শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

দুই কেজির শিঙাড়ায় মুগ্ধ ভোজনরসিকরা

জামান আখতার, চুয়াডাঙ্গা

দুই কেজির শিঙাড়ায় মুগ্ধ ভোজনরসিকরা

এক একটা শিঙাড়ার ওজন ২ কেজি। ভিতরে আছে মাংস, কিশমিশ, বাদাম আর বাহারি সুস্বাদু মসলা। ব্যতিক্রমী এ  শিঙাড়ার কারিগর চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চারুলিয়া গ্রামের জসিম উদ্দিন। তার এই শিঙাড়া চেখে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন শিঙাড়াপ্রেমীরা। কেউ আসছেন বিশাল আকৃতির এ শিঙাড়া এক নজর দেখতে।

সরেজমিন চারুলিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ঝুপড়ির মতো একটি দোকানঘরে আপন মনে শিঙাড়া তৈরি করছেন জসিম উদ্দিন। সেগুলো সাধারণ আকার-আকৃতির  শিঙাড়া। বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হওয়ার উপক্রম হলে তখন শুরু হয় বিশাল আকৃতির শিঙাড়া তৈরির কাজ। সেগুলো বাজারে প্রচলিত ৫০ গ্রাম থেকে ১০০ গ্রাম ওজনের  শিঙাড়া নয়। এক-একটি শিঙাড়ার ওজন ৫০০ গ্রাম থেকে দুই কেজি। জসিম উদ্দিন কেজিপ্রতি ৩০০ টাকায় বিক্রি করেন এ শিঙাড়া। তার শিঙাড়া খেতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন অনেক ভোজনরসিকরা।

চারুলিয়া গ্রামে আসা শিঙাড়াপ্রেমীরা বলেন, মাংস, বাদাম, কিশমিশ আর সুস্বাদু মসলায় তৈরি শিঙাড়া খেতে অনেকেই ছুটে  আসেন এখানে। স্থানীয়দের অনেকেই নিয়মিত খান এ শিঙাড়া। বিকাল থেকে মাঝরাত পর্যন্ত চলে শিঙাড়া বেচাকেনা।
জসিম উদ্দিন বলেন, সাধারণ শিঙাড়ার পাশাপাশি দিনে অন্তত ১০-১৫টি বড় সাইজের বিশেষ এ শিঙাড়া তৈরি করেন তিনি। বছরদুয়েক আগে নিজের আকাক্সক্ষা পূরণের জন্য তৈরি করেছিলেন দুই কেজি ওজনের একটি  শিঙাড়া। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামের এক ব্যক্তি তা কিনে নেন। সেই শুরু।

চারুলিয়া গ্রামে আসা শিঙাড়াপ্রেমীরা বলেন, মাংস, বাদাম, কিশমিশ আর সুস্বাদু মসলায় তৈরি শিঙাড়া খেতে অনেকেই ছুটে আসেন এখানে। স্থানীয়দের অনেকেই নিয়মিত খান এ শিঙাড়া। বিকাল থেকে মাঝরাত পর্যন্ত চলে শিঙাড়া বেচাকেনা।

বিশাল আকৃতির শিঙাড়ার কল্যাণে জেলার গণ্ডি পেরিয়ে পাশের জেলাগুলোতেও পরিচিতি পেয়েছেন জসিম উদ্দিন। ক্রেতা সন্তুষ্টির মাধ্যমে এ শিঙাড়া তৈরি অব্যাহত রাখতে চান তিনি।

সর্বশেষ খবর