বিশ্বকাপ ফুটবল থেকে স্পেনের বিদায় হতাশ স্পেনের মানুষ। ২০০৮ সালে ইউরোপ কাপ ফুটবলের জয়ের পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি স্পেনকে। ২০১০ এ বিশ্বকাপ জয়ের পর ২০১২ আবারও ইউরোপ কাপ জয় করেছিল স্পেন। ফিফা রেঙ্কিং প্রথম স্থান দখল করে রেখেছিল কয়েক বছর। তারপরও গতকালের পরাজয় বিশ্ববাসীকে হতাশ করে স্পেন।
বিশ্বকাপ ফুটবল থেকে বিদায় এর কারন অনেকেই জানেন না। স্পেনের ১৭ টি প্রদেশের মধ্যে কাতালোনিয়া একটি বড় প্রদেশ। এই কাতালোনিয়া বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাবের অবস্থান। বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাব মুলত টুকিটাকি ফুটবল খেলার জন্ম দাতা । ২০১০ এর বিশ্বকাপ বার্সেলোনা ক্লাবের ৭ জন খেলোয়াড় নিয়মিত প্রথম একাদশে খেলেছিল। কিন্তু ২০১২ সাল থেকে কাতালোনিয়া প্রদেশে স্বাধীনতার জন্যে আন্দোলন ও গন ভোট হয়। এতে অধিকাংশ কাতালোনিয়ার মানুষ স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু স্পেন সরকার কাতালোনিয়া কে আলাদা রাষ্ট্রের বিরোধীতা করে আসছে। আর এরই মধ্যে ২০১৩ সালে বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাব কাতালোনিয়া স্বাধীনতা পক্ষে সমর্থন করে।
বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাবের জার্সির কাতালোনিয়া পতাকার মতো করে বানায়। এবং স্বাধীনতা পক্ষে জনমত গড়তে থাকে। এইভাবে স্পেনের ফুটবল খেলা মধ্যে রাজনীতির চলতে থাকে। ২০১০ এর বিশ্বকাপ স্পেনের জয়ের পরে যখন সারা স্পেনের মানুষ উৎসব করছিল তখন কাতালোনিয়া মানুষ ছিল নিরব। বার্সেলোনা বসবাসকারী বিদেশীরা তখন আনন্দে উৎসবে অংশ নিয়ে ছিল। কাতালোনিয়া মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করে আসছে।
স্পেনের জাতীয় ফুটবল দলের মধ্যে বিভেদ আরো পরিষ্কার হয়ে যায় যখন এই বিশ্বকাপে চিলির সাথে খেলায় হারলে বিশ্ব কাপ থেকে বিদায় এমন অবস্থায় ও স্পেনের সেরা খেলোয়াড়দের সাইড লাইনে বসে থাকতে
দেখা যায়। বার্সেলোনা অধিনায়ক জাভি (সাবি) ডিফেন্স পিকে অন্যতম খেলোয়াড় সেন্স ফ্রেবগাসের মতো খেলোয়াড়দের সাইড লাইনের বসে থাকতে দেখা যায়। আর যাদেরকে খেলায় তোলা হয় যেমম ইনয়েস্তা তার বাড়ি কিন্তু কাতালোনিয়া নয় অন্য প্রদেশে। ২০১০ বিশ্ব কাপে মুলত বার্সেলোনা ৭ জন খেলোয়াড় নিয়মিত খেলেছিল এবং খেলাকে টুকিটাকিতে পরিণত করেছিলেন। এবার বিশ্বকাপে স্পেনের বাজেট ছিল সবচেয়ে বেশী। তারপরও এই ভাবে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় স্পেনের জনগণ মেনে নিতে পারছেন না। অনেক স্পেনিশ মনে করছেন রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কাছে হেরে গেল স্পেনের ফুটবল।