জাতীয় দলে অভিষেক ২০১১ সালে। অভিষেকের পর লাল-সবুজ জার্সি পরে শুভাগত হোম খেলেন মাত্র ৪টি ওয়ানডে। একই বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেন চট্টগ্রামে। এরপর গত তিন বছর দর্শক হয়েই ছিলেন। দীর্ঘ বিরতিতে মনে হচ্ছিল জাতীয় দলে ফেরা বোধহয় তার পক্ষে আর সম্ভব নয়। কিন্তু নতুন নির্বাচক প্যানেল ফিরিয়ে আনে তাকে। সবাইকে বিস্মিত করে সুযোগও দেন টেস্ট খেলার। বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে ৭২ নম্বর ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেকের দিনেই আলো ছড়ান শুভাগত। ক্রিস গেইলকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে ফেরত পাঠান সাজঘরে। শুধু শুভাগত নন, ৭৩ নম্বর ক্রিকেটার হিসেবে অভিষিক্ত বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামও উইকেট নেন কার্ক এডওয়ার্ডসকে আউট করে। দুই অভিষিক্ত ক্রিকেটারের দিনে কিংস টাউনের আরনেস ভেল স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে চা বিরতি পর্যন্ত ২ উইকেটে ১৮২ রান তুলে মাটি শক্ত করে নিয়েছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টাইগার বোলারদের সাবলীল খেলে ওপেনার ক্রেগ ব্র্যাথওয়েইট এগিয়ে যাচ্ছেন সেঞ্চুরির পথে। ব্যাট করছিলেন ৮৯ রানে।
টানা ১২ ওয়ানডে হারের ধাক্কায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মুশফিক বাহিনী। টেস্ট সিরিজে নামার আগে যদিও আÍবিশ্বাস বাড়িয়ে নিতে তিন দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেন মুশফিকরা। সেন্ট ভিনসেন্টের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচটিতে নিজেদের বেশ ভালোভাবে ঝালাই করে নেন ব্যাটসম্যানরা। সেই আÍবিশ্বাসকে পুঁজি করে ড্রয়ের স্বপ্ন নিয়ে টাইগাররা খেলতে নামে আরনেস ভেলে। টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত কোনো প্রকার চাপই প্রয়োগ করতে পারেনি দুুই ক্যারিবীয় ওপেনার গেইল ও ব্র্যাথওয়েইটের ওপর। নির্ভার ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে ১০৩ রান যোগ করে লাঞ্চে যায় গেইল-ব্র্যাথওয়েইট জুটি। লাঞ্চে যাওয়ার আগেই ক্যারিয়ারের ১০৩ নম্বর টেস্টে ৩৭তম হাফসেঞ্চুরি করেন গেইল। ব্যক্তিগত ৬৪ রানে শুভাগতের বলে সুইপ খেলতে গিয়ে লেগ বিফোর হন এই বাঁ হাতি ওপেনার। তার বিদায়ের ১৯ বল পর সাজঘরে ফেরেন ওয়ান ডাউনে খেলতে নামা এডওয়ার্ডস। এডওয়ার্ডসকে ব্যক্তিগত ১০ রানে মুমিনুল হকের তালুবন্দী করেন তাইজুল।
দুই ওপেনার গেইল ও ব্র্যাথওয়েইট শতরানের জুটি গড়েন ধীরে-সুস্থে ব্যাট করে। গেইল আউট হলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ব্যাট করছিলেন ব্র্যাথওয়েইট ৮৯ রানে। দুজনে ১১৬ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে। যা বাংলাদেশের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০০২ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গেইল ও ওয়াভেল হাইন্ডস সর্বোচ্চ ১৩১ রান যোগ করেছিলেন। ২০০৪ সালে গ্রস আইলেটে গেইল ও ডেভন স্মিথ ১১৩ রানের অপরাজিত জুটি গড়েছিলেন। ২০১১ সালে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ব্র্যাথওয়েইট-পাওয়েল ১০০ রান যোগ করেছিলেন উদ্বোধনী জুটিতে।
দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটির প্রথম দিন চা বিরতির আগে দুবার বৃষ্টি বাধায় বন্ধ ছিল খেলা। প্রথমবার ১৩.২ ওভারের সময়। তখন স্বাগতিকদের স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ৫২ রান। দ্বিতীয়বার ৪৩.২ ওভারে ক্যারিবীয়দের স্কোর ছিল ১৩৪ রান ২ উইকেটে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ও. ইন্ডিজ : প্রথম ইনিংস, ১৮২/২, ৫৯ ওভার (গেইল ৬৪, ব্র্যাথওয়েইট ৮৯*, ব্রাভো ১৭* শুভাগত হোম ১/৪৪, তাইজুল ১/৪৯)
শিরোনাম
- আরও এক ইসরায়েলি বন্দির মরদেহ হস্তান্তর করল হামাস
- টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন
- রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
- সৌদিতে অননুমোদিত সভা-সমাবেশে অংশ না নিতে দূতাবাসের সতর্কতা
- কেনটাকিতে কার্গো বিমান বিধ্বস্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা
- রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় যুবক নিহত
- ইউরোপীয় সামরিক জোটে অংশীদারের মর্যাদা পেল ইউক্রেন
- ‘আমজনতার দল’ শীর্ষ দশে না থাকলে রাজনীতি ছাড়বেন তারেক
- ট্রাম্পের হুমকি ‘অনিবার্য’ : মামদানি
- বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, একজন নিহত
- বাংলাদেশে পুলিশ সংস্কারে সহায়তার প্রস্তাব আয়ারল্যান্ডের
- ভোকেশনাল সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে ডিএমপির জরুরি নির্দেশনা
- দক্ষ জনশক্তি ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতা বাড়াবে বাংলাদেশ-জাপান
- এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি মির্জা ফখরুলের
- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বাঁধন ১০ দিনের রিমান্ডে
- গণসংযোগকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ
- ‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চাওয়ার’ বিভ্রান্তিকর সংবাদে এনসিপির প্রতিবাদ
- নতুনবাজার-রামপুরা ব্রিজ-কাকলী পর্যন্ত কাল থেকে যানজটের শঙ্কা
- সিআরআইয়ের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ : জয়-পুতুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক
- র্যাংকিংয়ে ক্যারিয়ারসেরা অবস্থানে তানজিদ
টেস্ট সিরিজ
বড় স্কোরের পথে ক্যারিবীয়রা
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর