সোমবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাইডার্সের সামনে চ্যালেঞ্জার্স

ক্রীড়া প্রতিবেদক

রাইডার্সের সামনে চ্যালেঞ্জার্স

ঢাকা, চট্টগ্রামে খেলা শেষে ফের ঢাকায় ফিরেছে বিপিএল। ২০ ওভারের টি-২০ টুর্নামেন্টটির তৃতীয় পর্ব আজ শুরু হচ্ছে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। দুপুর দেড়টায় সূচনা ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্রতিপক্ষ ঢাকা ডমিনেটর্স। রংপুর ও চট্টগ্রাম চলতি আসরে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হচ্ছে। আসরে দ্বিতীয়বার মুখোমুখি হচ্ছে ঢাকা ও কুমিল্লা। চট্টগ্রাম পর্বে দুই দলের প্রথম লড়াইয়ে কুমিল্লা জিতেছিল ৩৩ রানে। ৬ ম্যাচে ৫ জয়ে রান রেটে সবার উপরে মাশরাফি বিন মর্তুজার সিলেট স্ট্রাইকার্স। সমান ১০ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে দুইয়ে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল।

সাইড স্ট্রেইনের জন্য রংপুর রাইডার্সের হয়ে সর্বশেষ দুই ম্যাচে মাঠে নামেননি নিয়মিত অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। আজ খেলতে দেখা যেতে পারে তাকে। গতকাল অনুশীলনে এসেছিলেন তিনি। সোহানের অনপুস্থিতিতে মিডল অর্ডারে ভুগতে হচ্ছে রংপুরকে। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নরা ৫ ম্যাচে দুটিতে জিতেছে এবং হেরেছে ৩টিতে। রংপুরের প্রথম জয় কুমিল্লার বিপক্ষে ৩৪ রানে এবং দ্বিতীয়টি খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৪ উইকেটে। রংপুরের হয়ে দারুণ খেলছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিক। ৫ ম্যাচে রান করেছেন ১৫০। ওপেনার রনি তালুকদার রান করেছেন ৫ ম্যাচে ১১৯। ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ ৫ ম্যাচে ৯৪ রান এবং সোহান ৩ ম্যাচে ৪১ রান করেন। বল হাতে হাসান মাহমুদ ৫ ম্যাচে ৭ উইকেটে, রবিউল হক ৭ উইকেট নেন। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জয় দুটি। ৯ উইকেটে খুলনাকে এবং ৮ উইকেটে হারায় ঢাকা ডমিনেটর্সকে। চট্টগ্রাম-খুলনা ম্যাচে সেঞ্চুরি হয়েছে দুটি। প্রথমে সেঞ্চুরি করেন খুলনার আজম খান। খেলেছিলেন ১০৯ রানের অপরাজিত ইনিংস। সেটাকে ছাপিয়ে যান উসমান খান ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে। চট্টগ্রামের আরেকটি জয় ঢাকার বিপক্ষে ৮ উইকেটে। চট্টগ্রামের ব্যাটিংয়ের মূল ভরসা উসমান খান। ৬ ম্যাচে রান করেছেন একটি সেঞ্চুরিতে ২০৮। আফিফ হোসেন ৬ ম্যাচে ১৯১ রান করেছেন। বোলিংয়ে আবু জায়েদ রাহী ২ ম্যাচে ৫ উইকেট নেন। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি জাতীয় দলের বাইরে থাকা দুই ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস ও নাসির হোসেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক ইমরুল এবং ঢাকার অধিনায়ক নাসির। চট্টগ্রামে দুই দলের প্রথম মুখোমুখিতে ৩৩ রানে জিতেছিল কুমিল্লা। প্রথমে ব্যাট করে দুই পাকিস্তানি মোহাম্মদ রিজওয়ানের অপরাজিত ৫৫ এবং খুশদিল শাহের ৬৪ রানে ভর করে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮৪ রান করে কুমিল্লা। কুমিল্লা ইনিংসটি খেলেন মাত্র ২৪ বলে ৭ চার ও ৫ ছক্কায়। জবাবে নাসিরের অপরাজিত ৬৬ রানের পরও হেরে যায় ঢাকা।

বিপিএলে দারুণ ছন্দে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক ৬ ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ৬ ম্যাচে ৫ ইনিংসে তার রান ২৭৫ রান। সেঞ্চুরির ইনিংস না থাকলেও ১৯৬.৮২ স্ট্রাইক রেটে হাফসেঞ্চুরির ইনিংস রয়েছে ৩টি। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮৯। যা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। ব্যাটিং ও বোলিংয়ে দারুণ খেলছেন ঢাকার অধিনায়ক নাসিরও। ব্যাট হাতে রান করেছেন ৬ ম্যাচে ১৩১.৬৬ স্ট্রাইক রেটে ২৬৯। অফ স্পিনে উইকেট নিয়েছেন ৭টি। সবচেয়ে বেশি উইকেট খুলনা টাইগার্সের ওয়াহাব রিয়াজের। ৬ ম্যাচে ওভার প্রতি ৬.৫১ স্ট্রাইক রেটে উইকেট নিয়েছেন ১১টি। সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফির উইকেট ৬ ম্যাচে ৬.৭৫ স্ট্রাইক রেটে ৯টি। অবশ্য বরিশালের ইফতেখার আহমেদও সেঞ্চুরি করেন। খেলেন অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস।  

সর্বশেষ খবর