অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে বসছে বিশ্বকাপ। ১০ দলের আসরে সরাসরি খেলার সুযোগ করে নিয়েছে বাংলাদেশ। আইসিসি সুপার লিগে তামিম বাহিনী দারুণ ছন্দোময় পারফরম্যান্স করে তিনে থেকে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ করে নিয়েছে। ২৪ ম্যাচের মধ্যে ১৫টি জিতেছে বাংলাদেশ। ২৪ ম্যাচে ১৬ জয়ে সবার ওপরে নিউজিল্যান্ড। দুইয়ে থাকা ইংল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান- ১৫৫। তবে নেট রানরেটে এগিয়ে ইংলিশরা। ইংল্যান্ডের নেট রানরেট ০.৯৭৬ এবং টাইগারদের নেট রানরেট ০.২২১। সুপার লিগে ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলেছে তামিম বাহিনী। চন্ডিকা হাতুরাসিংহের শিষ্যরা ব্যাটিং ও বোলিংয়ে দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন। ব্যাটিং ও বোলিংয়ে দুরন্ত অলরাউন্ডিং পারফরমার সাকিব আল হাসান। ২০ ম্যাচে ৬১৯ রানের পাশপাশি উইকেট নিয়েছেন ৩১টি। এ ছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজ ২৩ ম্যাচে ২৭৯ রান ও উইকেট নিয়েছেন ৩০টি। ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ২৪ ম্যাচের ২৩ ইনিংসে ৩৪.০৪ গড়ে ৭৮৩ রান করেছেন টাইগার অধিনায়ক। সবচেয়ে বেশি উইকেট সাকিবের, ২০ ম্যাচে ৩১টি।
আইসিসি সুপার লিগে সবচেয়ে বেশি রান পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমের। পাকিস্তানি অধিনায়ক ২১ ম্যাচের ২১ ইনিংসে ৭৬.৫২ গড়ে রান করেছেন ১৪৫৪। সেঞ্চুরি ৬টি এবং হাফসেঞ্চুরি ৯টি। সুপার লিগে হাজারের ওপর রান করেছেন আর মাত্র একজন। আয়ারল্যান্ডের হ্যারি টেক্টর। আইরিশ ক্রিকেটার রান করেছেন ২৪ ম্যাচে ১০৬২। যাতে সেঞ্চুরি রয়েছে ৩টি এবং হাফসেঞ্চুরি ৭টি। সুপার লিগে সেরা ১০ ব্যাটারের মধ্যে নেই একজন ভারতীয়ও। তালিকার ১২ নম্বরে থাকা বাঁ-হাতি ওপেনার শেখর ধাওয়ানের রান ১৯ ম্যাচে ৭০৫। তালিকার সেরা ১০-এ রয়েছে দুই টাইগার ক্রিকেটার। ৭৮৩ রান করে ৭ নম্বরে তামিম। ১০ নম্বরে রয়েছেন মুশফিকুর রহিম ২১ ম্যাচে ৭৫৫ রান করে। ড্যাসিং ক্রিকেটার লিটন দাসের রান ২৩ ম্যাচে ২৮.৪৭ গড়ে ৬৫৫। বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি করেছেন ২টি। চারে থাকা সাকিব রান করেছেন ২০ ম্যাচে ৬১৯। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে সিরিজে বাদ পড়া মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের রান ২১ ম্যাচে ৫৬৩। নাজমুল হোসেন শান্ত ১ সেঞ্চুরিতে ৯ ম্যাচে রান করেছেন ৩৪৫। আফিফ হোসেন ধ্রুব ১৫ ম্যাচে ৩৮৬, রনি তালুকদার ১ ম্যাচে ৪, তৌহিদ হৃদয় ৩ ম্যাচে ১০৮ রান করেছেন।
বোলিংয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট অস্ট্রেলিয়ার লেগ স্পিনার ১৮ ম্যাচে ৪১টি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁ-হাতি স্পিনার আকিল আহমেদের উইকেট সংখ্যা ২৩ ম্যাচে ৪০টি। ২০ ম্যাচে ৩১ উইকেট নিয়ে তালিকার ৬ নম্বরে রয়েছেন সাকিব। ৩০টি করে উইকেট পেয়েছেন আফগানিস্তানের রশিদ খান, জিম্বাবুয়ের মুঝারাবানি, বাংলাদেশের মেহেদী হাসান মিরাজ, পাকিস্তানের হারিস রউফ ও ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ।