লড়াইটা হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেনি। ভাবছেন, রিয়াল মাদ্রিদ গোল বন্যায় শালকে জিয়োফোরকে ভাসিয়ে দেওয়ার পরও কেন হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের প্রশ্ন আসছে? আসলে দুই দলের কথা বলা হচ্ছে না! রিয়াল তো শালকে-কে ৬-১ গোলে লজ্জা দিয়েছেই। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে রিয়ালের তিন তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, করিম বেনজেমা ও গ্যারেথ বেলের মধ্যে।
শুরুটা করেছেন ফরাসি তারকা বেনজেমা। মাত্র ১৩ মিনিটেই রিয়ালকে এগিয়ে দেন। বেনজেমাকে দেখে উজ্জীবিত হন রিয়ালের ওয়েলস তারকা গ্যারেথ বেল। ২১ মিনিটে শালকের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দারুণ এক গোল করেন। প্রথমার্ধে দুই গোলেই এগিয়ে ছিল রিয়াল। তবে প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ভক্তদের নিরাশ করেননি গ্যালাটিকো তারকা। ৫২ মিনিটেই দারুণ এক গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে দেন ৩-০তে। এর ঠিক মিনিট পাঁচেক পড়েই আবারও গোল করেন বেনজেমা। ফরাসি তারকাকে দ্বিতীয় গোল করতে দেখে যেন বেলও অনুপ্রাণিত হয়ে যান। ৬৯ মিনিটে তিনি দুই নম্বর গোলটি করেন। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোই বা বাদ যাবেন কেন? নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে তিনিও নিজের দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যান।
রিয়ালের তিন তারকার গোল উৎসব দেখে যেন ঘরের মাঠেই দর্শক হয়ে গিয়েছিল জার্মান দল শালকে। যদিও অতিরিক্ত সময়ে হান্টেলার এক গোল করে ব্যবধান একটুখানি কমিয়েছেন। তবে এতে সান্ত্বনা খুঁজে যাওয়ার কথা নয়। কেননা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালটা যে অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেল রিয়াল মাদ্রিদের। শেষ ষোলর প্রথম লেগেই স্প্যানিশ জায়ান্টরা এগিয়ে গেল ৫ গোলের ব্যবধানে। দ্বিতীয় লেগ এখন অনেকটা আনুষ্ঠানিকতা হয়ে থাকল।
এই জয়ে অবশ্য রিয়ালের বুকের ওপর থেকে মস্তবড় এক বোঝা নেমে গেল। কেননা জার্মানিতে অ্যাওয়ে ম্যাচ মানেই রিয়ালের জন্য মরণ ফাঁদ। এর আগে তারা ২৫ বার জার্মানি সফরে তারা জয় পেয়েছিল মাত্র একটি। আগের আসরেই তো জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে ৪-১ গোলে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল রিয়াল। তবে এবার শালকে-কে কোনো সুযোগই দিল না তারা। জার্মান দলটিকে যেন একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে ফেলল।