ক্রিকেটপ্রেমীদের অন্তরে এখনও গেঁথে আছে ২০১২ সালের এশিয়া কাপের ফাইনাল। জয়ের কাছাকাছি এসেও মুশফিকুর রহিমরা পাকিস্তানের কাছে হেরেছিলেন মাত্র ২ রানে। ওই হারে পুরো জাতি কেঁদেছিল সাকিব, মুশফিকদের সঙ্গী হয়ে। প্রায় আড়াই বছর পর সেই পাকিস্তানের কাছে ফের হারল বাংলাদেশ। এবারের হার ইনচেন এশিয়ান গেমসের স্বর্ণ জয়ের লড়াইয়ে। পাকিস্তানের সানা মীরদের কাছে হেরেছেন সালমা খাতুনরা। হারেন মাত্র ৪ রানে। এই হারের আফসোস সারা জীবন বয়ে বেড়াবেন সালমা। পরশু রাতে এশিয়ান গেমস থেকে রুপা জিতে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দল। হারের জন্য ব্যাটসম্যানদের তাড়াহুড়াকে দুষলেন মহিলা দলের অধিনায়ক। চার বছর আগে গুয়াংজু এশিয়াডের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে স্বর্ণ হাতছাড়া করেছিল বাংলাদেশ।
গত শুক্রবার ইনচেন এশিয়াডের ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ৯৭ রান করে। বাংলাদেশ ব্যাট করতে নামার আগে বৃষ্টি নামে। ফলে ম্যাচ গড়ায় ডার্ক ওয়ার্থ লুইস (ডিএল) পদ্ধতিতে। বাংলাদেশকে টার্গেট দেওয়া হয় ৭ ওভারে ৪৩ রানের। ৫ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৩ রান তুলে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দেশবাসী। শেষ ১২ বলে ১০ রান দরকার হয় স্বর্ণ জিততে। কিন্তু সেটা করতে পারেনি সালমাবাহিনী। দুই ওভারে সংগ্রহ করে মাত্র ৫ রান এবং হারায় ৫ উইকেট। এই না পারার কারণ ব্যাটসম্যানদের তাড়াহুড়াতে দায়ী করেন অধিনায়ক সালমা বলেন, 'সত্যি বলতে ম্যাচটা আমাদের জেতা উচিত ছিল। কিন্তু আমাদের ভুলেই জেতা ম্যাচ হেরে যাই। ব্যাটসম্যানরা অহেতুক তাড়াহুড়া করেছেন ব্যাটিংয়ে। সিঙ্গেলসের দিকে মনোযোগ না দিয়ে চার্জ করেছেন। এজন্যই আমরা দ্রুত উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হেরে যাই।' যদিও কোচ গামাগীর মেসেজ ছিল ক্রিকেটারদের প্রতি সিঙ্গেলসে মনোযোগী হওয়ার। কিন্তু সেটা করেননি। সিঙ্গেলস না নেওয়ায় যেমন হেরেছে দল। তেমনি কার্টেল ওভারের ম্যাচ না খেলার অভিজ্ঞতাও ফাইনালে দলকে ডুবিয়েছে বলেন সালমা, 'আমরা এর আগে কখনো কার্টেল ওভারের টি-২০ ম্যাচ খেলিনি। এই না খেলাটাও আমাদের ভুগিয়েছে। আমাদের টেম্পারমেন্ট ঝামেলা ছিল।'