বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা
এশিয়া কাপ

টাইগারদের টার্গেট কী

‘দল হিসেবে ভালো খেলছি না, তার মানে আমরা টি-২০ খেলতে পারি না, তা না। আমরা দ্রুতই ভালো দল হয়ে উঠব ইনশাআল্লাহ।’

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এশিয়া কাপের সবশেষ আসর বসেছিল ২০১৮ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। দাপট দেখিয়ে সেবার ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। ভারতের বিরুদ্ধে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে যায়। আবারও সেই আমিরাতেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এশিয়া কাপ। এরপরই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠিত টি-২০ বিশ্বকাপ। ওই আসরের কথা চিন্তা করে এবার এশিয়া কাপের ফরম্যাটটি ওয়ানডের পরিবর্তে টি-২০ করা হয়েছে।

ওয়ানডে ফরম্যাটটা বাংলাাদেশের যতটা পছন্দের, ঠিক ততটাই অপছন্দের টি-২০। এই ফরম্যাটে এখনো বলার মতো কোনো সাফল্য নেই। তাহলে এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের টার্গেট কী?

টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘এশিয়া কাপের দ্বিতীয় পর্বে যাওয়া নিয়ে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন, যেহেতু আমরা এই ফরম্যাটে ভালো করছি না। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমরা এটা পারব,  সেখানে ভালো করতে পারব। আগেও বাংলাদেশ এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছে। ফরম্যাট ৫০ ওভার হোক বা টি-২০। আমরা ফাইনাল অবশ্যই খেলতে চাই। চাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে, ভালো ক্রিকেট খেলতে।’

নিজেদের পরিকল্পনা সম্পর্কে টিম ডিরেক্টরের দাবি, ‘আমাদের প্রথম দুটি ম্যাচ, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে। ম্যাচগুলো আমরা জিততে চাই। শারজাহ ও দুবাইতে খেলা। উইকেট ও ওখানকার কন্ডিশন আমাদের জানা। ওখানে কী হবে, আমরা জানি। ওসব মাথায় রেখেই আমরা পরিকল্পনা করছি।’

বিশ্বকাপের সব শেষ আসর আমিরাতের মাটিতেই হয়েছিল। মূলপর্বে কোনো ম্যাচই জিততে পারেননি টাইগাররা। তা ছাড়া সব শেষ আসরে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধেও সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। তারপরও এশিয়া কাপে ভালো কিছুর আশা করছেন ক্রিকেটাররা।

টি-২০’র অধিনায়ক হিসেবে নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। নতুন ক্যাপ্টেনের নেতৃত্বে সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে অন্যরকম কিছু করার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন টাইগাররা। এশিয়া কাপকে অনেকেই নিজেকে মেলে ধরার মঞ্চ হিসেবে নিয়েছেন। 

পেসার ইবাদত হোসেন যেমন বলেই ফেললেন, তার মনের ভাবনাটা। ‘সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে, আমি মনে করি, চেষ্টা একটা জিনিস আর আমি করে দেখাব একটা জিনিস। আমার জীবন থেকে চেষ্টা ব্যাপারটা শেষ। আমি করে দেখাব ইনশাআল্লাহ, আমি করব। দল হিসেবে ভালো খেলছি না, তার মানে আমরা টি-২০ খেলতে পারি না, তা নয়। আমরা দ্রুতই ভালো দল হয়ে উঠব ইনশাআল্লাহ। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

ইবাদতের পরিচয় টেস্ট ক্রিকেটের বোলার। কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সুযোগ পেয়ে শেষ ওয়ানডেতে দাপট দেখিয়েছেন। এবার তিনি টি-২০তে অভিষেকের অপেক্ষায়। এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে চান তিনি। ইবাদত বলেন, ‘সুযোগটা পেয়েছি। টেস্টে সারা দিন বোলিং করার ব্যাপার থাকে। টি-২০র মতো সংক্ষিপ্ত সংস্করণে গতি নিয়ে বোলিং করতে হয়, যেহেতু উইকেট ভালো থাকবে, ব্যাটসম্যানরা আক্রমণাত্মক থাকবে। পরিকল্পনা করে বোলিং করাটাই মূল বিষয়।’

টি-২০ ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি ধকল যায় বোলারদের ওপর দিয়ে। ব্যাটসম্যানদের তুলনায় বোলারদের চ্যালেঞ্জটা থাকে অনেক বেশি। ইবাদত বলেন, ‘আমরা বোলাররা যদি কম রানে আটকে রাখতে পারি, ব্যাটসম্যানদের জন্য সহজ হয়ে যায়। বাড়তি দায়িত্ব সবার থাকবে। ব্যাটসম্যান, বোলার, ফিল্ডার সবাই মিলেই চেষ্টা করব।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর