ক্যারিয়ারের ১৮তম গ্র্যান্ডস্লাম শিরোপা থেকে মাত্র দুই ধাপ দূরে দাঁড়িয়ে আছেন সুইস কিংবদন্তি রজার ফেদেরার। কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি ফ্রান্সের গায়েল মনফিলসকে অবিশ্বাস্যভাবে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছেন। ৩৩ বছরের এই সুইস তারকা প্রথম দুই সেট হেরে যাওয়ার পরও ম্যাচ জিতেছেন ৪-৬, ৩-৬, ৬-৪, ৭-৫, ৬-২ গেমে। সেমিফাইনালে তিনি ক্রোয়েশিয়ার ম্যারিন সিলিচের মুখোমুখি হবেন। সিলিচ কোয়ার্টার ফাইনালে ষষ্ঠ বাছাই চেক তারকা টমাস বারডিচকে হারিয়েছেন ৬-২, ৬-৪, ৭-৬ (৭/৪) গেমে।
সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার জন্য বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে রজার ফেদেরারকে। প্রথম দুই সেট হেরে যাওয়ার পর তৃতীয় সেট সহজে জিতলেও চতুর্থ সেটে টাইব্রেকারে যেতে হয়েছে তাকে। তবে পঞ্চম সেটটা দ্রুতই জিতে নেন ফেদেরার। এমন একটা ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর মনফিলস বলছেন, 'আমি ভালো খেলেছি। তবে এমন কিংবদন্তির কাছে হেরে যাওয়াতে খুব বেশি আফসোস নেই।' আর দুর্দান্ত ম্যাচটা জিতে ফেদেরার আছেন আত্দবিশ্বাসের সর্বোচ্চ শিখরে। বলছেন, 'মনফিলস দারুণ টেনিস খেলেছে। তবে প্রথম দুই সেট হেরে যাওয়ার পরও আমি জানতাম শেষটা এখনো অনেক দূরে।' তবে এত দীর্ঘ একটা ম্যাচ খেলতে হওয়ায় ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন ফেদেরার। সেমিফাইনালে কোর্টে নামার আগে এই ক্লান্তি দূর করতে হবে তাকে।
ফেদেরারের সেমিফাইনালে ওঠে আসা আরও একটা বিষয়কে সামনে নিয়ে এসেছে। আরও একবার ইউএস ওপেনের ফাইনালে মুখোমুখি হতে পারেন ফেদেরার-জকোভিচ। এর আগে ২০০৭ সালের ফাইনালে দুজন মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেবার ফেদেরার সরাসরি সেটে ম্যাচটা জিতেছিলেন। তখনো অবশ্য জকোভিচ এত বড় তারকা হয়ে ওঠেননি। এরপর ২০০৮-১১ পর্যন্ত টানা চারবার ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালে দুজন মুখোমুখি হয়েছেন। এর মধ্যে দুই বার জিতেছেন ফেদেরার এবং দুই বার জিতেছেন জকোভিচ। দুজনের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩৫ বার লড়াই হয়েছে। ১৮-১৭ ব্যবধানে এগিয়ে আছেন ফেদেরার। তবে ফাইনাল লড়াইয়ের জন্য এই ব্যবধান মোটেও সুখকর কিছু নয়।