শনিবার, ২৭ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

স্কোয়াশ চাষে বাজিমাত মাহফুজুরের

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

স্কোয়াশ চাষে বাজিমাত মাহফুজুরের

অল্প সময়ে বেশি লাভের আশায় চাষাবাদ শুরু করেন কলেজপড়ুয়া ছাত্র মাহফুজুর রহমান। সে লক্ষ্যে উত্তর আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমদানি করেন স্কোয়াশ। আর তা চাষাবাদে তরুণ এ কৃষক দেখেন সাফল্যের মুখও...

বিদেশি সবজি স্কোয়াশ ও ক্যাপসিকাম পরীক্ষামূলক চাষেই সফলতা পেয়েছেন তরুণ কৃষক মাহফুজুর রহমান। গ্রামে নিজের জমিতে বিদেশি এ সবজি চাষাবাদ কেমন হবে তা যাচাই করতেই পরীক্ষামূলকভাবে চাষাবাদ শুরু করেছিলেন মাহফুজ। তাতে ফলন ভালো হওয়ায় বিদেশি সবজি চাষে আগ্রহ বাড়ে তার। মাত্র তিন মাসেই লাভের মুখ দেখেন এ তরুণ কৃষক। ইতিমধ্যে তার চাষাবাদে স্কোয়াশের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বড় পরিসরে সবজিটি চাষের আশা করছেন তরুণ মাহফুজুর রহমান।

২৫ বছর বয়সী মাহফুজুর রহমান দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের জোত সাতনালা গ্রামের পূর্ব ম-লপাড়ার মোকছেদ আলীর ছেলে। বাবাও একজন কৃষক। তরুণ মাহফুজুর স্থানীয় ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের গণিত বিভাগ নিয়ে অনার্সে পড়াশোনা করছেন। কৃষি কাজের ওপর প্রবল ঝোঁক থেকেই ইন্টারনেট দেখে বিদেশি সবজি চাষ শুরু করেন। তরুণ এ চাষি জানান, দিনাজপুর শহর থেকে বীজ সংগ্রহ করে তার পিতার ছয় শতক জমিতে স্কোয়াশ এবং দুই শতক জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করেন। চাষাবাদ শুরুর তিন মাসেই তার খেতে স্কোয়াশের ব্যাপক ফল আসে। পাশাপাশি ক্যাপসিকামের গাছেও ফুল এসেছে। চাষাবাদের উপযুক্ত প্রচুর জমি আছে এ অঞ্চলে। নিয়ম মেনে চাষাবাদ করায় ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে। তরুণ এ উদ্যোক্তা আরও বলেন, পরীক্ষামূলক চাষাবাদেই সফলতা এসেছে। ইতিমধ্যে পাইকারি বাজারে ১৫/১৬ টাকা দরে এক একটি স্কোয়াশ বিক্রি হয়েছে। জমি থেকে সপ্তাহে দুই/তিনবার স্কোয়াশ তোলা হয়েছে। প্রতিবারে কমপক্ষে ১০০ পিস স্কোয়াশ তুলেছি। আর চাষাবাদের শুরু থেকে ফলন আসা পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার টাকার স্কোয়াশ বিক্রি হয়েছে। আধুনিক চাষাবাদে দীক্ষা এসেছে ইউটিউব দেখে। তরুণ এ কৃষক চাষাবাদ সম্পর্কে জানান, ইউটিউব দেখে বিদেশি সবজি চাষ শুরু করেছিলাম। স্কোয়াশ সবজিটি দেখতে শসা ও মিষ্টি কুমড়ার মতো, খেতে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। উচ্চ ফলনশীল সবজিটি ভাজি, মাছ ও মাংস রান্নার উপযোগী। এ ছাড়া সালাদ হিসেবেও এটি সেরা। স্কোয়াশ শীতকালীন সবজি হলেও এখনো চাষ হচ্ছে চিরিরবন্দরে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, স্কোয়াশ সবজি জাতীয় ফসল। যা কুমড়া ও ধুন্দল জাতীয় ফসলের ক্রস। দেশের প্রচলিত কোনো সবজির এমন উৎপাদন ক্ষমতা নেই। স্কোয়াশ চাষ সম্প্রসারণ করা গেলে বাংলাদেশে কৃষি অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।

সর্বশেষ খবর