নাম হুলিও সিজার সুয়ারেস ডি এস্পিনোদা। বয়স ৩৫। বাড়ি ব্রাজিলে। এমন পরিচয়ে কেউ চিনবে না। কিন্তু ব্রাজিলের গোলরক্ষক বলতেই বলে উঠবে সবাই, 'ও, সিজার! বিশ্বকাপ শুরুর আগে তাকে স্কোয়াডে দেখে অনেকেই নাক ছিটকাছিলেন। ফেলে দিয়েছিলেন বাতিলের খাতায়। স্কোয়াডে নেওয়ায় চরমভাবে সমালোচিত হয়েছিলেন লুই সিজার স্কলারি। অথচ চিলি ম্যাচে পেনাল্টি শুট আউটে দুই দুটি শট ঠেকিয়ে সিজার এখন ব্রাজিলের মহানায়ক। তার পারফরম্যান্সে এখন মোহাচ্ছন্ন ব্রাজিল। গ্রুপ পর্বে গুইলারমো ওচোয়ার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে মুগ্ধ বিশ্ব। ব্রাজিলের বিপক্ষে চার চারটি শট ঠেকিয়ে ওচোয়া এখন মেক্সিকোর মহানায়ক। মেঙ্কিান গোলরক্ষকের পারফরম্যান্স ১১০ গজ দূরে দাঁড়িয়ে দেখেছেন সিজার। আর উজ্জীবিত করেছেন নিজেকে। পরশু হয়তো জীবনের সেরা খেলাটা খেলে ফেলেছেন চিলির বিপক্ষে তিনি। মাথা ঠাণ্ডা রেখে পিনিলা ও অ্যালেক্সিস সানচেজের বল ঠেকিয়ে স্তব্ধ করে দিয়েছেন বেলো হরিজেন্তো ৬০ হাজার দর্শকসহ ফুটবলপ্রেমীদের। তার ওই দুই নৈপুণ্যেই সেরা আটে জায়গা করে নিয়েছে সেলেকাওরা।
বিশ্বকাপ ২০১৪'র প্রথম নকআউট ম্যাচের ৯০ মিনিট ছিল ১-১। পরের ৩০ মিনিটেও গোল পায়নি কোনো দল। ফলে ম্যাচ নির্ধারিত হয় পেনাল্টি শুট আউটে। তাতে ৩-২ গোলে জয়লাভ করে সেরা আটে জায়গা নেয় ব্রাজিল। ম্যাচ শেষে আনন্দে কেঁদে ফেলেন সিজার। দলকে সেরা আটে তুলে ভীষণ আনন্দিত ম্যাচসেরা সিজার, 'সতীর্থদের ধন্যবাদ দেই আমাকে সাহস যোগানোয়। আমি খুবই ইমোশনাল হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমি ভীষণ খুশি।' চার বছর আগে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ে কেঁদেছিলেন সিজার। পরশু কেঁদেছেন সতীর্থদের জড়িয়ে আনন্দে। ম্যাচ শেষে মিডিয়ার মুখোমুখিতে বলেন, 'চার বছর আগে বিদায়ের কষ্টে কেঁদেছিলাম। এবার কাঁদলাম আনন্দে।' নিজে যেমন আনন্দিত। তেমনি সিজারের পারফরম্যান্সে দেশবাসীর মতো উচ্ছ্বসিত দুই সাবেক তারকা রোমারিও ও রিভাল্ডোও। ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য রোমারিও বলেন, 'এটা খুবই দামি পারফরম্যান্স। আমার ভাই সিজারকে শুভেচ্ছা।' সিজারের পারফরম্যান্সে শুভকামনা করেছেন ২০০২ বিশ্বকাপের নায়ক রিভাল্ডো, 'নিঃসন্দেহে ম্যাচের সেরা সিজার।