এক একটা শিঙাড়ার ওজন ২ কেজি। ভিতরে আছে মাংস, কিশমিশ, বাদাম আর বাহারি সুস্বাদু মসলা। ব্যতিক্রমী এ শিঙাড়ার কারিগর চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চারুলিয়া গ্রামের জসিম উদ্দিন। তার এই শিঙাড়া চেখে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন শিঙাড়াপ্রেমীরা। কেউ আসছেন বিশাল আকৃতির এ শিঙাড়া এক নজর দেখতে।
সরেজমিন চারুলিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ঝুপড়ির মতো একটি দোকানঘরে আপন মনে শিঙাড়া তৈরি করছেন জসিম উদ্দিন। সেগুলো সাধারণ আকার-আকৃতির শিঙাড়া। বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হওয়ার উপক্রম হলে তখন শুরু হয় বিশাল আকৃতির শিঙাড়া তৈরির কাজ। সেগুলো বাজারে প্রচলিত ৫০ গ্রাম থেকে ১০০ গ্রাম ওজনের শিঙাড়া নয়। এক-একটি শিঙাড়ার ওজন ৫০০ গ্রাম থেকে দুই কেজি। জসিম উদ্দিন কেজিপ্রতি ৩০০ টাকায় বিক্রি করেন এ শিঙাড়া। তার শিঙাড়া খেতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন অনেক ভোজনরসিকরা।
চারুলিয়া গ্রামে আসা শিঙাড়াপ্রেমীরা বলেন, মাংস, বাদাম, কিশমিশ আর সুস্বাদু মসলায় তৈরি শিঙাড়া খেতে অনেকেই ছুটে আসেন এখানে। স্থানীয়দের অনেকেই নিয়মিত খান এ শিঙাড়া। বিকাল থেকে মাঝরাত পর্যন্ত চলে শিঙাড়া বেচাকেনা।
বিশাল আকৃতির শিঙাড়ার কল্যাণে জেলার গণ্ডি পেরিয়ে পাশের জেলাগুলোতেও পরিচিতি পেয়েছেন জসিম উদ্দিন। ক্রেতা সন্তুষ্টির মাধ্যমে এ শিঙাড়া তৈরি অব্যাহত রাখতে চান তিনি।