যখন জলের কাছে যাই,
জল হয়ে যাই
রোদের কাছে রোদ,
বলতে বলতে চলে গেলে...
অথচ দিনরাত বলতে, তুমি
বলতে পারো না।
যখন মেঘ এসে জানালায় শব্দ করে,
বৃষ্টির সাথে কথা বলার ভয়ে
ভাঙা ফ্যানের দিকে তাকিয়ে থাকো।
গরমে বাষ্প হয়ে ঘোরো
শীতে বরফ হয়ে ওড়ো।
বাড়ি ভাড়া একমাস দেরি হলে, বাড়িওয়ালার দূর হ,
শুনে হাঁ করে তাকিয়ে থাক,
চারপাশে শব্দ খুঁজে না পেয়ে
উদভ্রান্ত দিন পার করো।
অথচ, কিচ্ছু ঠিকঠাক না বুঝে আমাকে নষ্ট বলতে,
সস্তা আর শকুন বলতে,
হাজার শব্দ তোমার ভেতর থেকে বেরিয়ে এসছিলো।
সেকী তীব্র গতি তোমার কথার!
বেশ্যা, পর্যন্ত এসে হাঁপ ছেড়েছিলে।
আমার বিশ্বাস হারিয়ে গেছে, বুক পুড়ে অগ্নিচুল্লা
আর মরুভূমি হয়ে গেছে।
আমি এখনো জলের কাছে যাই,
রোদ হয়ে যাই,
রোদের কাছে জল।
আমার শব্দ উল্টেপাল্টে অশরীরী
হয়ে গেছে, ভূত হয়ে গেছে।
অথচ এতসব শব্দ কান থেকে
মুছতে কবিরাজ খুঁজি,
দরগার দরজায় মাথা ঠেকাই।
কিন্তু যত এসব শব্দ নিয়ে
এদিক ওদিক দিকভ্রান্ত হই,
ততো সেই শব্দ অন্য এক অনুভবে
আমার শব্দ হয়ে যায়।
তাই আমি প্রতিদিন রাতে জলের সুতো দিয়ে চক্ষু সেলাই করি।