শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

শেখ রাসেলের উড়ন্ত জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

শেখ রাসেলের উড়ন্ত জয়

ছবি : রোহেত রাজীব

প্রথম লেগে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রকে চেনারূপে দেখা যায়নি। ছন্দহীন খেলা খেলে একের পর এক মূল্যবান পয়েন্ট হারায়। এতেই শিরোপা রেস থেকে দূরে সরে যায়। অবশ্য এর পেছনে পক্ষপাতিত্ব রেফারিংকেও দায়ী করা যায়। যাক প্রথম লেগে যাই ঘটুক না কেন দ্বিতীয় লেগে পাল্টে যায় দেশের জনপ্রিয় ক্লাবটি। দুরন্ত ফুটবল খেলে শেখ রাসেলের জার্সির ওজন বুঝিয়ে দিচ্ছে। আগের ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে ড্র করলেও গতকাল পেশাদার লিগে পুলিশের বিপক্ষে ভয়ংকর রূপ ধারণ করে জুলফিকার মাহমুদ মিন্টুর শিষ্যরা। বসুন্ধরা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে কিংস অ্যারিনায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে পুলিশ এফসিকে হারিয়েছে শেখ রাসেল। বিজয়ী দলের ইসমাইল আকিনাদে জোড়া গোল করেন। বাকি দুটি গোল করেন রিচার্ড গাদাজ ও চার্লস দিদিয়ের।

প্রথম লেগে রাজশাহীতে এই পুলিশের বিপক্ষে দায়িত্ব নেন মিন্টু। সেই ম্যাচ ১-১ ড্র হয়। মিন্টুর প্রশিক্ষণে শেখ রাসেল কতটা উজ্জীবিত তা প্রমাণ মিলে দ্বিতীয় লেগে ৯ ম্যাচে ৪ জয়, ৩ ড্রয়ে। দুটি ম্যাচে হার মানলেও তা ছিল অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী দলের কাছে। ২০ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে রাসেল অবশ্য ৮-এ আছে।

তিন বিদেশি মিলে পুলিশের রক্ষণভাগ ভেঙে চুরমার করে দেয়। তবুও গোলের দেখা পাচ্ছিল না শেখ রাসেল। শেষ পর্যন্ত বিরতির বাঁশি বাজার আগে গোলের উৎসবে মেতে উঠে তারা। ইসমাইল আকিনাদের দুরন্ত হেড প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক  নেহাল কোনোক্রমে রক্ষা করলেও পুনরায় বল পেয়ে জালে বল পাঠান আকিনাদে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রিচার্ড গাদজে। ৫১ মিনিটে শেখ রাসেলের রক্ষণভাগের ভুলে আমিরুদ্দিন শরিফি ব্যবধান কমান। এখানেই পুলিশের দৌড় শেষ। বাকি সময়ে শেখ রাসেলেরই আধিপত্য। ৫৫ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় (৩-১) গোলটি করেন আকিনাদে। ৭০ মিনিটে শেখ রাসেলকে চতুর্থ গোল এনে দেন চার্লস দিদিয়ের।

এদিকে গোপালগঞ্জে ঢাকা মোহামেডানকে ২-১ গোলে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা। জয়ের নায়ক সুদি আবদুল্লাহ। তিনি জোড়া গোল করেন। মোহামেডানের ওবি মোনেকে গোল করেন। ২০ ম্যাচ শেষে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে উঠে এসেছে মুক্তিযোদ্ধা। ২৯ পয়েন্ট নিয়ে মোহামেডান আছে পাঁচে। ম্যাচের ২৬ মিনিটে এগিয়ে নেন বুরন্ডি  ফরোয়াড সুদি আবদুল্লাহ। দ্বিতীয়ার্ধ্বে আক্রমণের ধার বজায় রাখে মুক্তিযোদ্ধা। ৬৯ মিনিটে জোড়া গোল করেন সুদি আবদুল্লাহ। ৮৭ মিনিটে মোহামেডানের পক্ষে সান্ত্বনাসূচক গোলটি করেন ওবি মোনেকে। অন্যদিকে সানডে চিজোবার হ্যাটট্রিকে রহমগঞ্জ ৫-১ গোলে হারায় স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘকে।

রহমতগঞ্জ টানা দুই ম্যাচে ১২ গোল করল। আগের ম্যাচে তারা মুক্তিযোদ্ধাকে ৭-১ গোলে পরাজিত করে। সানডে চিজোবা প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে লিগে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক করেন। বাকি দুই গোল করেন ফিলিপ আদজাহ ও সানোয়ার হোসেন। স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের একমাত্র গোল করেন ইভান মারিচ। ২০ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে রহমতগঞ্জ নবম স্থানে। সমান ম্যাচে ৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করে স্বাধীনতার রেলিগেশন অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেছে। এবারই প্রথম দলটি পেশাদার লিগে সুযোগ পায়।

প্রথম লেগে বসুন্ধরা কিংস ও দ্বিতীয় লেগে সাইফের মতো বড় দলকে হারানোর পরও তারা আর সুবিধা করতে পারেনি। পেশাদার লিগ থেকে তাদের বিদায় নেওয়াটা সময়ের ব্যাপারেই বলা যায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর