স্বর্ণ নিশ্চিত না হলেও এশিয়ান গেমস থেকে বাংলাদেশ এবারও খালি হাতে ফিরছে না। ব্যক্তিগত ইভেন্টে ক্রীড়াবিদদের সম্ভাবনা প্রায় শেষ হয়ে গেলেও ক্রিকেটে মহিলারা ফাইনালে উঠেছে। আজ তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে। জিতলে সালমারা দেশের জন্য স্বর্ণ বয়ে আনবেন। ২০১০ সালে তারা ফাইনালে উঠলেও এই পাকিস্তানের কাছে হেরে রৌপ্য নিয়ে সন্তুষ্ট ছিল বাংলাদেশ। আজ সালমারা স্বর্ণ জিততেই লড়বেন। অর্থাৎ ইনচেন এশিয়ান গেমসে স্বর্ণ বা রৌপ্য যাই হোক আপাতত বাংলাদেশের একটি পদক শতভাগ নিশ্চিত হয়েছে। স্বর্ণ ধরে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাশরাফিরাও আজ দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ছেন। যদি স্বর্ণ নাও আসে পুরুষ ক্রিকেট থেকে আরেকটি পদক আসবে তা প্রায় নিশ্চিত বলা যায়। কাবাডিতে পুরুষ বিভাগে সম্ভাবনা ক্ষীণ থাকলেও মহিলারা পদক জিততে পারেন। যাক মাশরাফিরা বা কাবাডিতে ব্যর্থ যদি হয়েও থাকে তাহলে শূন্য হাতে ফিরছে না বাংলাদেশ। গতকাল সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর ফলে সালমাদের পদক জেতা নিশ্চিত হয়েছে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪ সালে তেহরান এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ শুধুমাত্র প্রতিনিধি পাঠালেও ১৯৭৮ সালে থাইল্যান্ডে ৮ম এশিয়ান গেমস থেকেই ক্রীড়াবিদরা অংশ নিচ্ছেন। ১৯৮৬ সালে সিউলেই পুরুষ কাবাডি থেকেই গেমসে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো পদক আসে। বক্সিং ইভেন্ট থেকেও পদক আসে। এক সময় কাবাডিতে ভারতের পরই বাংলাদেশের অবস্থান ছিল। কালের বিবর্তনে পাকিস্তানতো আছে পুরুষ বিভাগে ইরান ও জাপান বেশ এগিয়ে গেছে। সত্যি বলতে কি মহিলারাই এখন এ ইভেন্টে প্রথম ভরসা। এক সময় অলিম্পিকের মতোই এশিয়ান গেমসে স্বর্ণ জেতাটা স্বপ্নে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশের বন্ধ দুয়ার খুলে যায়। টি-২০ ক্রিকেটে ফাইনালে আফগানিস্তানকে পরাজিত করে আশরাফুলের নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশ। এবারও সেই সম্ভাবনা আছে। বরাবরের মতো ব্যক্তিগত ইভেন্টে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা। বড় তিন গেমসের মধ্যে কমনওয়েলথ ও এশিয়ান গেমসে স্বর্ণ জেতার কৃতিত্ব থাকলেও অলিম্পিক গেমসে বাংলাদেশের পদকের ভাণ্ডার এখনো শূন্য রয়েছে।