ফাইনালের মাধ্যমে ২২তম বিশ্বকাপ ফুটবলের পর্দা নামল। নানা শঙ্কা ও সংশয় থাকলেও কাতার সার্থকভাবে এত বড় আয়োজন শেষ করেছে। কাতারই প্রথম এশিয়ার মধ্যে এককভাবে বিশ্বকাপের আয়োজন করেছে। এর আগে ২০০২ সালে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া যৌথভাবে ফুটবলে দুনিয়া সেরা আসরের আয়োজন করেছিল। কাতারে কেউ হেসেছে কেউ কেঁদেছে। জয়-পরাজয় ও অঘটন স্মৃতির পাতায় ঠাঁই পেয়ে গেল। গ্রুপপর্ব থেকে ১৬ দল বিদায় নিয়েছে। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে আবার আট দলের বিদায়। সবই বিদায়ের পর টিকেছিল শুধু ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা।
বিদায়ের পরই দলগুলো স্বাভাবিকভাবে দেশে ফিরে গেছে। তবে কেউ ফেরেনি খালি হাতে। আসরে অংশ নেওয়া ৩২ দলই বিশাল অঙ্কের টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। তবে চ্যাম্পিয়ন দল স্বাভাবিকভাবে বেশি অর্থ পেয়েছে। যাকে বলা হয় প্রাইজমানি। কাতার বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন দল পেয়েছে ৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। আর রানার্সআপরা ৩ কোটি ডলার। অংশ নেওয়ার ফি ও আয়ের লাভ থেকে ভাগ বসাবে সবাই। ফাইনালে দুই দলের জন্য যেমন ৭ কোটি ২০ লাখ ডলার রাখা হয়েছিল। তেমনি আসরে তৃতীয় হওয়া দল পেয়েছে ২ কোটি ৭০ ডলার। আর চতুর্থ হওয়া দল পেয়েছে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পুরস্কার হিসেবে ব্রাজিল, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল ও ইংল্যান্ড পেয়েছে ১ কোটি ৭০ লাখ ডলার। আর শেষ ষোলোতে খেলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, সেনেগাল, অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড, স্পেন, জাপান, সুইজারল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়া ১ কোটি ৩০ লাখ ডলার করে পাবে। অন্যদিকে স্বাগতিক কাতার, ইকুয়েডর, ওয়েলস, ইরান, মেক্সিকো, সৌদি আরব, ডেনমার্ক, তিউনিসিয়া, কানাডা, বেলজিয়াম, জার্মানি, কোস্টারিকা, সার্বিয়া, ক্যামেরুন, ঘানা ও উরুগুয়ে পাচ্ছে ৯০ লাখ ডলার করে।