কয়েক দিন আগেই বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ওয়ানডের দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান কোরি অ্যান্ডারসন। ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে করা পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান শহীদ আফ্রিদির ৩৭ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে মাত্র ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করায় অ্যান্ডারসনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন আফ্রিদি। তিনি বলেন, 'আমি আগে কখনো তার নামই শুনিনি। নতুন বছরের প্রথম দিন সকালে আমার ভাতিজা বলল যে, আমার রেকর্ড ভেঙেছে এক কিউই ব্যাটসম্যান। তখনই তার নাম জানলাম। আমি অবশ্যই বলব, এটা অনেক বড় একটা অর্জন। অ্যান্ডারসন প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। তিনি দাপটের সঙ্গেই মাত্র ৩৬ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন। এটা তো আসলেই চাইলেই করা সম্ভব নয়।'
রেকর্ড তৈরি-ই হয় ভাঙার উদ্দেশ্যে। তারপরেও শহিদ আফ্রিদির রেকর্ডটি দীর্ঘ ১৭ বছর স্থায়ী ছিল। তবে টি-২০র এই যুগে হয়তো অ্যান্ডারসনের রেকর্ডটি এতো দিন নাও স্থায়ী হতে পারে। যেভাবে আফ্রিদির রেকর্ড ভেঙে গেল ঠিক একইভাবে অ্যান্ডারসনের রেকর্ডটিও দ্রুতই অতীত হয়ে যেতে পারে বলে মনে করেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক। আফ্রিদি বলেন, 'দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে অনেক দিন রেকর্ড বুকে আমার নাম ছিল। এটা পাকিস্তান ও আমার জন্য অনেক গৌরবের। এখন রেকর্ডের মালিক অ্যান্ডারসন। কিন্তু টি-২০ ক্রিকেটের এই যুগে যেভাবে রান উঠছে, তাই আমার মনে হচ্ছে অ্যান্ডারসনের রেকর্ড বেশি দিন স্থায়ী হওয়ার কথা নয়।'
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যাচে ৩৫ বলে কিউই তারকার রান ছিল ৯৫। কিন্তু ৩৬তম বলে বিশাল এক ছক্কা হাঁকিয়ে তিনি সেঞ্চুরি পূরণ করেন। শেষ পর্যন্ত ৪৭ বলে ১৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন অ্যান্ডারসন। নিউজিল্যান্ডও বিশাল ব্যবধানে জয় পায়। তবে দ্রুততম সেঞ্চুরি করার কথা নাকি অ্যান্ডারসনের মাথাতেই ছিল না। দ্রুত গতিতে দলের স্কোর করাই নাকি ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য। অ্যান্ডারসন বলেন, 'সত্যি বলতে কি, আমি একদমই ভাবিনি যে দ্রুততম সেঞ্চুরি করতে হবে। তাছাড়া এই বিষয়টা আমার মাথাতেই ছিল না। চেয়েছিলাম যত দ্রুত সম্ভব দলের স্কোরকে বড় করতে। আমি শুধু আমার কাজটা সঠিকভাবে করতে পেরেছি। আর তাতেই রেকর্ডটাও হয়ে গেছে। তাই ভালোই লাগছে। তাছাড়া ম্যাচে আমরা বড় ব্যবধানে জয়ও পেয়েছি। দলের জয়টাই ছিল আমার কাছে মুখ্য বিষয়।'