বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

আফগানরা আসছে রশিদকে ছাড়াই

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একমাত্র টেস্ট ম্যাচে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত ছিলেন রশিদ খান। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ৫১ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ৫৫ রানে ৫ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসেও ২১ রানের পাশাপাশি ৪৯ রানে নেন ৬ উইকেট

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আফগানরা আসছে রশিদকে ছাড়াই

বাংলাদেশ দলে যেমন সেরা তারকা সাকিব আল হাসান নেই। তেমনি আফগানিস্তান দল থেকেও ছিটকে গেছেন তাদের সেরা তারকা রশিদ খান। তাকে ছাড়াই বাংলাদেশে আসছে আফগানরা। টাইগারদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের দল ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ইনজুরি থেকে পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় দলে জায়গা হয়নি রশিদের। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম দুই ওয়ানডেতে চোটের কারণে খেলতে পারেননি।

তবে তৃতীয় ওয়ানডেতে খেললেও আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড স্কোয়াডে রাখেনি তাকে। এবার বাংলাদেশে আসছে আফগানিস্তানের নতুন এক বোলিং ইউনিট। পরিচিত মুখ নেই বললেই চলে। মোহাম্মদ নবী তো টেস্ট ক্রিকেটকে গুডবাই বলেছেন অনেক আগেই। অনেক দিন থেকে তারকা স্পিনার মুজিব-উর রহমানও টেস্ট খেলেন না। এমনকি আরেক রিস্ট স্পিনার নূর আহমেদও দলে নেই। বোলিং ইউনিটে আছেন বাঁহাতি স্পিনার আমির হামজা, আরেক বাঁহাতি স্পিনার জহির খান। রশিদ খানের উত্তরসূরি হিসেবে আন্তর্জাতিক অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা ১৯ বছর বয়সী লেগ স্পিনার ইজহারুল হক নাভিদ। আর পেস আক্রমণের দায়িত্বে আছেন ইয়ামিন আমেদজাই, করিম জানাত ও নিজাত মাসুদ।

ঘরোয়া ক্রিকেটে ক্যারিশমেটিক ব্যাটিং করে টেস্ট স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন বাহির শাহ। এ তরুণ তারকার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একটি ট্রিপল সেঞ্চুরিও আছে। অপরাজিত ৩০৩ রানের ইনিংস তাকে পৌঁছে দিয়েছে জাতীয় দলে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাহির শাহর মোট সেঞ্চুরি ৯টি। ৩৩ ম্যাচে গড় ৬৫.২০।

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মাত্র একটি টেস্ট খেলেছে আফগানিস্তান। ২০১৯ সালে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সেই টেস্টে টাইগারদের যেন পাত্তাই দেয়নি। ২২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় আফগানিস্তান। ম্যাচে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত ছিলেন রশিদ খান। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ৫১ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ৫৫ রানে ৫ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসেও ২১ রানের পাশাপাশি ৪৯ রানে নেন ৬ উইকেট। দুই ইনিংস মিলে বাংলাদেশের ২০ উইকেটের মধ্যে একাই ১১টি নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন রশিদ।

কিন্তু এবার সেরা তারকাকে ছাড়াই বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানাতে আসছে আফগানরা। ২০১৯ সালে লাল-সবুজরা বিপদে পড়েছিল মূলত নিজেদের কৌশলগত দুর্বলতার কারণে। তখন আফগান স্পিনাররা ছিলেন ফর্মের তুঙ্গে। কিন্তু চট্টগ্রামের উইকেট এমনভাবে তৈরি করা ছিল হয়েছিল রশিদ-নবীদের মনের মতো। পছন্দের উইকেট পেয়ে তারা টাইগারদের তুলাধোনা করে দিয়েছিল। তাছাড়া ওই ম্যাচের আগে আফগানদের খুব পাত্তা দেয়নি বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ধারণা ছিল- নবাগত একটা দল আর কতই ভালো খেলবে। কিন্তু টাইগারদের ধারণা বদলে দিয়েছিল আফগানরা।

ওই ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়েছে বাংলাদেশ। সে কারণেই এবার অনেক বেশি সতর্ক স্বাগতিকরা। একমাত্র ম্যাচের টেস্টকে ঘিরে অনেক আগে থেকেই অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে চন্ডিকা হাতুরাসিংহের শিষ্যরা। এবার আর আফগানদের হালকাভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে সাকিব না থাকায় বাংলাদেশের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। যদিও আফগান দলে রশিদ খান না থাকাটাও টাইগার ব্যাটসম্যানদের জন্য বড় স্বস্তি। তারপরও ম্যাচে লড়াই যে হবে তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না।

আফগানিস্তান দল বাংলাদেশ সফরে আসবে আগামী শনিবার। ঢাকায় এসে তারা মাত্র তিন দিন অনুশীলন করেই খেলতে নামবে। টেস্ট শুরু হবে ১৪ জুন থেকে, মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তারা টেস্ট ছাড়াও তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-২০ ম্যাচ খেলবে।

আফগানিস্তান দল : হাশমতউল্লাহ শহীদি (অধিনায়ক), রহমত শাহ (সহ-অধিনায়ক), আফসার জাজাই, ইকরাম আলীখিল, ইব্রাহিম জাদরান, আবদুল মালিক, বাহির শাহ, নাসির জামাল, করিম জানাত, জহির খান, ইজহারুল হক নাভিদ, আমির হামজা হোতাক, ইব্রাহিম আবদুল রহিমজাই, ইয়ামিন আহমেদজাই, নিজাত মাসুদ।

 

 

সর্বশেষ খবর