চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সর্বশেষ আসর বসেছিল ৮ বছর আগে। ইংল্যান্ডে আট জাতির ওই টুর্নামেন্টে সেমিফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। আইসিসির কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ প্রাপ্তি। ২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে অবশ্য কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল টাইগাররা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০১৫ সালে বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। পাকিস্তান-দুবাইয়ে আট দলের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে নাজমুল হোসেন টাইগাররা ঢাকা ছাড়বেন ১৩ ফেব্রুয়ারি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে সামনে রেখে দুই দিন ধরে অনুশীলন করছে নাজমুল বাহিনী। ৫০ ওভারের টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি স্বাগতিক পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে। বাংলাদেশের মিশন শুরু ২০ ফেব্রুয়ারি ভারত ম্যাচ দিয়ে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ খেলবে ‘এ’ গ্রুপে। ২০ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ড এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের ম্যাচ দুটি খেলবে রাওয়ালপিন্ডিতে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতেছে তিন দলই। ভারত দুবার এবং পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড একবার করে শিরোপা জিতেছে। এমন তিন দলের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এমনটাই বলেন বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম। তিনি বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে। প্রতিপক্ষ ভারত, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। তারপরও আশাবাদী। খেয়াল করলে দেখবেন, অতীতে আমরা ব্যাটিং সমস্যায় ভুগেছি। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেট দেখে বুঝা যাচ্ছে, ব্যাটাররা এখন অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। তার ব্যক্তিগত ইনিংসগুলো বড় করতে পারছে। দলের স্কোর বড় করছে। জুটিও গড়ছে। পরিকল্পিত ক্রিকেট খেলছে ব্যাটাররা। এসব দেখে আমি ভালো কিছু হবে আশাবাদী। ব্যাটিং সমস্যাটা কেটে যাচ্ছে। বোলিং নিয়ে আমি স্বস্তিতে। বোলাররা ভালো করছে।’ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হয় ১৯৯৮ সালে ঢাকায়। প্রথম আসরের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। এরপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়েই মাঠে গড়াচ্ছে। বাংলাদেশ খেলছে ২০০০ সালের দ্বিতীয় আসর থেকে। ২০০০, ২০০২, ২০০৪ ও ২০০৬ পর্যন্ত টানা আসরগুলোতে খেলেছে। এরপর খেলতে পারেনি ২০০৯ ও ২০১৩ সালে। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফিরে সেমিফাইনাল খেলেছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ এবার ষষ্ঠবার খেলবে। এর আগে যে পাঁচবার খেলেছে, তাতে সাকুল্যে ম্যাচ খেলেছে ১২টি এবং জয় মাত্র দুটি। ২০০৬ সালে প্রথম জয় পায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। শাহরিয়ার নাফিসের অপরাজিত ১২৩ রানের ইনিংসে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছিল ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৩১ রান। সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে ৪৪.৪ ওভারে ১৩০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। ২০১৭ সালে দ্বিতীয় জয়টি পায় টাইগাররা। ইংল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে হারে আসর শুরু করে সেবার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচটি ভেসে যায় বৃষ্টিতে। তখনই সম্ভাবনা জেগে ওঠে টাইগারদের সেমিফাইনাল খেলার। এজন্য নিউজিল্যান্ডকে হারাতেই হতো। সাকিবের সেঞ্চুরিতে (১১৪) নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছিল ৫ উইকেটে। এবার কতদূর যাবে নাজমুল বাহিনী। প্রতিপক্ষ তিন চ্যাম্পিয়ন।
শিরোনাম
- মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
- ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
- ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০
- বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী
- আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
- রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
- ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
- ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
- নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
- যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
- রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
- ‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
- পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
- একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
- হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
- ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
- রাজশাহীতে বদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- ‘ঢাকার পুরনো ভবনগুলোর ৯০ শতাংশ বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মিত’
- ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
- ধানের শীষে দেশের মানুষের আস্থা রয়েছে: দুলু
নাজমুলদের জন্য চ্যালেঞ্জিং : ফাহিম
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর