বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

আগ্রহের কেন্দ্রে কিংসলে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আগ্রহের কেন্দ্রে কিংসলে

চলতি মাসের শেষের দিকে সিলেটে ফিফা উইন্ডো ত্রিদেশীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ছাড়াও ব্রুনাই ও সিশেলস আসরে খেলবে। ফিফা র‌্যাঙ্কিয়ে একেবারে নিচের দিকেই তিনটি দেশই খেলবে। বাফুফের লক্ষ্য হচ্ছে দুর্বল দলকে হারিয়ে যদি একটা ট্রফি জেতা যায়। এশিয়ার শক্তিশালী দেশগুলোর কথা বাদই দিলাম। সাফে নেপাল, শ্রীলঙ্কা এমনকি ভুটানকে খেলালেও চ্যাম্পিয়নের নিশ্চয়তা নেই। ফুটবলে দুই দেশকে নিয়ে যদি কিছু করা যায়। ২০০৩ সালে ঢাকায় সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়নের পর বাংলাদেশ জাতীয় দল আর চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। এর মধ্যে বড় প্রাপ্তি ছিল ২০০৬ সালে সাফ ফুটবলে রানার্সআপ হওয়া। এখন তো এই টুর্নামেন্টে সেমিফাইনাল খেলাটাই স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। এবার যদি ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায়।

ত্রিদেশীয় ফুটবলে প্রস্তুতি নিতেই বাংলাদেশ জাতীয় দল এখন সৌদি আরবে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করছে। অথচ এই টুর্নামেন্ট নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। তাছাড়া এ জাতীয় আসরে চ্যাম্পিয়ন হলেও দেশের সুনাম বাড়বে না। তবে আগ্রহ যে একেবারে নেই তাও বলা যাবে না। ফুটবলতো ১১ জনের খেলা। তবুও চোখ থাকবে একজনের দিকে। আর তিনি হচ্ছেন এলিটা কিংসলে। তিনিও এখন দলের সঙ্গে অনুশীলনে ব্যস্ত। বেশ কয়েক বছর ধরে নাইজেরিয়া থেকে উড়ে এসে এ ফুটবলার বাংলাদেশের বিভিন্ন দলে খেলেছেন। এবার তাঁর ঠিকানা ঢাকা আবাহনী। বাংলাদেশের মেয়েকে বিয়ে করেছেন আগেই। বাবাও হয়েছেন। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন অনেক দিন হয়ে গেল। তবু বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলতে পারেননি। শুধু প্রাথমিক স্কোয়াড নয় কিংসলে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের মূল দলে খেলবেন আশা করা যাচ্ছে।

১৯৭৪ সাল থেকে বাংলাদেশের ঘরোয়া আসরে অনেক বিদেশি খেলে গেলেও কিংসলে একমাত্র ফুটবলার যিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরাও তাকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত। উচ্ছ্বসিত না হওয়ার কারণও নেই। ঢাকা আবাহনীতে লিগে দারুণ খেলছেন। ৭টি গোলও করেছেন। জাতীয় দলে স্ট্রাইকার পজিশনে যে শূন্যতা তা কিংসলের মাধ্যমে কাটতে পারে। ফুটবল প্রেমীদের আগ্রহ কিংসলে জাতীয় দলে কেমন খেলেন। তবুও তাঁকে ঘিরে কিছু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেছেন, আর কোনো সংশয় নেই কিংসলে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট খেলবে। দুই দল আপত্তি তুললে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র শো করব। ফিফার অনাপত্তিপত্রও মিলেছে।

প্রশ্ন হচ্ছে কিংসলে এর আগে বাংলাদেশি ফুটবলার হিসেবে এএফসি কাপ খেলেন বসুন্ধরা কিংসে। তারপরও বাফুফে তাকে জাতীয় দলে খেলাতে পারেনি কেন? যত দূর জানা যায় কিংসের ম্যানেজমেন্ট কিংসলেকে জাতীয় দলের খেলানোর জন্য ফিফার কাছে সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়েছে। এরপরও বাফুফের তৎপরতা চোখে পড়েনি। হঠাৎ করে কিংসলের সবকিছু ঠিক হয়ে গেল সেই রহস্যটা কোথায়? সোহাগরা তখন নীরব ছিলেন  কেন? এর পেছনে রহস্যাটা কি? তবে কিংসলে জাতীয় দলে খেলুক এটা সবারই প্রত্যাশা।

সর্বশেষ খবর