শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

টাঙ্গাইলের বাঁশ-বেত পণ্য যাচ্ছে ১২ দেশে

বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন বাস্কেট, টেবিল ল্যাম্প, প্লেস ম্যাট, ট্রে, মোড়া, ফলের ঝুড়ি, টিস্যুবক্স, গয়নার বাক্স, জানালার পর্দা, ওয়েস্ট পেপার ঝুড়িসহ নানা শৌখিন পণ্য তৈরি করছি...

নাসির উদ্দিন, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের বাঁশ-বেত পণ্য যাচ্ছে ১২ দেশে

টাঙ্গাইলে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ-বেতের পণ্য ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পরিবেশবান্ধব হওয়ায় দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছে। বর্তমানে দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানিও হচ্ছে এসব পণ্য। সদর উপজেলার কৈজুরী, দেলদুয়ার উপজেলার বর্ণী, প্রয়াগজানী ও কোপাখী গ্রামে বাঁশের তৈরি হস্তশিল্পের কাজ বেশি হচ্ছে। এ শিল্পের প্রধান উদ্যোক্তা হিসেবে রয়েছেন আন্তর্জাতিক কারুশিল্পী নূরুন্নবী।

সরেজমিন দেখা যায়, দেলদুয়ারের ডুবাইল ইউনিয়নের বর্ণী, প্রয়াগজানী ও কোপাখী গ্রামের প্রায় প্রত্যেক বাড়িতে নারী-পুরুষ বাঁশ ও বেত দিয়ে নানা পণ্য তৈরি করছেন। দেখে মনে হবে পুরো গ্রামই যেন কুটিরশিল্পের কারখানা। সব বাড়ির অধিকাংশ লোকজনের প্রধান পেশা এটি। প্রধান উদ্যোক্তা কারুশিল্পী নূরুন্নবী বর্ণী দক্ষিণপাড়ায় ‘নূরুন্নবী ব্যাম্বো ক্র্যাফট’ নামে একটি কারখানা গড়ে তুলেছেন। সেখানে ৬০-৭০ জন নারী-পুরুষ প্রতিদিন কাজ করেন। এ ছাড়া শতাধিক পরিবার কাজ করেন বাড়িতে বসে। তাদের তৈরি পণ্য নূরুন্নবীর কারখানায় বিক্রি করেন। স্থানীয় কারুশিল্পীরা বলেন, আমাদের এলাকায় প্রত্যেক বাড়িতে নারী-পুরুষ এ কাজ করেন। নারীরা বাড়ির কাজের পাশাপাশি শিল্পের কাজে মাসে ৭-৮ হাজার টাকা বাড়তি আয় করেন। নূরুন্নবী বলেন, ১৯৯০ সাল থেকে আমি হস্তশিল্পের কাজ করছি। ২০০৪ সালে এই কারখানা গড়ে তুলেছি। রাজধানী ঢাকার বড় বড় শপিং মল আমাদের প্রধান ক্রেতা। এ ছাড়া বিভিন্ন রপ্তানিকারকদের মাধ্যমে প্রায় ১০-১২টি দেশে আমার বাঁশ-বেতের তৈরি হস্তশিল্পের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। এলাকার মানুষ এখন বেকার বসে থাকেন না। প্রায় সবাই বাঁশ-বেতের কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর