শুক্রবার, ২০ মে, ২০২২ ০০:০০ টা
কবিতা

হাজং রমণীরা যোদ্ধা, সংসারী

সুজং হাজং

সন্ধ্যার প্রদীপ নিভে গেলে নেমে আসে অন্ধকার।

গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হাজং গ্রাম।

ঘুম ভাঙে পাখির কলকাকলিতে,

হাজং রমণীর সুখ যেন ভোরের আকাশে উঁকি দেয় নিশ্চুপ!

বাতাসে শাঁ শাঁ শব্দে উঠোনজুড়ে গাছের বিবর্ণ পাতা ঝরে পড়ে।

পাতার রান্নার ধোঁয়ায় চোখে জল আসে, আবার ফুঁ দেয়

বাঁশের চোঙা দিয়ে, সহসা ধপ করে জ্বলে ওঠে আগুন।

আবার জেগে ওঠে বিদ্রোহী গ্রাম, আউশ আমন ধানের ক্ষেত।

হাজং রমণীরা যোদ্ধা, সংসারী।

তারা আজীবন ঘরমুখী, বিশ্বাসে পাহাড়ের মতো অবিচল।

 

চাষাবাদে হাজং রমণীর সুনিপুণ হাত,

রাঙাপাথিনে অপূর্ব মেদহীন শরীর, কপালে সিঁদুর, এখনো

দূর থেকে হাজং গ্রামে উলুধ্বনি শোনা যায়।

সর্বশেষ খবর