ম্যাচের আগের দিন ক্যান্ডিতে দলের সঙ্গে যোগ দেন এনামুল হক বিজয়। অথচ আলোচনায় ছিলেন না তিনি। এমনকি ৩২ জনের প্রাথমিক স্কোয়াডেও ছিল না তার নাম। টিম ম্যানেজমেন্ট গতকাল এশিয়া কাপ খেলতে তাকেই পাঠিয়েছেন শ্রীলঙ্কায়। এবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশ স্কোয়াডের সবচেয়ে বড় চমক এনামুল বিজয়। তাকে নেওয়া হয়েছে নিয়মিত ওপেনার লিটন দাসের পরিবর্তে, দ্বিতীয় উইকেটরক্ষকের বিবেচনায়। অ্যাঙ্কেলের সমস্যায় যেতে পারেননি ডান হাতি ফাস্ট বোলার ইবাদত হোসেন।
পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে এশিয়া কাপ খেলতে পারছেন না অধিনায়ক সাকিব। ইবাদত না থাকার পরও টাইগার অধিনায়কের বিশ্বাস, বাংলাদেশের বোলিং বিভাগ যথেষ্ট শক্তিশালী। বিশ্বমানের বোলিং শক্তি নিয়েই আজ পাল্লেকেলেতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে নামছেন টাইগাররা।
স্কোয়াডে ৫ পেসার ও ৩ স্পিনার এবং চার অলরাউন্ডার। স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার চেয়ে নিজেদের বোলিংকে এগিয়ে রেখেছেন টাইগার অধিনায়ক, ‘অভিজ্ঞতায় শ্রীলঙ্কার বোলিং থেকে আমরা অবশ্যই এগিয়ে। আমি যেটা বললাম শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনে যারা এলপিএলে ভালো করেছে, তারাই দলে এসেছে। কাউকে ছোট করার কিছু নেই।’ ইবাদত না থাকলেও পেস বিভাগে রয়েছেন ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজুর রহমান, স্পিড স্টার তাসকিন আহমেদ, বাঁ হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ। অভিজ্ঞ মুস্তাফিজের উইকেট ৮৯ ম্যাচে ১৪৮, তাসকিনের উইকেট ৫৯ ম্যাচে ৮১, শরিফুল ১৭ ম্যাচে ২৬ এবং হাসানের উইকেট ১৩ ম্যাচে ২০টি। তানজিম সাকিবও প্রথমবার সুযোগ পেয়েছেন। স্পিন বিভাগে মূল ভরসা অধিনায়ক সাকিব। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের উইকেট ২৩৫ ম্যাচে ৩০৫টি। মেহেদি হাসান মিরাজের উইকেট ৭৭ ম্যাচে ৮৮টি এবং বাঁ হাতি স্পিনার নাসুমের উইকেট ৭ ম্যাচে ৮টি। এমন বোলিং শক্তি নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হতেই পারেন টাইগার অধিনায়ক।
বোলিং নিয়ে যতটা ভরসা, উল্টো চিত্র ব্যাটিংয়ে মূল ভরসা। সাকিব ছাড়া আরেক অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম, তরুণ তৌহিদ হৃদয়, নাজমুল হোসেন শান্ত আস্থার নাম। সাকিব ২৩৫ ম্যাচে রান করেছেন ৭২১১। সেঞ্চুরি ৯, হাফসেঞ্চুরি ৫৩টি। দলের সবচেয়ে সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিক ২৫১ ম্যাচে রান করেছেন ৭২৫৭ রান। সেঞ্চুরি ৯ এবং হাফসেঞ্চুরি ৪৫টি। তৌহিদ ৯ ম্যাচ খেললেও রান করেছেন ৩৩৮। ওয়ান ডাউনে খেলা তরুণ নাজমুল শান্ত রান করেছেন ২৭ ম্যাচে ৬৩৯। মিডল অর্ডারে এ ছাড়া শেখ মেহেদি, আফিফ হোসেন ধ্রুব, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, মেহেদি মিরাজরা রয়েছেন।
একনজরে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা
ম্যাচ : ৫১
বাংলাদেশ : ৯
শ্রীলঙ্কা : ৪০
খেলা হয়নি : ২
দলগত সর্বোচ্চ
বাংলাদেশ : ৩২৪/৫, ৫০ ওভার
শ্রীলঙ্কা : ৩৫৭/৯, ৫০ ওভার
দলগত সর্বনিম্ন
বাংলাদেশ : ৭৬/১০, ৩০.১ ওভার
শ্রীলঙ্কা: ১২৪/১০, ৩৫.৫ ওভার
সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়
রানের হিসাবে
বাংলাদেশ : ১৩৭ রানে শ্রীলঙ্কা : ১৯৮ রানে
উইকেটের হিসাবে
বাংলাদেশ : ৫ উইকেট শ্রীলঙ্কা : ১০ উইকেট
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ
মুশফিকুর রহিম (বাংলাদেশ) : ১৪৪
তিলকরত্নে দিলশান (শ্রীলঙ্কা) : ১৬১*
সবচেয়ে বেশি উইকেট
মাশরাফি বিন মর্তুজা (বাংলাদেশ) : ২৬ (২২ ম্যাচ)
মুত্তিয়া মুরলিধরন (শ্রীলঙ্কা) : ৩১ (১৭ ম্যাচ)
সেরা বোলিং
আবদুর রাজ্জাক (বাংলাদেশ) : ৫/৬২
চামিন্দা ভাস (শ্রীলঙ্কা) : ৬/২৫