এখানে আউটফিল্ডের অবস্থা আগেই দেখেছেন। এখানে ফিল্ডারদের জন্য আপনার পরামর্শ কী হবে?
রঙ্গনা হেরাথ : আপনি যেমনটা বলেছেন, আমরা এখানে দুই দিন আগেই খেলেছি। আমরা জানি, এ মাঠটা কেমন। আউটফিল্ডের ব্যাপারে বলতে পারি, আমাদের অ্যাডজাস্ট করতে হবে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে আমাদের শুরুটা দারুণ হয়েছে। আগের ম্যাচের মাইন্ড সেটটাই আমরা ধরে রাখতে চাই।
আইসিসি এরই মধ্যে বলেছে, এ মাঠের আউটফিল্ড গড়পড়তা মানের। আপনি কি ফিল্ডারদের কোনো বিশেষ নির্দেশনা দেবেন?
না, আমরা কোনো কিছু নিষেধ করতে যাচ্ছি না। এমনটা করলে ক্রিকেটাররা শতভাগ দিতে পারবে না। আগের ম্যাচে তারা দারুণ করেছে। আমরা তাদের নিজেদের সেরাটাই দিতে বলব। আউটফিল্ডেও আমাদের নির্দেশনা একই থাকবে।
প্রথম ম্যাচে স্পিনাররা ভালো করেছে। কালও (আজ) কি স্পিনাররা প্রধান ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন?
স্পিনাররা উইকেটটা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছে। এরপর পরিস্থিতি বুঝে বোলিংটাও ভালো করেছে। আমি নিশ্চিত এ ম্যাচেও স্পিনাররা প্রথমে উইকেটটা বুঝে পরিস্থিতি অনুযায়ী বোলিং করবে।
বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চের জন্য এ মাঠের আউটফিল্ডটা কি ঠিক আছে? আপনি কী মনে করেন?
আমি মনে করি, আইসিসি কঠোর পরিশ্রম করেছে এটা ঠিক করার জন্য। তারা একটা স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখে। আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ খেলার মতো করেই নিশ্চয়ই কর্তৃপক্ষ মাঠটা প্রস্তুত করেছে। আমি এটা নিয়ে সন্তুষ্ট।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ষষ্ঠ বোলারের অপশন রাখবেন কি? নাসুম আহমেদ অথবা শেখ মেহেদি?
এটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। নির্বাচক, কোচ, অধিনায়ক কাল এ ব্যাপারে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রথমে উইকেটটা দেখতে হবে। তার পরই আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে একটা ম্যাচ জিতেছেন। ক্রিকেটারদের প্রতি মেসেজটা কী থাকছে?
আমরা নিজেদের স্বাভাবিক ক্রিকেটটাই খেলতে চাই। বডি ল্যাঙ্গুয়েজও একই থাকবে। যাতে আমরা একই মাইন্ডসেট নিয়ে খেলতে পারি। যদি নিজেদের স্বাভাবিক ক্রিকেটটা খেলতে পারি তবে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারব।
নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড ম্যাচটা কেমন দেখেছেন? এটা থেকে কী ধরনের উপকার পাবেন?
আমরা নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড এবং ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ দেখেছি যাতে কিছু শিখতে পারি। চেন্নাইয়ে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হব। ম্যাচগুলো দেখাটাই একটা অ্যাডভান্টেজ। এটা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমরা কেবল একসঙ্গে একটা ম্যাচ নিয়েই ভাবছি।
গত ম্যাচে সাকিব ও মিরাজের বোলিং কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন। আপনার আকাক্সক্ষা অনুযায়ী ছিল?
সত্যি বলতে দশে দশ। আমি আগেও বলেছি, তারা উইকেটটা ভালোভাবে রিড করেছে। এরপর বিশ্লেষণ করেছে কোন লাইন ও লেন্থে বোলিং করতে হবে। তাছাড়া ফিল্ডিং সাজানোটাও ছিল আক্রমণাত্মক। আমি তাদের বোলিং নিয়ে শতভাগ সন্তুষ্ট।
গত ম্যাচে ডিপে কোনো ফিল্ডার ছিল না। এমনকি আফগানিস্তান আক্রমণাত্মক হওয়ার পরও। এটা কি পরিকল্পনারই অংশ ছিল?
নিশ্চয়ই। পরিকল্পনা করে খেললে আপনাকে পুরো শক্তিটাই কাজে লাগাতে হবে। ভিতরের দিকে একজন বাড়তি ফিল্ডার রাখাটা ভিন্ন ধরনের কৌশল ছিল। আমরা সেভাবেই ভেবেছি।
আপনি যখন খেলেছেন তখন কি এ ধরনের আউটফিল্ড দেখেছেন?
নিশ্চয়ই। হয়তো শুরুর দিকে আউটফিল্ড ভালো ছিল। কিন্তু বৃষ্টি এসে আউটফিল্ডটা নষ্ট করে দিয়ে গেছে। আপনি শতভাগ পাচ্ছেন না। আন্তর্জাতিক মানের একটা স্টেডিয়াম পেলে আর অভিযোগ করার কিছু থাকে না। আমি সেভাবে ভাবছি না। এখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলাটা যদি ভালো কিছু হয় তবেই আমি খুশি।