচ তাকে নিয়ে ভারতে তুলকালাম!
কিছুই জানেন না তিনি, অথচ তাকে নিয়ে ভারতে তুলকালাম!

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষিকাকে ৬ বছরের শিক্ষার্থীর গুলি, কোটি ডলার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষিকাকে ৬ বছরের শিক্ষার্থীর গুলি, কোটি ডলার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শনিবার থেকে আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা
শনিবার থেকে আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে
সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে

নগর জীবন

হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ
মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ

দেশগ্রাম

ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আজহারুল ইসলাম মান্নানের অনুদান
ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আজহারুল ইসলাম মান্নানের অনুদান

নগর জীবন

ইকবাল ও নজরুলকে নিয়ে ঢাবিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু আগামীকাল
ইকবাল ও নজরুলকে নিয়ে ঢাবিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু আগামীকাল

নগর জীবন

দাম বাড়লেও ঘরে পাট নেই কৃষকের
দাম বাড়লেও ঘরে পাট নেই কৃষকের

দেশগ্রাম

চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর
চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর

দেশগ্রাম

শহীদ জিয়ার আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে
শহীদ জিয়ার আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে

নগর জীবন

উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা
উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা

নগর জীবন

বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার
বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার
দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

নির্বাচন ঠেকাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে
নির্বাচন ঠেকাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে

নগর জীবন

ফিডশিল্পের বাজার প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার
ফিডশিল্পের বাজার প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার

নগর জীবন

বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড
বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড

পূর্ব-পশ্চিম

২২০০ শয্যার হাসপাতালে একটি ইকো মেশিন!
২২০০ শয্যার হাসপাতালে একটি ইকো মেশিন!

নগর জীবন

সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের
সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের

নগর জীবন

মতানৈক্য রাজপথের কর্মসূচিতে মীমাংসা হবে না
মতানৈক্য রাজপথের কর্মসূচিতে মীমাংসা হবে না

নগর জীবন

তুহিনের বাবার মৃত্যুবার্ষিকী
তুহিনের বাবার মৃত্যুবার্ষিকী

খবর

আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের
আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের

দেশগ্রাম

নায়করাজের সেই ছবি
নায়করাজের সেই ছবি

শোবিজ

১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে শ্রমিক থাকবে ৫ হাজার
১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে শ্রমিক থাকবে ৫ হাজার

নগর জীবন

ভয়াবহতা না বুঝেই চলছে আগুন নেভানোর অভিযান
ভয়াবহতা না বুঝেই চলছে আগুন নেভানোর অভিযান

নগর জীবন

তারা ডাকসু নির্বাচনে ভয় পেয়েছে
তারা ডাকসু নির্বাচনে ভয় পেয়েছে

নগর জীবন

হাসপাতালে মৃত রোগীকে জীবিত দেখিয়ে আইসিইউতে
হাসপাতালে মৃত রোগীকে জীবিত দেখিয়ে আইসিইউতে

নগর জীবন

ঐকমত্যের বাইরে কথা বললে বিভেদ বাড়বে
ঐকমত্যের বাইরে কথা বললে বিভেদ বাড়বে

নগর জীবন

রাজনীতি থেকে ন্যান্সি পেলোসির অবসরের ঘোষণা
রাজনীতি থেকে ন্যান্সি পেলোসির অবসরের ঘোষণা

পূর্ব-পশ্চিম

হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না : মিঠুন
হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না : মিঠুন

পূর্ব-পশ্চিম

লাল পতাকা মিছিল ‘বাম বিকল্প’ গড়ার আহ্বান
লাল পতাকা মিছিল ‘বাম বিকল্প’ গড়ার আহ্বান

নগর জীবন

বীরগঞ্জে বসুন্ধরা শুভসংঘের ডাস্টবিন বিতরণ
বীরগঞ্জে বসুন্ধরা শুভসংঘের ডাস্টবিন বিতরণ

নগর জীবন