শিরোনাম
শনিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

‘এখনো অনেক কিছু পাওয়ার আছে’

‘এখনো অনেক কিছু পাওয়ার আছে’

চেহারায় স্পষ্ট হতাশার ছাপ। টি-২০ সুপার টুয়েলভে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে মাত্র ৩ রানের কষ্টের হারের পর বিষণ্ণ মনে মাঠ ছাড়ছেন টাইগার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ও সতীর্থ আফিফ -বিসিবি

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৩ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। এই হারে ‘কার্যত’ বিশ্বকাপ থেকেই বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। এখনো সুপার টুয়েলভের দুই ম্যাচ বাকি। সামনের দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ মনে করেন, এখনো অনেক কিছু পাওয়ার আছে এই টুর্নামেন্ট থেকে। দুই ম্যাচে জিততে পারলে সেমিফাইনালে খেলার ক্ষীণ একটা সম্ভাবনাও তৈরি হবে। গতকাল ম্যাচের পর শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মিডিয়ার সঙ্গে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের কথোপকথন-

ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান কি বেশি হয়েছিল?

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ : উইকেট কিছুটা স্লো ছিল। কারণ আমরা যখন বোলিং শুরু করেছিলাম তখন উইকেটে বলও সেভাবে আসছিল না। আবার বলও বাউন্স হচ্ছিল না। উইকেটও কিছুটা লো ছিল। এটা আমরা বুঝতে পেরেছিলাম, সেভাবেই বোলিং করছিলাম আমরা। বোলাররা ভালোই করছিল। আমার মনে হয়, এক-দুইটা চান্স এসেছিল সেগুলো যদি নিতে পারতাম তাহলে কমপক্ষে ১০ রান কম হতো। তাহলে আমাদের জন্য চেজ করা সহজ হতো। চেষ্টা করেছি, টি-২০ খেলা এরকমই ক্লোজ মার্জিনে অনেক সময় হয়। কিন্তু আজকে আমরা জিততে পারিনি এই যা।

এই টুর্নামেন্ট থেকে আর কী পেতে চান?

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ : এখনো অনেক কিছু পাওয়ার আছে। এই দুটো ম্যাচ যদি জিততে পারি দলের জন্য ভালো কিছু একটা হবে এবং আমরা চেষ্টা করছি সবাই, মরিয়া হয়েই চেষ্টা করছি। মাঠে শতভাগ দেওয়ার কমিটমেন্ট দেওয়ারই চেষ্টা করছি। তবে ভুল হচ্ছে। কিন্তু দুটো ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব।

আন্দ্রে রাসেলের শেষ ওভারের শেষ বল পর্যন্ত জয়ের সম্ভাবনা ছিল তখন কী ভাবছিলেন?

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ : রাসেলের ওই ওভারটার আগে ব্রাভোর ওই বলে যদি ছয়টা হয়ে যেত তাহলে অনেকটা এগিয়ে যেতাম। ওটাই ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। লিটন দারুণ ব্যাট করছিলেন। দুজন সেট ব্যাটারও যদি লাস্ট ওভারে থাকতে পারতাম তাহলে অন্তত দুজনের একজন শেষ ওভারে অন্তত একটা বাউন্ডারি বা ওভার বাউন্ডারি হাঁকাতে পারতাম। তখন ইতিবাচক ফলই আসত। শেষ বলটা আমি জানতাম যে ব্লকহোলে করবে। কারণ লেগসাইডে যেহেতু চারটা ফিল্ডার ছিল। নেংথের আগের দুইটা বলও ভালো ইয়র্কারে করেছিল। সেগুলো আমি তুলতে পারিনি। চিন্তা করছিলাম, একটু জায়গা করে হয়তোবা ও যদি মিস করে তাহলে মিড-অফের ওপর দিয়ে মারতে পারি বা যদি মিস করে তাহলে কাভার, পয়েন্ট বা ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়েও মারতে পারি। এটা আমার দোষ আমি এক্সিকিউট করতে পারিনি ওই শেষের বলটা।

এই ম্যাচ নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ : আমরা ক্যাচ মিস করেছি। আমাদের সেরা ফিল্ডাররা মিস করেছে। তারা তো আর ইচ্ছা করে মিস করেনি। আশা করছি, এমন ভুল আর হবে না। যেহেতু একের পর এক মিস

করছি, তাই এ নিয়ে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। আমার মনে হয়, আমাদের ক্যাসিং আরও ভালো হওয়া উচিত। এখানে টেকনিক্যাল কোনো ভুল নেই। আমরা অপ্রত্যাশিতভাবে ক্যাচগুলো ধরতে পারিনি।

আপনি কি মনে করেন একজন স্লগার ব্যাটসম্যান দরকার? তিনজন অফ-ফর্মে থাকা খেলোয়াড়কে কেন দলে নেওয়া হয়েছিল?

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ : প্রথমে আমি আপনাদের ভুলটা ভাঙাই। শামিম কোনো স্লগার ব্যাটসম্যান না, সে একজন প্রপার ব্যাটসম্যান। স্লগ বলতে আমার মনে হয় না বাংলাদেশ দলে এমন কেউ আছে, যেমন ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল। আমার জানা মতে এমন কেউ নেই বাংলাদেশ দলে। আমার বা টিম ম্যানেজমেন্টের মনে হয়েছে টপ-অর্ডারটা আরেকটু বড় করি, যে কারণে আমিও একটু নিচে নেমেছি। তো আমরা চেষ্টা করেছি টপ-অর্ডারটা যাতে আরও ভালো করে সাজানো যায়। এই চিন্তা থেকেই তাদের দলে নেওয়া।

সর্বশেষ খবর