রবিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

মুশফিকের আক্ষেপ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মুশফিকের আক্ষেপ

পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ খেলেননি মুশফিকুর রহিম। স্কোয়াডে দেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে না রাখার বিষয়ে নির্বাচক প্যানেল জানায়, বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে তাকে। প্রতিবাদ জানিয়ে মুশফিক জানান, তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। টি-২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশের পর মুশফিককে না খেলানোয় সমালোচিত হন টিম ম্যানেজমেন্ট। টি-২০ সিরিজে না থাকলেও অংশ নিয়েছেন চট্টগ্রাম টেস্টে। টি-২০ সিরিজে ছুড়ে ফেলার জবাব দিয়েছেন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। শুধু মুশফিক নন, সমালোচনার জবাব দিয়েছেন লিটন দাসও। দুজনে পঞ্চম উইকেটে গড়েছেন রেকর্ড ২০৬ রানের জুটি। লিটন সমালোচনার জবাব দিয়েছেন সেঞ্চুরি করে। তবে ব্যর্থ হয়েছেন মুশফিক। নার্ভাস নাইনটিজের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন দেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। আউট হয়েছেন ৯১ রানে। ৭৬ টেস্টে এর আগে আরও তিন বার নার্ভাস নাইনটিজের শিকার হয়েছেন সাবেক অধিনায়ক। ১৩৯ ইনিংসে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি ও ৪টি সেঞ্চুরি এবং হাফসেঞ্চুরি ২৪টি। ২০১০ সালে চট্টগ্রামে ৯৫, ২০১৩ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯৩ এবং ৯২ রান করেছিলেন চট্টগ্রামে ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। চারটি নার্ভাস নাইনটিজের তিনটির শিকারই তিনি চট্টগ্রামে। বন্দর নগরীতে সেঞ্চুরি একটি, ভারতের বিপক্ষে ২০১০ সালে।

পঞ্চম উইকেট জুটিতে মুশফিক-লিটনের ডাবল সেঞ্চুরির জুটিতে ৩৩০ রান করে বাংলাদেশ। লিটন সাজঘরে ফিরেন ১১৪ রান করে। মুশফিক আউট হন ৯১ রানে। পাকিস্তান দ্বিতীয় দিন পার করে বিনা উইকেটে ১৪৫ রান তুলে। মুমিনুল হকের বাংলাদেশ এগিয়ে আছে ১৮৫ রানে।   

পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজে খেললে দেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টি-২০ ক্রিকেটে ১০০ ম্যাচ খেলার মাইলফলক গড়তে। বর্তমানে মুশফিকের নামের পাশে লেখা ৯৯ ম্যাচ। সবচেয়ে বেশি ১১৩ ম্যাচ খেলেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। টি-২০ বিশ্বকাপে একটি হাফসেঞ্চুরির ইনিংস থাকলেও নির্বাচক প্যানেলের মন গলাতে পারেননি। সাদা পোশাকের টেস্টে অবশ্য বেশ সাবলীল মুশফিক। করোনাভাইরাসের পর চলতি বছর ৬টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। তাতে মুশফিকের সেঞ্চুরির ইনিংস নেই একটিও। কিন্তু হাফসেঞ্চুরি তিনটি। করোনাভাইরাসের পর ঘরের মাঠে প্রথম টেস্ট খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। চট্টগ্রামের ওই টেস্টে ৩৮ ও ১৮ রান করেন। মিরপুরে হাফসেঞ্চুরির ইনিংস ছিল প্রথম ইনিংসে। করোনাভাইরাসের পর বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ৬টি টেস্ট খেলেছে। তাতে জয় ও ড্র একটি করে। ৬ টেস্টের ৯ ইনিংসে সাবেক অধিনায়কের স্কোরগুলো- ৩৮, ১৮, ৫৪, ১৪, ৬৮*, ৪০, ৪০, ১১ ও ৯১। করোনাভাইরাসের আগে সর্বশেষ যে টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ, সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০৩ রানের অপরাজিত একটি ইনিংস ছিল মুশফিকের।

 

স্কোর

বাংলাদেশ : ৩৩০ (১১৪.৪ ওভার)

(লিটন দাস ১১৪, মুশফিক ৯১, মিরাজ ৩৮; হাসান ৫/৫১)।

পাকিস্তান : ১৪৭/০ (৫৭ ওভার), (আবিদ ৯৩, আবদুল্লাহ ৫২*)

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর