একটি মানুষ কেন একা বসে আছে বারান্দায়
গালে হাত দিয়ে ভরসন্ধে বেলা? বুঝি হাতবোমা
ফাটলেও নড়েচড়ে উঠবে না কিংবা
ভড়কে দেবে না লাফ। উজাড় চায়ের কাপ, একটি কি দু’টি
নোন্তা বিস্কুট
পিরিচে বিশ্রামরত। খুট খুট শব্দ হয়, ইঁদুরের? তার
চুলে মৃদু হাওয়ার আঙুল, সালোয়ার কামিজের
ঢেউ তুলে একজন তরুণী রাস্তায় হেঁটে যায়।
এইমাত্র তরুণ কবিরা উঠে গেলো তর্ক সেরে,
গূঢ় কবিত্বের কষ্টিপাথরে তুমুল ঘ’ষে পদ্যকারদের
হয়তো ফের সাকুরার বারে
কিংবা বাংলা মদের দোকানে যাবে ধুয়ে মুছে নিতে
বাদ বিসম্বাদ, ওরা মাথা পেতে নেবে
ঝর্ণাজল, মনিমুক্তো কত।
একটা মানুষ বসে আছে চুপচাপ, দপ ক’রে জ্ব’লে ওঠে
গোল চাঁদ চৈত্রের আকাশে। সে পেতেছে
যত ফাঁদ ছন্দ ও মিলের,
সব কিছু টপকিয়ে চলে গ্যাছে কবিতার প্রকৃত সারস
কতবার। মগজের পথে রংধনু, জোনাকিরা আসবে না
জ্যোৎস্নার ভেতর থেকে কণ্ঠস্বর জেগে যায়
ফিশ ফিশ কত কিছু বলে তার কানে কানে।
৩/৪/১৯৯১