ইরানের দামাভান্দ পর্বত জয় করেছেন বাংলাদেশের পর্বতারোহী মৃদুলা আমাতুন নুর। দামাভান্দ ইরান এবং পশ্চিম এশিয়ার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এবং এশিয়ার সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি। এ পর্বতের উচ্চতা ৫ হাজার ৬১০ মিটার (১৮ হাজার ৪০০ ফুট)। এটি হিমালয়ের পরই এশিয়ার সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ।

দামাভান্দ পর্বত জয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানের উদ্দেশে উড়াল দেন মৃদুলা। পরের দিন সেখানে পৌঁছান। দামাভান্দ পর্বতে আরোহণে অনুমতিপত্রের জন্য পুলুর গ্রামে যান। সেখানে এক দিন থেকে পরের দিন বেস ক্যাম্পে যান। ২০ সেপ্টেম্বর পর্বতের চূড়ায় পৌঁছান মৃদুলা।

এই সফরের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাইলে মৃদুলা বলেন, ‘দামাভান্দ এশিয়ার সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি। সামিটের কাছেই সালফার গ্যাস পয়েন্ট আছে। এ জন্যই সেখানে যাওয়া কঠিন। আপনি যখন দামাভান্দে আরোহণ করবেন এবং নিচে নেমে আসবেন তখন দেখা মিলবে বাজপাখি এবং ঈগলের ঝাঁকের সঙ্গে। দামাভান্দ পর্বত জয় করে নিচে আসার সময় প্রচুর তুষার পড়ছিল। পর্বত থেকে নিচে নামার পর বিশ্রাম নিয়ে তিন দিন তেহরান ঘুরে বেড়িয়েছি। এরপর সেখান থেকে ইংল্যান্ডে চলে যাই আমি।’

বর্তমানে ইংল্যান্ডের বেডফোর্ডশায়ার ইউনিভার্সিটিতে পড়ছেন মৃদুলা। পড়াশোনার পাশাপাশি কাজও করেন। গ্রীষ্মের ছুটিতে পর্বতারোহণে বেরিয়ে পড়েন। মৃদুলা জানান, এর মধ্যে স্কটল্যান্ডের বেন নেভিস ও স্নোডোনিয়া শৃঙ্গ জয় করেছেন তিনি।

মৃদুলা এর আগে ২০১৭ সালে মাউন্ট এভারেস্ট অভিযানে ২২০০ হাজার ফুট আরোহণ করেছিলেন। পর্বতারোহী মৃদুলা এরই মধ্যে জয় করেছেন হিমালয়ের শীতিধার চূড়া, আর্জেন্টিনার মাউন্ট বনেট এবং আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে উঁচু পর্বত কিলিমাঞ্জারো। দামাভান্দ পর্বতটির পাদদেশে অনেক উঞ্চ পানির ঝরনা আছে, যার মানে এর ভিতর এখনো বেশ উত্তপ্ত। এটি উত্তর ইরানে তেহরান শহরের কাছে অবস্থিত একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। ১৮৩৭ সালে ইউরোপীয় অভিযাত্রী ডব্লিউ টেইলর টমসন এটির শীর্ষে প্রথম আরোহণ করেন। দামাভান্দ শহরের কাছেই অবস্থিত একটি জনপ্রিয় গ্রীষ্মকালীন অবকাশ যাপন কেন্দ্র। ইরানের সাহিত্যে দামাভান্দ পর্বত কিংবদন্তির মর্যাদা পেয়েছে।