শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫

সেলিম আল দীন

নাট্যাচার্যের চলচ্চিত্র ভাবনা

শফিক আজিজ
প্রিন্ট ভার্সন
নাট্যাচার্যের চলচ্চিত্র ভাবনা

রবীন্দ্র-উত্তর বাংলা নাটকের অন্যতম কিংবদন্তি পুরুষ নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন (১৯৪৯-২০০৮) ইউরোপ-আশ্রিত নাট্যাঙ্গিক ও রীতি পরিত্যাগ করে বাংলা জনপদের হাজার বছরের বহমান সমৃদ্ধ ঐতিহ্যিক নাট্যাঙ্গিকগুলোর সঙ্গে সমকালীন বোধ ও বাস্তবতা আত্তীকরণের মাধ্যমে যে নতুন শিল্পাঙ্গিক উদ্ভাবন করেছেন, নিঃসন্দেহে এর পশ্চাতে ক্রিয়াশীল ছিল তাঁর প্রচণ্ড স্বাদেশিক চেতনা আর প্রবল জাতীয়তাবোধ। শিল্পের ইউরোপীয় বিভাজন তত্ত্বের বিপরীতে দ্বৈতাদ্বৈতবাদী শিল্পতত্ত্বের ধারা আবিষ্কার এবং এ-ধারায় শিল্পসৃজনব্রতী এ নাট্যকার বাংলাদেশের প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধ আশ্লেষে, পুরাণ-ইতিহাস-ঐতিহ্য-দর্শন ও বিশ্বসাহিত্যের বিশাল ভান্ডার আত্মস্থ করে, প্রতিনিয়ত মানুষ পাঠের মাধ্যমে জীবন নিংড়ে যে লোকজীবনবর্তী বিশ্বভুবনদৃষ্টি নির্মাণ করে নাট্য রচনায় ব্রতী হয়েছিলেন, তাতে ধৃত হয়েছে এ ভূমিলগ্ন বাঙালির যাপিত জীবন-সংগ্রাম-স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা, ইতিহাস-ঐতিহ্য, আর্থসামাজিক-রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-টানাপোড়েন, প্রাকৃতিক ও নিম্নবর্গের জীবনাচার-সংগ্রাম আর লঘু-নৃগোষ্ঠীর কৃত্য ও জীবনপ্রবাহের এপিক আখ্যান।

দ্বৈতাদ্বৈতবাদী রচনা রীতি সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য হলো- সব দ্বৈত বা একাধিক শিল্পরীতি ভেদ অস্বীকার করে রচনার কাঠামো, ভঙ্গি ও সর্বোপরি শিল্পের নানা উপাদানের একটি স্বতঃস্ফূর্ত মিশ্রণ যা সর্বাংশে মৌলিক এবং নানা রীতির সংযোগ থাকা সত্ত্বেও অভেদাত্ম করে তোলা। ঐতিহ্যবাহী বাংলা নাট্যে একই সঙ্গে নৃত্য, গীত, কৃত্য, কথা, বর্ণনা, কাব্য, রাগ-রাগিণী, কাহিনি পরিবেশনার যে ধারা- সমনি¦ত এ অখণ্ড শিল্পধারার বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করেই তিনি শিল্প সাধনায় ব্রতী হন এবং বাংলা নাটকে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন। ফলে তাঁর নাটকের এই সমন্বিত এপিক আখ্যানেই চলচ্চিত্রের আবহ বিদ্যমান, কাহিনি বয়ানেই রয়েছে সফল চিত্রনাট্য ও চলচ্চিত্রের ভাষা। সেলুলয়েডের ফিতায় ধারণ করলেই তা চলচ্চিত্রে রূপ পেয়ে যায়; তার জন্য খুব একটা আলাদা চিত্রনাট্য বা চলচ্চিত্র ভাষার প্রয়োজন হয় না। তাঁর নাটক নিয়ে প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতাগণ সংগত কারণেই চলচ্চিত্র নির্মাণে আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং বেশ কিছু কালজয়ী সিনেমাও নির্মাণ করেন। মোরশেদুল ইসলাম চাকা, আবু সাইয়ীদ কিত্তনখোলা, নারগিস আক্তার যৈবতী কন্যার মন চলচ্চিত্র তৈরি করেন। তবে তাঁর চলচ্চিত্রে জড়িত হওয়া সংলাপ রচনার মধ্য দিয়ে। শাহরিয়ার কবিরের একাত্তরের যীশু উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন নাসির উদ্দীন ইউসুফ। সেলিম আল দীন একাত্তরের যীশু চলচ্চিত্রের সংলাপ রচনা করেন এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তিনি কালু মাঝি নামে চলচ্চিত্রের একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্রনাট্যও রচনা করেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নিয়ে তাঁর নিজস্ব ভাবনার পরিচয় পাওয়া যায় সেন্সর বোর্ডের সদস্যপদ লাভের পর তাঁর গৃহীত নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে।

কালু মাঝি সেলিম আল দীনের একমাত্র চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যের পূর্ণাঙ্গ পাণ্ডুলিপি এবং বলতে গেলে এটিই তাঁর চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টতার প্রথম প্রমাণ। ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৮ সালের মধ্যে তিনি চিত্রনাট্যটি রচনা করেন। মূলত এটি তাঁর বিখ্যাত হাত হদাই নাটকের পূর্বরূপ। লোক-গবেষক সাইমন জাকারিয়া নাট্যকারের সহধর্মিণী বেগমজাদী মেহেরুন্নেছা পারুলের সংরক্ষণে থাকা পুরনো পাণ্ডুলিপির মধ্যে এটি আবিষ্কার করেন। পরে ২০০৮ সালে দৈনিক ইত্তেফাকের ঈদ সংখ্যায় এটি প্রথম প্রকাশিত হয়। জাকারিয়া সম্পাদিত সেলিম আল দীন রচনাসমগ্রের চতুর্থ খণ্ডে এটি সংকলিত হলেও নাট্যকারের বৈধ স্বত্বাধিকারী বেগমজাদী মেহেরুন্নেছা পারুলের (তখন তিনি জীবিত) লিখিত অনুমতি ছাড়া পাণ্ডুলিপিটি গ্রন্থাকারে মুদ্রণ বা চলচ্চিত্রে রূপদান করা যাবে না বলে উল্লেখ রয়েছে। এ পাণ্ডুলিপি সম্পর্কে সাইমন জাকারিয়া লিখেছেন :

চলচ্চিত্রের পাণ্ডুলিপি হিসেবে সেলিম আল দীন রচিত কালু মাঝিতে চলচ্চিত্রের কিছু পরিভাষা বেশ দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহৃত হলেও এতে তাঁর স্বভাবসুলভ কাব্যিক বর্ণনাভঙ্গি, মহাকাব্যিক চরিত্র সৃজনের কৌশল- সরস ও অর্থময় আঞ্চলিক সংলাপ বাদ পড়েনি। একই সঙ্গে চলচ্চিত্রের পাণ্ডুলিপির যাবতীয় গুণাবলি- যথা-ভূমিচিত্র অঙ্কন, ভূ-প্রাকৃতিক বর্ণনা, চরিত্রের অভিনয় নির্দেশনা ইত্যাদি এ পাণ্ডুলিপিতে একেবারে দুর্লক্ষ্য নয়।

১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র একাত্তরের যীশুতে সংলাপ রচনা সেলিম আল দীনের চলচ্চিত্র-সংযোগের প্রত্যক্ষ ও প্রথম পদক্ষেপ। শাহরিয়ার কবিরের একাত্তরের যীশু উপন্যাস অবলম্বনে প্রখ্যাত নাট্যকৌশলবিদ নাসির উদ্দীন ইউসুফ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন। সেলিম আল দীন সিনেমাটির সংলাপ রচনা করেন। তাঁর রচিত সংলাপ এতই প্রাণবন্ত, স্বতঃস্ফূর্ত আর ভাবগাম্ভীর্য ছিল যে, চিত্রনাট্যের সঙ্গে যৌথ রসায়নে একাত্তরের যীশু চলচ্চিত্রটিকে ভিন্নমাত্রা দান করে। পাকিস্তানি হানাদারের নৃশংসতা, সাধারণ মানুষের হাহাকার, সংগ্রামী তরুণদের রক্তশপথ আর অসহায় জনগণকে সহযোগিতার চিত্র ফুটিয়ে তুলতে যে পরিমিত ও স্বতঃস্ফূর্ত সংলাপ এবং গির্জার ফাদার আর কেয়ারটেকার বৃদ্ধ ডেসমন্ডের কথোপকথনের ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে যে সামাজিক-রাজনৈতিক-ধর্মীয় বাস্তবতা ও দার্শনিকতার প্রকাশ ঘটেছে- তা সমগ্র সিনেমাকে একটি ছন্দময় গতি দান করেছে। এ সিনেমার সংলাপ রচয়িতা হিসেবে সেলিম আল দীন ১৯৯৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

সেলিম আল দীনের কথানাট্য চাকা অবলম্বনে মোরশেদুল ইসলাম নির্মাণ করেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র চাকা। আশির দশকে আলমগীর কবীরকে ঘিরে মুহম্মদ খসরু, মোরশেদুল ইসলাম, তানভীর মোকাম্মেল, তারেক মাসুদ প্রমুখের নেতৃত্বে বাংলাদেশে ভিন্নধারার চলচ্চিত্র আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। ১৬ মিমি ফরম্যাটে ধারণকৃত স্বল্প আয়তনে মানবজীবনের বিশালতাকে ধরার এ আন্দোলনের ফলে যে চলচ্চিত্র দাঁড়াল, সেগুলো স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। মোরশেদুল ইসলাম সেলিম আল দীনের চাকা নাটক পড়ে এটি অবলম্বনে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা বানানোর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু চাকা নাটকে চাকার ঘূর্ণনে ঘূর্ণনে বেনামি লাশের পরিচয় সংকটে মানবিক-ক্রন্দন সৃষ্টির যে কেন্দ্রীভূত আখ্যান- তার বয়ানে আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক যে বিশাল পটভূমি, নিম্নবর্গ ও লঘু নৃগোষ্ঠীর জীবনাচার আর প্রাকৃতিক পরিবেশের যে বর্ণনা উঠে এসেছে- স্বল্প পরিসরে সেলুলয়েডের ফিতায় তা ধারণ করা সম্ভব কি না তা নিয়ে সেলিম আল দীন দ্বিধান্বিত ছিলেন। তাই প্রথমে তিনি অনুমতি দিতে চাননি। পরে মোরশেদুল ইসলামের পীড়াপীড়িতে চাকা অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণে সম্মতি প্রদান করেন। ১৯৯৩ সালে নির্মিত হয় চলচ্চিত্রটি, মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালে। মানহাইম-হেইডেলবার্গ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয় এটি এবং পরিচালক চলচ্চিত্রটি পরিচালনার জন্য আন্তর্জাতিক জুরি পুরস্কার লাভ করেন। ফ্রান্সেও এটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও শ্রেষ্ঠ পরিচালক ক্যাটাগরিতে পুরস্কার লাভ করে। গরুর গাড়িতে বহনকারী নাম-পরিচয়হীন একটি লাশের আশ্রয় হয় না কোথাও। মানবিক দায় থেকে কেউই এগিয়ে আসে না লাশটির সৎকারে। চাকা ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দ তুলে আর মাটিতে দীর্ঘরেখা এঁকে পাড়ি দিতে থাকে অনাগত সময়। যেন বা চাকা পৃথিবীর সমস্ত মানবীয় কান্না একাই বহন করে মানবতার বুকে পদাঘাত করে এগিয়ে যাচ্ছে সামনে। চাকা চলচ্চিত্র ঠিক এটুকু ধারণ করতে পেরেই একটি মহান চলচ্চিত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

সেলিম আল দীনের কিত্তনখোলা কথানাট্য অবলম্বনে খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার আবু সাইয়ীদ নির্মাণ করেন কিত্তনখোলা চলচ্চিত্র। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যানারে নির্মিত চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ২০০০ সালে। ১৬ মিমি ফরম্যাটে নির্মিত হলেও পরবর্তীতে ৩৫ মিমি-এ প্রতিস্থাপন করে এটিকে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হয়। ৯৬ মিনিট স্থিতিকালের সিনেমাটিতে নাটকের এপিক আখ্যানের প্রায় পুরোটাই ধারণ করা গেছে। একটি গ্রামীণ মেলা এবং মেলার প্রধান আকর্ষণ যাত্রাদলকে কেন্দ্র করে চলচ্চিত্রটি এগোতে থাকে। মেলা এবং যাত্রাদলকে ঘিরে বিভিন্ন পেশার মানুষের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক তৈরি হয়; ঘটে নানা ধরনের টানাপোড়েন। গ্রামীণ মহাজনি শোষণের শিকার অসহায় মানুষের হাহাকারের চিত্র যথাযথ ফুটে ওঠে সিনেমাটিতে। নাটকটির যে মূল দার্শনিকবোধ- পেশার রূপান্তর বা একজনমে বহুবদল-চলচ্চিত্রে আমার পাগলা ঘোড়া রে, কইর মানুষ কই লইয়া যাও গানটি সংযোজনের মাধ্যমে তা যথাযথই উপস্থাপিত হয়েছে। ২০০২ সালে ছবিটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও শ্রেষ্ঠ পরিচালকসহ ৯টি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা নারগিস আক্তারের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় সরকারি অনুদানে সেলিম আল দীনের যৈবতী কন্যার মন নাটক অবলম্বনে নির্মিত যৈবতী কন্যার মন সিনেমাটি ২০২১ সালে মুক্তি পায়; যদিও কাজ শুরু হয়েছিল বেশ কবছর আগে। যুৎসই লোকেশন, ১০০ বছর আগের আবহ সৃষ্টি আর গল্পে নাট্যকারসৃষ্ট ডাগর কালো চোখের নায়িকা কালিন্দী চরিত্রে রূপদানের জন্য অভিনেত্রী খুঁজে পেতেই এই দেরি বলে জানান নির্মাতা। অবশেষে কলকাতার মডেল সায়ন্তনী দত্ত কালিন্দী চরিত্রের জন্য আর আলাল চরিত্রের জন্য ভারতীয় বাংলা টিভি চ্যানেলের জনপ্রিয় ধারাবাহিক করুণাময়ী রাণী রাসমণির অন্যতম মুখ্য অভিনেতা গাজী আবদুন নূর নির্বাচিত হন। তারা দুজনই সেলিম আল দীনের গল্পে কাজ করতে পেরে দারুণ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। নাট্যকারের কালিন্দী জীবনযুদ্ধে পরাজিত সাহসী এক নারী। সে ধর্মনিরপেক্ষ গীতিকার, শিল্পধারা নিয়ে দাঁড়াতে চায় ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে। চলচ্চিত্রটির সংগীতধর্মিতা মূল নাটকের আবহ অনেকটাই ফুটিয়ে তুলতে পেরেছে।

নাসির উদ্দীন ইউসুফ ২০১১ সালে নির্মাণ করেন গেরিলা সিনেমা। এ সিনেমায় সেলিম আল দীন রচিত নীরস দগ্ধ সময় গানটি ব্যবহৃত হয়। মঞ্চকুসুম শিমূল ইউসুফ সংগীতায়োজন ও কণ্ঠ প্রদান করেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) ৩৩তম আয়োজনে গানটির জন্য সেলিম আল দীন শ্রেষ্ঠ গীতিকার পুরস্কার লাভ করেন।

সেলিম আল দীন বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের ফিল্ম এপ্রিসিয়েশন কোর্সের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে যথেষ্ট অবদান রেখেছেন।

২০০৭ সালে পুনর্গঠিত সেন্সর বোর্ডের সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান সেলিম আল দীন। তথাকথিত বাণিজ্যিক ছবিগুলোতে অযাচিতভাবে খুন-খারাবির দৃশ্য তিনি মোটেও পছন্দ করতেন না। চলচ্চিত্রে সুস্থধারা ফিরিয়ে আনতে তিনি নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, শুধু ছবির দৃশ্য বা গান সেন্সর করলেই চলবে না, পুরো চলচ্চিত্রকেই বাঁচাতে হবে। চলচ্চিত্র নির্মাণে কারিগরি দিকেও আনতে হবে উন্নতি। সেজন্য সরকারিভাবে পরিচালক, প্রযোজক, শিল্পীসহ সংশ্লিষ্ট সবার কর্মশালা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করতেন। কর্মশালার জন্য তিনি তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনাও করেছিলেন। সেন্সর বোর্ডে তাঁর সহকর্মী বিশিষ্ট চলচ্চিত্র গবেষক অনুপম হায়াৎ তাঁর এ সময়ের ভূমিকা সম্পর্কে লিখেন :

চলচ্চিত্রের প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিল দুর্নিবার। সেন্সর বোর্ডের সদস্য হওয়ার আগ পর্যন্ত আমি তা বুঝিনি। চলচ্চিত্রশিল্পের সঙ্গে যখন তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়ালেন, তখনই বোঝা গেছে, চলচ্চিত্রের প্রতি সেলিম আল দীনের আগ্রহ কতটা বেশি। তিনি সত্যিকার অর্থেই একজন খাঁটি চলচ্চিত্রপ্রেমী। সেন্সর ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য চলচ্চিত্র দেখলেও তিনি বেশ মনোযোগ নিয়ে ছবির প্রতিটি দৃশ্য, সংলাপ পর্যবেক্ষণ করতেন। বিশেষ করে সমসাময়িক ছবিগুলোর সংলাপ নিয়ে তাঁর আপত্তি ছিল বেশি। কোনো ছবির সংলাপ শ্রুতিকটু মনে হলে তিনি তার ছাড়পত্র দিতে আপত্তি জানাতেন।

দুই-আড়াই ঘণ্টার অর্থহীন ঢাকাইয়া বাণিজ্যিক ছবিতে সারাক্ষণ ভোটকা ধরনের নায়কের প্রতি নায়িকাদের নাচ, পাঁচটি অকারণ নৃত্য আর পাঁচটি অকারণ ঢিসুম-ঢাসুম দেখে সেলিম আল দীন যারপরনাই বিস্মিত ও ব্যথিত হয়েছিলেন। পাণ্ডুলিপির মান নির্ণয়ের জন্য কমিটি করা দরকার- এমন এক প্রস্তাবনা দিয়েছিলেন তিনি, যা তথ্য মন্ত্রণালয়ে গৃহীত হলেও পরে বাস্তবায়িত হয়নি। সেন্সর বোর্ডের সদস্য হিসেবে চলচ্চিত্র দেখার ওই সময়ের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি দিনলিপিতে লিখেছেন :

জীবনের গাঢ় গভীর কোনো আলোড়ন পুঁজির চর্বি ভেদ করে স্নায়ুতে পৌঁছায় না। আমি আমাদের চলচ্চিত্রে কখনো একজন শ্রমজীবী কৃষককে হেমন্তের শেষে কি বর্ষায় গলাতক জলে ধান কাটতে দেখিনি।

সভ্যতার অপকৃষ্ট অন্ধকার এখানে এতটা তা জানতাম; কিন্তু এখন চাক্ষুষ দেখছি বিচারকের আসন থেকে।

কিন্তু যে দেয়ালঘেরা কৃত্রিম স্বর্গবাস- তাকে ভাঙাও যে অত সহজ নয়, সেটিও তিনি বুঝতে পেরেছিলেন নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা দিয়েই। তার পরেও তাঁর চেষ্টা ছিল নিরন্তর; আমাদের চলচ্চিত্রাঙ্গনকে একটি কাঙ্ক্ষিত জায়গায় নিয়ে যাওয়ার। তাঁর আকস্মিক প্রয়াণে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে ঘিরে তাঁর যে পরিকল্পনা ও স্বপ্ন ছিল সেটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হলেও, আজকের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে মোটামুটি যে সুস্থ পরিবেশ বিরাজ করছে তার পেছনে বিশাল অবদান রয়েছে তাঁর। দেশের মেধাবী তরুণ নির্মাতাগণ সমসাময়িক সময়ে বিশ্বনন্দিত যে উচ্চমার্গীয়-সৃজনশীল মননধর্মী চলচ্চিত্র নির্মাণে নিঃসঙ্গ শেরপা হয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন, তার পেছনে অন্যতম আরাধ্য অনুপ্রেরক হিসেবে রয়েছেন নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন।

এই বিভাগের আরও খবর
টান
টান
মৎস্যকুমারী জলাধারে
মৎস্যকুমারী জলাধারে
বৃষ্টি যখন এসেছিল
বৃষ্টি যখন এসেছিল
ওটুকু আকাশ আমার
ওটুকু আকাশ আমার
ঐতিহ্যবাহী লক্ষ্মীপুর পাবলিক লাইব্রেরি
ঐতিহ্যবাহী লক্ষ্মীপুর পাবলিক লাইব্রেরি
মাইন্ডসেট
মাইন্ডসেট
লক্ষ্মীপুরের সাহিত্য - সাংস্কৃতি
লক্ষ্মীপুরের সাহিত্য - সাংস্কৃতি
লেখা পাঠানোর ঠিকানা ও জরুরি তথ্য
লেখা পাঠানোর ঠিকানা ও জরুরি তথ্য
সুখের খোঁজে
সুখের খোঁজে
ভিজে থাকা স্মৃতি
ভিজে থাকা স্মৃতি
ধুলোর নিচে আড়াআড়ি
ধুলোর নিচে আড়াআড়ি
অপার
অপার
সর্বশেষ খবর
ঢাকার ইন্দিরা রোড থেকে গাজীপুরের আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
ঢাকার ইন্দিরা রোড থেকে গাজীপুরের আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ২৯ জন
যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ২৯ জন

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জয়ের পরই বাবার মৃত্যুর খবর পেলেন লঙ্কান ক্রিকেটার
জয়ের পরই বাবার মৃত্যুর খবর পেলেন লঙ্কান ক্রিকেটার

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ
সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফ্রাইলিঙ্কের রেকর্ডগড়া ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে হারাল নামিবিয়া
ফ্রাইলিঙ্কের রেকর্ডগড়া ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে হারাল নামিবিয়া

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মানুষকে বঞ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার অধিকার কারো নেই: ফয়েজ আহমদ
মানুষকে বঞ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার অধিকার কারো নেই: ফয়েজ আহমদ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নবীর তাণ্ডবে আফগানিস্তানের লড়াকু পুঁজি, শঙ্কায় বাংলাদেশ
নবীর তাণ্ডবে আফগানিস্তানের লড়াকু পুঁজি, শঙ্কায় বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্রামীণফোনের রিচার্জ সেবা
১৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্রামীণফোনের রিচার্জ সেবা

৬ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

শিশু নিপীড়নের অভিযোগে যুবক আটক
শিশু নিপীড়নের অভিযোগে যুবক আটক

৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার
সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিকের উপাদান তৈরি বিজ্ঞানীদের
ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিকের উপাদান তৈরি বিজ্ঞানীদের

৭ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

পিআর নিয়ে আন্দোলন নির্বাচন নস্যাতের ষড়যন্ত্র: প্রিন্স
পিআর নিয়ে আন্দোলন নির্বাচন নস্যাতের ষড়যন্ত্র: প্রিন্স

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার
সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার

৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান
৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নওগাঁয় সৌহার্দ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত
নওগাঁয় সৌহার্দ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার
বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী
নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা
সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা

৮ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক
লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা
স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ
পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল
আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ
বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ
কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক
রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প
ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য
ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ
আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

১২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে
সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র
নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য
ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের
দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র
গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান
নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন
ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন

২০ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা
পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা

১৫ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
কুমিল্লায় মাইকিং করে মাজারে হামলা আগুন
কুমিল্লায় মাইকিং করে মাজারে হামলা আগুন

পেছনের পৃষ্ঠা

চার মাসের কর্মসূচি নিচ্ছে বিএনপি
চার মাসের কর্মসূচি নিচ্ছে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের সঙ্গে নির্বাচনে জোট নয়
ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের সঙ্গে নির্বাচনে জোট নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিন্ন দাবিতে সাত ইসলামি দলের বিক্ষোভ সমাবেশ
অভিন্ন দাবিতে সাত ইসলামি দলের বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক
দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক

সম্পাদকীয়

বিএনপির প্রার্থী হতে চান তিন নেতা, অন্যদের একক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান তিন নেতা, অন্যদের একক

নগর জীবন

গাজা ছাড়ছে সাধারণ মানুষ
গাজা ছাড়ছে সাধারণ মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্ধারিত রুটে ১৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা বিমানের
নির্ধারিত রুটে ১৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা বিমানের

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যদের একক প্রার্থী
বিএনপির তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

ইইউ প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে
ইইউ প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে
বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে

সম্পাদকীয়

এক যুগ পর সেই ফেলানীর ভাইকে চাকরি দিল বিজিবি
এক যুগ পর সেই ফেলানীর ভাইকে চাকরি দিল বিজিবি

পেছনের পৃষ্ঠা

কবরস্থানে নবজাতক  বন্ধ হাসপাতালের কার্যক্রম
কবরস্থানে নবজাতক বন্ধ হাসপাতালের কার্যক্রম

দেশগ্রাম

সিলেটে ঠিকানায় ফিরছে হকার
সিলেটে ঠিকানায় ফিরছে হকার

নগর জীবন

আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত
আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

সীমানা নিয়ে আদালতের দিকে তাকিয়ে ইসি
সীমানা নিয়ে আদালতের দিকে তাকিয়ে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

জমি বিরোধে হাতুড়ি নিয়ে হামলা
জমি বিরোধে হাতুড়ি নিয়ে হামলা

দেশগ্রাম

বিএনপি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায়
বিএনপি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায়

নগর জীবন

ইভ্যালির রাসেল শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড
ইভ্যালির রাসেল শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড

নগর জীবন

ফেব্রুয়ারিতেই ভোট
ফেব্রুয়ারিতেই ভোট

সম্পাদকীয়

রোহিঙ্গা যুবকের কাছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা
রোহিঙ্গা যুবকের কাছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা

দেশগ্রাম

কিংসের দ্বিতীয় না মোহামেডানের প্রথম
কিংসের দ্বিতীয় না মোহামেডানের প্রথম

মাঠে ময়দানে

বিলম্ব সিদ্ধান্তে অর্থনীতির ক্ষতি
বিলম্ব সিদ্ধান্তে অর্থনীতির ক্ষতি

প্রথম পৃষ্ঠা

দুবাইয়ে ১৭৮ যাত্রী নিয়ে আটকা বিমানের ফ্লাইট
দুবাইয়ে ১৭৮ যাত্রী নিয়ে আটকা বিমানের ফ্লাইট

নগর জীবন

সমঝোতা স্মারক সই
সমঝোতা স্মারক সই

নগর জীবন

একই সঙ্গে কোরআনে হাফেজ দুই ভাই
একই সঙ্গে কোরআনে হাফেজ দুই ভাই

নগর জীবন

এক নামে দুই কলেজ, ভর্তিতে বিভ্রান্তি
এক নামে দুই কলেজ, ভর্তিতে বিভ্রান্তি

নগর জীবন

বগুড়ায় সাত আসনের খসড়া ভোটার ও কেন্দ্র তালিকা সম্পন্ন
বগুড়ায় সাত আসনের খসড়া ভোটার ও কেন্দ্র তালিকা সম্পন্ন

নগর জীবন

৭ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে
৭ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে

প্রথম পৃষ্ঠা