শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

আবুল মনসুর আহমদের আয়না

মুখোশ উন্মোচনের আশি বছর

ইমরান মাহফুজ
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
মুখোশ উন্মোচনের আশি বছর

‘এতভঙ্গ বঙ্গদেশ তবু রঙ্গে ভরা’ বাংলার লোকসাহিত্য নিয়ে এ উক্তি। প্রাচীন ও মধ্যযুগের অধিকাংশ সাহিত্যে কম করে হলেও একটি চরিত্র থাকত যার মাধ্যমে রঙ্গ-ব্যঙ্গাত্মক পরিবেশে আসর জমানো হতো। সে চরিত্র কখনো নিজে হাসতো আবার কখনো অন্যকে হাসাতো। এ ধারা রামায়ণ, মহাভারত, শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন থেকে শুরু করে যাত্রা ও কবিগান পর্যন্ত দেখা যায়। সময়ের বাঁকবদলে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত থেকে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ইসলাম এবং তাঁদের পরেও অনেক লেখককের মাধ্যমে রঙ্গ-ব্যঙ্গ পরিবেশিত হয়েছে। বিশ্বসাহিত্যের মতো বাংলাসাহিত্যেও এ ধারার শক্তিমান লেখক হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন অনেকে। এঁদের মধ্যে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত, প্রমথ চৌধুরী, পরশুরাম, শিবরাম চক্রবর্তী, পরিমল গোস্বামী, সৈয়দ মুজতবা আলী ও আবুল মনসুর আহমদের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

আবুল মনসুর আহমদ, বাংলার ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন সময়ের অকুতোভয় এক যোদ্ধার নাম। এই উপমহাদেশে অনেকবার উচ্চারিত হয়েছে আবুল মনসুর আহমদের নাম এবং স্বাতন্ত্র্যতা নিয়ে বিরাজিত এই নাম এসেছে নানাভাবে আমাদের কাছে। কখনো রাজনীতির মঞ্চে, কখনো সংবাদপত্রে, কখনো সাহিত্যে-স্যাটায়ারিস্ট ও প্রবন্ধের চিন্তানায়ক হিসেবে, এমনকি আইনজীবী হিসেবে সুপ্রিয় নাম। তাঁর জীবনের শুরুতে বাঙালি মুসলমানের চেতনায় উন্মেষ যুগলকে দেখেছেন, যৌবনে উপমহাদেশের স্মরণীয় আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থেকেছেন, পূর্ণজীবনে সংবাদপত্রের সঙ্গে নানা রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং সর্বোপরি একজন জীবনশিল্পীর চোখে চারপাশ গভীরভাবে উপলব্ধি করেছেন।

‘আত্মকথা’ পড়ে জানা যায়, গোঁড়া মোহাম্মদী পরিবারের সন্তান ছিলেন আবুল মনসুর আহমদ। লাল তুর্কি টুপি মাথায় মোহাম্মদীর পক্ষে তর্কেও যেতেন মাঝে মাঝে। ঘটনাক্রমে একদিন তিনি ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের হেড মৌলভী আলী নেওয়াজ ও শিক্ষক মৌলভী শেখ আবদুল মজিদের সংস্পর্শে আসেন। এদের সাহচর্যে আবুল মনসুর প্রথম উদারতার পাঠ নেন। তাঁর এই উদারতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতিও। ১৯১৮-১৯ সাল থেকে তিনি কবরপূজা এবং পীরপূজাসহ হিন্দু-মুসলিম সমাজের সব কুসংস্কারের সরাসরি বিরোধিতা শুরু করেন (আত্মকথা, পৃ. ১৮০-৮১)। এ বিষয়টি ছাড়াও তিনি কলকাতা যাওয়ার পর নতুন চিন্তায় উদ্বুদ্ধ হন। সেখানে বাল্যবন্ধু আবুল কালাম শামসুদ্দীনসহ ইয়াকুব আলী চৌধুরী, ডা. লুত্ফুর রহমান, মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলীকে কাছে পান। এঁরা সবাই বাংলা সাহিত্যের মুক্তচিন্তার লেখক হিসেবে পরিচিত। সওগাতকে কেন্দ্র করে সবার সঙ্গে আবুল মনসুর আহমদ বুদ্ধির মুক্তির পক্ষে সমানে লিখে চলেন। কিছুদিন পর মৌলভী মুজিবুর রহমানকে সভাপতি করে ‘লীগ এগেনস্ট মোল্লাইজম’ গঠন করেন। উদ্দেশ্য ছিল, মোল্লাগিরি (১২ তকবির বনাম ৬ তকবির, জোরে বা আস্তে কথা বলা, তহরিম নিয়ে মারামারি, নামাজ না পড়েও কবর জেয়ারতসহ প্রভৃতি বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি) খতম করা। কারণ, মুসলমানদের কিছু তথাকথিক বাড়াবাড়ি লেখককে ব্যথিত করেছিল। আর টলারেন্সকে এ বিষয়ের প্রতিকার হিসেবে ভাবছেন। টলারেন্স ছাড়া সমাজ জীবনে শান্তি অসম্ভব। এই সময়েই আবুল মনসুর আহমদ ৭টি গল্প নিয়ে প্রথম বই প্রকাশ করেন ‘আয়না’ শিরোনামে। উদারতার কারণেই ‘আয়না’য় অন্তর্ভুক্ত ‘মুজাহেদীন’, ‘নায়েবে নবী’ ও ‘হুজুর কেবলা’র মতো শ্রেষ্ঠ গল্পতে বাস্তব চিত্র ফুটে ওঠে। ‘গো দেওতা কা দেশ’, ‘লীডরে কওম’, ‘বিদ্রোহী সংঘ’ ও ‘ধর্মরাজ্য’ এই চারটি গল্পও অত্যন্ত উন্নত শিল্পমানে। গল্পগুলো ১৯২২-২৯ সালের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় ‘সওগাত’ পত্রিকায়। বই হিসেবে পাঠকের কাছে আসে ১৯৩৫ সালে। ২০১৬ সালে এসে আয়না প্রকাশের ৮০ বছর পূর্তি হলেও তার আবেদন বিন্দুমাত্র ফুরায়নি, বরং বেড়েই চলছে। প্রথম গ্রন্থ দিয়েই আবুল মনসুর আহমদ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যঙ্গ স্রষ্টা হিসেবে খ্যাতি পান। ‘আয়না’ ছাড়াও রয়েছে তাঁর তিনটি ব্যঙ্গ রচনা ‘ফুড কনফারেন্স’, ‘আসমানি পর্দা’ ও ‘গালিভারের সফরনামা’। প্রতিটি গ্রন্থে অতুলনীয় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন সমাজসচেতন এই গল্পকার।

‘আয়না’র প্রথম গল্প ‘হুজুর কেবলা’ গল্পে এমদাদ নামক একজন কলেজ ছাত্র কথিত হুজুরের খপ্পরে পড়েন। সে পীর সাহেবের সান্নিধ্যে গিয়ে কিভাবে নিজের অস্তিত্ব হারান অর্থাৎ হুজুর তার মুরিদের স্ত্রীকে তালাকের মাধ্যমে বিবাহ করল এবং তার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে পীরের মুরিদদের দ্বারা লঞ্ছিত হয়, সেই বিষয়টি উন্মোচিত হয়। হুজুর কেবলা ধর্ম ব্যবসায়ীদের লোভ ও লালসা চরিতার্থ করার বাস্তব ঘটনা, যা অশিক্ষা ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন দরিদ্র বাঙালি মুসলমান সমাজের বাস্তব দলিল। আবুল মনসুর আহমদ ধর্মের নামে ভণ্ডামির এক অসাধারণ চিত্র নিপুণতা ও রঙ্গব্যঙ্গের মাধ্যমে ‘হুজুর কেবলা’ গল্পে চিত্রিত করে সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। এখনো এসব মিথ্যাচার ও ভণ্ডামি থেকে মুক্ত হয়নি আমাদের সমাজ। তাই তো পরবর্তীকালে সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহকে লিখতে হয়েছে ‘লাল সালু’ উপন্যাস। আর ‘লাল সালু’র মজিদের মতোই হুজুরে কেবলার দশা।

‘নায়েবে নবী’ গল্পে দেখা যায়, গ্রামের সরদার মৌলভী সুধারানী সাহেব এবং প্রতিদ্বন্দ্বী মৌলভী গরিবুল্লার প্রভাব-প্রতিপত্তি নিয়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের চিত্র। সেই সঙ্গে স্কুলের ছাত্রদের তুর্কি টুপি পোরানোর ঘটনা, মৌলভীর ইতিহাস জ্ঞানের অভাব, একজনের মৃত্যুতে কিভাবে জানাজা পড়া হবে তা নিয়ে দুই মৌলভীর বাহাস, জুতা পেটাপেটি, ইমামতি নিয়ে কাড়াকাড়ি, ধাক্কাধাক্কি, পরে মাতাব্বরের মধ্যস্থতায় জানাজা। গল্পটি রঙ্গরসপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও গ্রামবাংলার এক সামাজিক বাস্তবতারই আলেখ্য।

‘লীডারে-কওম’ বর্ণিত হয় একাধারে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ভণ্ডামির কাহিনী, সেই সঙ্গে আহলে-হাদিস ও হানাফিদের বিবাদ, হানাফি-মোহাম্মদীর বাহাস। ঐ সুযোগে ইসমাইল সাহেব ‘আহলে-হাদিস-গুর্য’ নামক পত্রিকা প্রকাশ করেন। হানাফি-নিন্দার সঙ্গে সঙ্গে কিছু ইংরেজ নিন্দা ও ইসমাইল সাহেব কর্তৃক পত্রিকার মালিকানা গ্রহণ, ময্হাবি-ঝগড়া বিবাদের নিন্দা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে ‘মুসলমান সম্প্রদায়ের তুলনা, ইতিকাফের সাহায্যে ‘মুসলিম বঙ্গের অদ্বিতীয় নেতা হজরত মওলানা সাহেবের ‘অঞ্জুমান-তবলিগুল-ইসলাম’ নামক আঞ্জুমান কায়েম, সর্বত্র শাখা স্থাপন, চাঁদা আদায়, বন্যায় রিলিফের জন্য টাকা সংগ্রহ, খেলাফত আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ, আহলে হাদিস কনফারেন্স, স্বরাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, টাকা-পয়সার হিসাবে গোলমাল তবলিগ, আঞ্জুমান ও খেলাফত নেতা মওলানার কংগ্রসের অন্যতম প্রধান নেতায় উন্নতি, গ্রেফতার, কারাদণ্ড কিন্তু স্বাস্থ্যগত কারণে তিন মাসের মধ্যে মুক্তি এবং স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের জন্য রাঁচি চলে যান। ‘লিডারে কওম’কে অবিভক্ত বাংলার একজন স্বনামধন্য মুসলমান নেতার ‘জীবনপঞ্জি’ বললে ভুল হবে না। আবুল মনসুর আহমদ ঐ মওলানা সাহেব সংবাদপত্রে চাকরি করেছেন সুতরাং তার উদ্ভব ও বিকাশ সম্পর্কে সম্যকভাবে ধারণা লাভ করেন, স্বাভাবিকভাবেই ‘লিডার কওম’-এর চরিত্র বুননে মুন্সিয়ানার পরিচয় মিলে।

‘মুজাহেদিন’ ধর্মীয় ভণ্ডামির কাহিনী, কীভাবে এক অঞ্চলের মধ্যে হানাফি ও মোহাম্মদী উভয় সম্প্রদায়ের শান্তিপূর্ণ বসবাসকে এক বহিরাগত মওলানা বাহাসের মাধ্যেমে সাম্প্রদায়িক সংঘাতে পরিণত করে এবং উভয়পক্ষে সংষর্ষ ও গ্রেফতার, পুলিশি তদন্ত, পরিণামে গ্রামের প্রায় সবার জেল জরিমানা। আর ওদিকে উভয় সম্প্রদায়ের মওলানার বাহাস সভার বিবরণসংবলিত দুটি পৃথক পুস্তিকায় উভয়পক্ষের জয় দাবি। ‘মুজাহেদিন’রা খেলাফত আন্দোলন আর পরবর্তী সময়ে সাম্রাজ্যবাদ ও ঔপনিবেশিক ইংরেজের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে, দেশ ছেড়ে আফগানিস্তানে আর বাংলার মুসলমান সমাজে হানাফি-ওয়াহাবি, সংঘাত বাধিয়ে মুসলমানরা হয় সর্বস্বান্ত। এসব বিষয় রঙ্গরসে চিত্রিত করেন আবুল মনুসর।

‘বিদ্রোহী সংঘ’ গল্পে ইংরেজবিরোধী সশস্ত্র বিপ্লবী দলের কর্মী ও নেতার স্ববিরোধিতার স্যাটায়ার। এটি অত্যন্ত রসাত্মক হলেও ভাবুকদের ডুব দিতে হবে বারবার। ‘ধর্ম-রাজ্য’ হিন্দু ও মুসলমানের সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও ইংরেজের ভূমিকার আক্ষরিক চিত্র তরতর করে ভেসে ওঠে। দেখা যাচ্ছে ‘আয়না’ গ্রন্থে তিনি যেমন ধর্ম ব্যবসায়ী ফতোয়াবাজ মৌলবাদী ও স্বার্থপর, সুবিধাবাদী রাজনীতিক তেমন বাংলার দুই প্রধান সম্প্রদায় হিন্দু ও মুসলমান সমাজের সাম্প্রদায়িকতাকে সমান তীব্রতার সঙ্গে ব্যঙ্গ, পরিহাস সমালোচনা করেছেন। ‘আয়না’ সমালোচনায় তাকে দুর্ধর্ষ বলতেই হবে। সেই সঙ্গে আর একটি বিষয়— আবুল মনসুর আহমদ তার রচনায় বিষয় অনুযায়ী প্রচুর আরবি-ফারসি-ইংরেজি শব্দের ব্যবহার করায় ভাষার শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে। আর রচনার ফর্ম শিল্পবোধকেও করেছে তীক্ষ।

তাই তো আবুল মনসুর আহমদ ‘আয়না’ ও ফুড কনফারেন্সের’ বিষয়ে নিজেই এক প্রবন্ধে বলেন : আমাদের বাংলা সাহিতেও উনিশ শতকের গোড়া থেকেই রসরচনা-প্রাচুর্য দেখা যায়। ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নববাবু বিলাস’ প্যারিচাঁদ মিত্র ওরফে টেকচাঁদ ঠাকুরের ‘আলালের ঘরের দুলাল’ কালীপ্রসন্ন সিংহের ‘হুতুম পেঁচার নকশা’ বঙ্কিমচন্দ্রের ‘কমলাকান্তের দফতর’ও ‘লোকরহস্য’ মীর মশাররফ হোসেনের ‘গাজী মিয়ার বস্তানী’ রাজশেখর বসুর ‘গড্ডলিকা’ বাংলা গদ্যসাহিত্যে ব্যঙ্গ রচনার ক্রমাগত ধারা বজায় রেখেছে। এর পিছনে আমার ‘আয়না’ ও ফুড কনফারেন্সের নামও বলতে পারেন।

আবুল মনসুর আহমদের রচনাগুলো আপাতদৃষ্টিতে কিছুটা হাসির সৃষ্টি করলেও লেখকের মর্মভেদী কান্না, কখনো স্পষ্ট, কখনো প্রচ্ছন্ন থেকে পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করেছিল। তিনি হেসেছেন, হাসিয়েছেন, কিন্তু হৃদয় নিংড়ানো কান্নাও কেঁদেছেন প্রচুর। রবীন্দ্রনাথের একটি কবিতার চরণের সঙ্গে সঙ্গে অনুভূতির কিছুটা মিল তার রচনায় দেখা যায়। ‘বাইরে রবে হাসির ছটা, ভিতরে থাকে অশ্রুজল’।

‘আয়না’ বইটি আগাগোড়াই অতি উচ্চমানের সুস্মিত রচনা। এতে লেখক লেখনীশক্তি ও দূরদৃষ্টিতে কাহিনী নির্মাণে ফেঁদেছেন নিজস্ব ঢঙে। সরল কথকের গুণাবলির সমাহার আয়না গ্রন্থটিতে। ‘গো দেওতা কা দেশ’ গল্পে সামাজিক বিত্তে নিম্নশ্রেণির এবং মানবিক বৃত্তিতে গরু নামক অবলার মাধ্যমে লেখক কেবল মনুষ্য সমাজের লোভ, লালসা, অনাচার, অবিচার প্রতিকৃতি আঁকেননি, জীব জগতের অন্তরের আর্তির প্রতিধ্বনিও শুনিয়েছেন। এক কথায় আবুল মনসুর আহমদের প্রতিভার আঁচড়ে দৈনন্দিনের যন্ত্রণা, গঞ্জনাই অথবা সাদামাঠা ঘটনাপ্রবাহও লক্ষ্যভেদী রম্য হয়ে উঠতে পারে তা তাঁর রচনা না পড়লে বুঝা সম্ভব না।

 

অনায়াসেই বলা যায়—আবুল মনসুর আহমদ সমকাল, সমাজ, জনগণ ও রাজনীতিসচেতন গল্পকার। সমাজের অতি-নিকটে কথকের বসবাস। জীবনের কঠিন বাস্তবতায় পায়ে হেঁটে চলায় নানা অনুঘটনা ভিড় করেছে তাঁর অভিজ্ঞতার ডালিতে। আর খোলা চোখে দেখা ঘটনাপুঞ্জ ও চরিত্রের সন্নিবেশ ঘটেছে তাঁর সাহিত্যকর্মে, তার মধ্যে ‘আয়না’ গ্রন্থটি উল্লেখযোগ্য। ‘আয়নার ফ্রেম’ নামক ভূমিকায় কাজী নজরুল ইসলাম স্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন— ‘এমনি আয়নায় শুধু মানুষের বাইরের প্রতিচ্ছবিই দেখা যায়। কিন্তু আমার বন্ধু শিল্পী আবুল মনসুর যে আয়না তৈরি করেছেন, তাতে মানুষের অন্তরের রূপ ধরা পড়েছে। যেসব মানুষ হরেক রকমের মুখোশ পরে আমাদের সমাজে অবাধে বিচরণ করছে আবুল মনসুরের আয়নার ভিতরে তাদের স্বরূপ মূর্তি বন্য মন্দিরে, মসজিদে, বক্তৃতার মঞ্চে, পলিটিকসের আখড়ায়, সাহিত্য সমাজে বহুবার দেখেছি বলে মনে হচ্ছে।’

আর সে জন্যই অন্য সব পরিচিতি ডিঙিয়ে একমাত্র সাহিত্যিক আবুল মনসুর আহমদই যেন সর্বোপরি অধিষ্ঠিত নাম, আজকের যেমন তেমনি অনাগত কালের জন্যও। মননশীলতার বিচারে দেখলে আবুল মনসুর আহমদ নামের যে বটবৃক্ষ- সময়ের মধ্যে থেকে সব সহজযোগ নাগালে থাকলেও, সময়ের অনাচারের বিরুদ্ধে অবিচল বটের মতো স্থির ছিলেন। সম্প্রদায়ের প্রতি; প্রত্যক্ষ ও উচ্চকিত হৃদ্যতা থাকা সত্ত্বেও অসাম্প্রদায়িকতার পরিচয় দিয়েছেন। প্রসঙ্গে এমিরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের বক্তব্যটি উল্লেখযোগ্য : ‘পরাশুরাম হিন্দু দেবদেবী নিয়ে অনেক কিছু বলেছেন, হিন্দু সম্প্রদায় তা সহ্য করেছে। আবুল মনসুর আহমদের দুঃসাহস সেদিন সমাজ সহ্য করেছিল। আজ কোন সম্পাদক এমন গল্প ছাপতে সাহস করবে কিনা এবং সমাজ তা সহ্য করবে কিনা, সে সম্পর্কে আমার সন্দেহ আছে। আবুল মনসুরের আক্রমণের লক্ষ্য কোনো ব্যক্তি, ধর্ম বা সম্প্রদায় নয়। তাঁর বিদ্রোহ কুসংস্কারের বিরুদ্ধে। ‘আয়না’ প্রকাশের এতকাল পরেও মনে হয়, এরকম একটি গ্রন্থের প্রয়োজন আজও সমাজে রয়ে গেছে।’

আয়নার একই ভূমিকায় কাজী নজরুল ইসলাম বলেন : ‘বাঙলা ভাষায় ব্যঙ্গ-সাহিত্য খুব উন্নত হয়নি; তার কারণ, ব্যঙ্গ-সৃষ্টিতে অসাধারণ প্রতিভার প্রয়োজন। এ যেন সেতারের কান মলে সুর বের করা-সুরও বেরুবে, তারও ছিঁড়বে না। আমি একবার এক ওস্তাদকে লাঠি দিয়ে স্বরোধ বাজাতে দেখেছিলাম। সেদিন সেই ওস্তাদের হাত সাফাই দেখে তাজ্জব হয়েছিলুম। আর আজ বন্ধু আবুল মনসুরের হাত সাফাই দেখে বিস্মিত হলুম। ভাষার কান মলে রস সৃষ্টির ক্ষমতা আবুল মনসুরের অসাধারণ। এ যেন পাকা ওস্তাদী হাত।’

সত্যি আবুল মনসুর আহমদ পাকা হাতের পরিচয়ই দিয়েছেন তার রচনাতে। ‘আয়না’ তাঁর সমকালকে অতিক্রম করে আগামীকালেও দীক্ষা দিচ্ছে। সাহিত্য চিরকালীন সত্যের পটভূমিতে মানবিক দর্শনের বিশুদ্ধ ক্ষেত্র, শিল্পের জায়গা থেকে, যেমন তেমনি দর্শনের জায়গা থেকে সত্য। বিশ্বাস তা হারাবে না কোনোদিন চোরাবালিতে।

সাধারণ পরিবার থেকে ওঠে এসে অস্তিত্ব রক্ষার নানা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যে জীবনের প্রতিষ্ঠা, তার পক্ষেই সূক্ষ্ম শিল্প সাধনা কতটা পরিশ্রমের! কিন্তু এ সংগ্রামের ইতিহাসকে বিচ্ছিন্ন না করে, বরং জাতিসত্তার ইতিহাসের সঙ্গে নিজেকে জুড়ে দিয়ে যিনি তাকে সাহিত্য-নির্মাণের উপজীব্য করে তুলেছিলেন, তিনি নিশ্চয়ই কৃতিত্বের দাবিদার। সেই অর্থে বাংলা সাহিত্যে আবুল মনসুর আহমদ একজন কৃতী পুরুষ।

এই বিভাগের আরও খবর
নিজের মাটি
নিজের মাটি
কুমির
কুমির
ভুল দুয়ারে এক পশলা কবিতা
ভুল দুয়ারে এক পশলা কবিতা
ছায়া পোড়ার ধোঁয়া
ছায়া পোড়ার ধোঁয়া
সংহার
সংহার
মায়াবী নিঃসঙ্গ ওম
মায়াবী নিঃসঙ্গ ওম
আমি ও জীবনানন্দ
আমি ও জীবনানন্দ
স্কুলের বন্ধু
স্কুলের বন্ধু
কবিধাম-কবির শহর টাঙ্গাইল
কবিধাম-কবির শহর টাঙ্গাইল
জেগে থাকার জন্য
জেগে থাকার জন্য
অগ্নিসখা
অগ্নিসখা
নাই কিছু নাই
নাই কিছু নাই
সর্বশেষ খবর
ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে জবির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে তালা
ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে জবির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে তালা

১ সেকেন্ড আগে | ক্যাম্পাস

কুষ্টিয়া পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কর্মবিরতি
কুষ্টিয়া পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কর্মবিরতি

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ক্যালগেরির সংগীত সন্ধ্যায় প্রবাসীদের মাতালেন মিনার-মিলা
ক্যালগেরির সংগীত সন্ধ্যায় প্রবাসীদের মাতালেন মিনার-মিলা

১৯ মিনিট আগে | পরবাস

মিটফোর্ড হাসপাতাল ‘শাটডাউন’ ঘোষণা
মিটফোর্ড হাসপাতাল ‘শাটডাউন’ ঘোষণা

২২ মিনিট আগে | জাতীয়

ভারতের রাজ্যসভায় মনোনীত চার সাংসদের নাম ঘোষণা
ভারতের রাজ্যসভায় মনোনীত চার সাংসদের নাম ঘোষণা

২৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৫১ জন
বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৫১ জন

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জামিন পেলেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস
জামিন পেলেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস

২৯ মিনিট আগে | শোবিজ

জুলাই শহীদদের স্মরণে খাবার বিতরণ করল শুভসংঘ বেরোবি শাখা
জুলাই শহীদদের স্মরণে খাবার বিতরণ করল শুভসংঘ বেরোবি শাখা

৩৩ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

লোহারপুল-পোস্তগোলা রাস্তা সংস্কারসহ দুই দাবি এলাকাবাসীর
লোহারপুল-পোস্তগোলা রাস্তা সংস্কারসহ দুই দাবি এলাকাবাসীর

৪০ মিনিট আগে | নগর জীবন

অন্নদা স্কুলের দেড়শ বছর উদযাপনের কার্যক্রমের উদ্বোধন
অন্নদা স্কুলের দেড়শ বছর উদযাপনের কার্যক্রমের উদ্বোধন

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
রাজধানীতে পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

৪২ মিনিট আগে | নগর জীবন

ভালুকায় যৌথ অভিযানে বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার
ভালুকায় যৌথ অভিযানে বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চলে গেলেন দক্ষিণের কিংবদন্তি অভিনেতা কোটা শ্রীনিবাস রাও
চলে গেলেন দক্ষিণের কিংবদন্তি অভিনেতা কোটা শ্রীনিবাস রাও

৫৬ মিনিট আগে | শোবিজ

যে কারণে কমেডিয়ান রোজির নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে চান ট্রাম্প
যে কারণে কমেডিয়ান রোজির নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে চান ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বনানীতে সড়ক অবরোধ সিএনজি চালকদের, তীব্র যানজটে দুর্ভোগ
বনানীতে সড়ক অবরোধ সিএনজি চালকদের, তীব্র যানজটে দুর্ভোগ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২৯ বন্দিকে মুক্তি দিলো কারা কর্তৃপক্ষ
২৯ বন্দিকে মুক্তি দিলো কারা কর্তৃপক্ষ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাহীন ডাকাত বাহিনীর ক্যাশিয়ার ইকবালসহ গ্রেফতার ২
শাহীন ডাকাত বাহিনীর ক্যাশিয়ার ইকবালসহ গ্রেফতার ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জুলাই শহীদ দিবস’ ঘিরে বেরোবিতে নিরাপত্তা জোরদার, বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
‘জুলাই শহীদ দিবস’ ঘিরে বেরোবিতে নিরাপত্তা জোরদার, বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মিটফোর্ডে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
মিটফোর্ডে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সারা দেশে বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমতে পারে ২ ডিগ্রি
সারা দেশে বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমতে পারে ২ ডিগ্রি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনবিআরের আন্দোলনকে সরকারবিরোধী রূপ দেওয়ার ষড়যন্ত্র ছিল: জ্বালানি উপদেষ্টা
এনবিআরের আন্দোলনকে সরকারবিরোধী রূপ দেওয়ার ষড়যন্ত্র ছিল: জ্বালানি উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক এমপি নদভীর পিএস গ্রেফতার
সাবেক এমপি নদভীর পিএস গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিদ্ধিরগঞ্জে ট্রাকচাপায় প্রবাসী নিহত, চালক-হেলপার আটক
সিদ্ধিরগঞ্জে ট্রাকচাপায় প্রবাসী নিহত, চালক-হেলপার আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অস্ট্রেলিয়াকে অল্পেই গুঁড়িয়ে দিয়ে স্বস্তিতে নেই উইন্ডিজও
অস্ট্রেলিয়াকে অল্পেই গুঁড়িয়ে দিয়ে স্বস্তিতে নেই উইন্ডিজও

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঝিনাইদহে ডিবি পরিচয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে অপহরণ, আটক ৪
ঝিনাইদহে ডিবি পরিচয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে অপহরণ, আটক ৪

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এ সপ্তাহে বড় ধরনের অগ্রগতি ঘটাতে চায় কমিশন : আলী রীয়াজ
এ সপ্তাহে বড় ধরনের অগ্রগতি ঘটাতে চায় কমিশন : আলী রীয়াজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাঁদপুরে লেক থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার, ৭ সহপাঠী জিজ্ঞাসাবাদে
চাঁদপুরে লেক থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার, ৭ সহপাঠী জিজ্ঞাসাবাদে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইউক্রেন যুদ্ধ: রাশিয়ার যেকোনও কাজের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থনের ঘোষণা কিমের
ইউক্রেন যুদ্ধ: রাশিয়ার যেকোনও কাজের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থনের ঘোষণা কিমের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ত্বকের ক্ষতি করতে পারে যেসব খাবার
ত্বকের ক্ষতি করতে পারে যেসব খাবার

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

দেখার কেউ নেই শাবির অর্ধকোটি টাকার টেনিস কোর্ট
দেখার কেউ নেই শাবির অর্ধকোটি টাকার টেনিস কোর্ট

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
লেনদেনের দ্বন্দ্বে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে হত্যা : ডিএমপি
লেনদেনের দ্বন্দ্বে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে হত্যা : ডিএমপি

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদল নেতা ফাহিমকে বহিষ্কার, আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান
চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদল নেতা ফাহিমকে বহিষ্কার, আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অতিরিক্ত সচিবসহ তিনজন ওএসডি
অতিরিক্ত সচিবসহ তিনজন ওএসডি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে চলেছে ভারত: রিপোর্ট
বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে চলেছে ভারত: রিপোর্ট

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুরান ঢাকায় সোহাগ হত্যা: আসামি রবিনের স্বীকারোক্তি, ৫ দিনের রিমান্ডে টিটন
পুরান ঢাকায় সোহাগ হত্যা: আসামি রবিনের স্বীকারোক্তি, ৫ দিনের রিমান্ডে টিটন

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

খুতবার সময় হামলা, খতিব শঙ্কামুক্ত, হামলাকারী জেলহাজতে
খুতবার সময় হামলা, খতিব শঙ্কামুক্ত, হামলাকারী জেলহাজতে

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা
ফের দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতে গুহা থেকে দুই সন্তানসহ রুশ নারীকে উদ্ধার
ভারতে গুহা থেকে দুই সন্তানসহ রুশ নারীকে উদ্ধার

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যৌন হয়রানি: শিক্ষকের শাস্তি না হওয়ায় নিজেকে জ্বালিয়ে দিলেন ছাত্রী
যৌন হয়রানি: শিক্ষকের শাস্তি না হওয়ায় নিজেকে জ্বালিয়ে দিলেন ছাত্রী

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১০ লাখ পিস প্যান্টের অর্ডার স্থগিত ওয়ালমার্টের
১০ লাখ পিস প্যান্টের অর্ডার স্থগিত ওয়ালমার্টের

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সোহাগ হত্যার ভিডিও না আসা পর্যন্ত সরকার কী করল-প্রশ্ন রুমিন ফারহানার
সোহাগ হত্যার ভিডিও না আসা পর্যন্ত সরকার কী করল-প্রশ্ন রুমিন ফারহানার

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অপরাধীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তা সরকারের কাছেই প্রশ্ন: তারেক রহমান
অপরাধীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তা সরকারের কাছেই প্রশ্ন: তারেক রহমান

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চাঁদা না দেওয়ায় বাসস্ট্যান্ডে গেলেই গাড়ি ভাঙচুর সেই ফাহিমের
চাঁদা না দেওয়ায় বাসস্ট্যান্ডে গেলেই গাড়ি ভাঙচুর সেই ফাহিমের

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা ব্যবস্থার হুমকি ইউরোপীয় কমিশনের
যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা ব্যবস্থার হুমকি ইউরোপীয় কমিশনের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন বেড়েছে: মির্জা আব্বাস
দেশে সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন বেড়েছে: মির্জা আব্বাস

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কঠোর বিএনপি অপরাধ করলেই শাস্তি
কঠোর বিএনপি অপরাধ করলেই শাস্তি

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সম্পূর্ণ সত্য বললে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে : ট্রাইব্যুনাল
সম্পূর্ণ সত্য বললে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে : ট্রাইব্যুনাল

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শরীরে পোকা, পচে গেছে মস্তিষ্ক— অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
শরীরে পোকা, পচে গেছে মস্তিষ্ক— অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মিটফোর্ডের ঘটনায় কিছু দল ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে: রিজভী
মিটফোর্ডের ঘটনায় কিছু দল ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে: রিজভী

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গোয়েন্দা সংস্থা এলাকা ভিত্তিক তালিকা করে অপরাধীদের চিহ্নিত করছে: আইজিপি
গোয়েন্দা সংস্থা এলাকা ভিত্তিক তালিকা করে অপরাধীদের চিহ্নিত করছে: আইজিপি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা চায় বাম
বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা চায় বাম

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি
ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এমিরেটস এয়ারলাইন্সে যাত্রী হয়রানির অভিযোগে উদ্বেগ
এমিরেটস এয়ারলাইন্সে যাত্রী হয়রানির অভিযোগে উদ্বেগ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভুক্তভোগীর পরিবারের ইচ্ছায় প্রকাশ্যে ধর্ষকের ফাঁসি কার্যকর
ভুক্তভোগীর পরিবারের ইচ্ছায় প্রকাশ্যে ধর্ষকের ফাঁসি কার্যকর

২৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে ৬০ ব্রিটিশ এমপির চিঠি
অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে ৬০ ব্রিটিশ এমপির চিঠি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০০০ বছরের বছরের পুরনো কফিন মিসরকে ফেরত দিল বেলজিয়াম
২০০০ বছরের বছরের পুরনো কফিন মিসরকে ফেরত দিল বেলজিয়াম

৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে ফেল!
এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে ফেল!

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যশোরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
যশোরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-আইএইএ সহযোগিতা ‘নতুন রূপে চলবে’: আরাগচি
ইরান-আইএইএ সহযোগিতা ‘নতুন রূপে চলবে’: আরাগচি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নরওয়ের কাছে ২.৬ বিলিয়ন ডলারের হেলিকপ্টার বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র
নরওয়ের কাছে ২.৬ বিলিয়ন ডলারের হেলিকপ্টার বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বড় ঝুঁকিতে পোশাক খাত
বড় ঝুঁকিতে পোশাক খাত

পেছনের পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজি না ব্যবসার দ্বন্দ্ব, স্বজন ও পুলিশের ভিন্ন দাবি
চাঁদাবাজি না ব্যবসার দ্বন্দ্ব, স্বজন ও পুলিশের ভিন্ন দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীকে হত্যা করে ১১ টুকরা করা স্বামী গ্রেপ্তার
স্ত্রীকে হত্যা করে ১১ টুকরা করা স্বামী গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

নৃশংস হত্যায় তোলপাড়
নৃশংস হত্যায় তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

চোরাই মোবাইলের ভয়ংকর চক্র
চোরাই মোবাইলের ভয়ংকর চক্র

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

৫ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে পল্লবীতে তাণ্ডব
৫ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে পল্লবীতে তাণ্ডব

প্রথম পৃষ্ঠা

কাটল না শুল্কসংকট
কাটল না শুল্কসংকট

প্রথম পৃষ্ঠা

যত আলো  তত অন্ধকার
যত আলো তত অন্ধকার

শোবিজ

প্রেমিকার সঙ্গে প্রেমিকও আটক
প্রেমিকার সঙ্গে প্রেমিকও আটক

পেছনের পৃষ্ঠা

জুলুম নির্যাতন হত্যা গুম কামালের বড় গুণ
জুলুম নির্যাতন হত্যা গুম কামালের বড় গুণ

প্রথম পৃষ্ঠা

পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে অটোরিকশার দখলে
পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে অটোরিকশার দখলে

পেছনের পৃষ্ঠা

কিলিং মিশনে তিনজন, কেউ গ্রেপ্তার হয়নি
কিলিং মিশনে তিনজন, কেউ গ্রেপ্তার হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

হুমায়ুন ফরীদির পারিশ্রমিক ১০১ টাকা
হুমায়ুন ফরীদির পারিশ্রমিক ১০১ টাকা

শোবিজ

প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মী নেবে জাপান
প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মী নেবে জাপান

পেছনের পৃষ্ঠা

হত্যা মামলায় সাজা কমছে যেভাবে
হত্যা মামলায় সাজা কমছে যেভাবে

পেছনের পৃষ্ঠা

নদীর তীরের স্টেডিয়াম ঘিরে ক্রীড়াঙ্গনে নতুন স্বপ্ন
নদীর তীরের স্টেডিয়াম ঘিরে ক্রীড়াঙ্গনে নতুন স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

ববির সমুদ্রবিলাস
ববির সমুদ্রবিলাস

শোবিজ

পুতুলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাধ্যতামূলক ছুটি
পুতুলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাধ্যতামূলক ছুটি

প্রথম পৃষ্ঠা

সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশ করলে ক্ষমা পাবেন চৌধুরী মামুন
সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশ করলে ক্ষমা পাবেন চৌধুরী মামুন

প্রথম পৃষ্ঠা

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-২০ ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর সাব্বিরের
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-২০ ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর সাব্বিরের

মাঠে ময়দানে

তালিকা হচ্ছে দেশে আধিপত্য বিস্তারকারীদের
তালিকা হচ্ছে দেশে আধিপত্য বিস্তারকারীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

কিসাসই এসব কসাইয়ের সমাধান
কিসাসই এসব কসাইয়ের সমাধান

প্রথম পৃষ্ঠা

রংপুর রাইডার্সের প্রতিপক্ষ হোবার্ট হারিকেন্স
রংপুর রাইডার্সের প্রতিপক্ষ হোবার্ট হারিকেন্স

মাঠে ময়দানে

ভুয়া খবরের নেপথ্যে পরকীয়া
ভুয়া খবরের নেপথ্যে পরকীয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

ডাম্বুলায় টি-২০ অভিষেক বাংলাদেশের
ডাম্বুলায় টি-২০ অভিষেক বাংলাদেশের

মাঠে ময়দানে

অধিনায়ক কেন ম্যাচে নেই
অধিনায়ক কেন ম্যাচে নেই

মাঠে ময়দানে

সিনেমার মানুষে তারা...
সিনেমার মানুষে তারা...

শোবিজ

বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল
বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল

শোবিজ

বাংলাদেশ-নেপালের এগিয়ে যাওয়ার লড়াই
বাংলাদেশ-নেপালের এগিয়ে যাওয়ার লড়াই

মাঠে ময়দানে