ইনচেন এশিয়ান গেমসের পর্দা নেমেছে গতকালই। অথচ ক্রীড়াঙ্গনে এখনই আলোচনা শুরু হয়ে গেছে ২০১৮ সালে পরবর্তী গেমসে বাংলাদেশ কটি ইভেন্টে অংশ নেবে। অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব শাহেদ রেজার বক্তব্য যদি বাস্তবায়িত হয় তাহলে জার্কাতায় ১৮তম এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ বড় জোর ৩/৪টি ইভেন্টে অংশ নেবে। কারণ এবার বাজে পারফরম্যান্সের জন্য ১৩টি ইভেন্টে ক্রীড়াবিদদের দক্ষিণ কোরিয়া পাঠানো হয়। অ্যাথলেটিকস সাঁতারসহ ৮টি ইভেন্ট বাদ দেওয়া হয়। মহাসচিব বলেছিলেন সামনে গেমসে বহর আরও ছোট হতে পারে। ইনচেনে আমরা প্রতিটি ইভেন্টের মান যাচাই করব। যদি দেখি শোচনীয় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে তাহলে সামনে আর এশিয়ান গেমসে পাঠাব না। এস এ গেমস ও সাফ প্রতিযোগিতায় শুধু সব ইভেন্টে অংশ নেবে বাংলাদেশ। চার বছর পর দেশ বা ক্রীড়াঙ্গনের পরিবেশ বা পরিস্থিতি কেমন থাকবে তা বলা মুশকিল। তবে শাহেদ রেজা যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তা নড়চর না হলে জার্কাতা গেমসে ক্রিকেট, কাবাডি, আরচ্যারি ও জিমনাস্টিকস ছাড়া আর কোনো ইভেন্ট পাঠানোর কথা নয়। কারণ কাবাডি ও ক্রিকেট থেকেই তিনটি পদক এসেছে। আরচ্যারি ও জিমন্যাস্টিকসে পদক না এলেও ফাইনাল রাউন্ড অর্থাৎ পদক লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল। আর বাকিগুলোর পারফরম্যান্স ছিল যাচ্ছেতাই। ইভেন্টগুলোর ভরাডুবি দেখে অনেকে মন্তব্য করেছেন, বিওএ ভালোমতো জানত কাবাডি ও ক্রিকেট ছাড়া কোনোটাতেই পদক জেতার সম্ভাবনা নেই। তারপরও পাঠিয়ে অর্থ অপচয় করেছে। অথচ গেমসে আকর্ষণীয় দুই ইভেন্ট অ্যাথলেটিকস ও সাঁতারকে অযথা নেওয়া হয়নি। আরচ্যারি ও জিমন্যাস্টিকস দুটো খেলায় সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এখন তাই বড় বড় গেমসে দুটো ইভেন্টে বাংলাদেশ যে প্রতিনিধিত্ব করবে তা অনেকটা নিশ্চিত। বাকিগুলো থেকে গেল ঝুঁকির মধ্যে। ফুটবল গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলেও তাদের পারফরম্যান্স একেবারে খারাপ ছিল না। তাই সামনের গেমসে ফুটবলাররা যেতেই পারেন। কথা উঠেছে হকির মান নিয়ে। গতবারের মতো এবারও অষ্টমস্থান দখল করেছে। ওয়ার্ল্ড হকি লিগ ও এশিয়ান গেমস বাছাই পর্বে ওমানকে ভালোভাবে বিধ্বস্ত করলেও তাদেরই কাছে ইনচেনে হার মেনেছে। অনেকে বলছেন প্রস্তুতি না থাকলে সামনে এশিয়ান গেমসে হকি যেন না পাঠানো হয়। অযথা দেশের সম্মানহানির কোনো মানে থাকতে পারে না। বিওএর নির্বাহী কমিটির এক সদস্য জানালেন, অবশ্যই আমরা ইনচেন গেমসে বিভিন্ন ইভেন্টের মান নিয়ে আলাপ করব। হয়তো অনেক ইভেন্টই সামনে না পাঠানোর ব্যাপারে প্রস্তাব আসবে। কিন্তু ফুটবল ও হকির মান ভালো বা খারাপ হোক এশিয়ান গেমসে আটকানো যাবে না। দুটোই বাংলাদেশের জনপ্রিয় খেলা ও গেমসের আকর্ষণীয় ইভেন্ট। শুটিংও বাদ দেওয়া যাবে না। তবে বেশ কিছু ইভেন্ট আছে যা এশিয়ান গেমসে পাঠানোটা ছিল হাস্যকর। আসলে বিওএ বাস্তবতার কথা চিন্তা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে চাইবে ঠিকই। কিন্তু নানা চাপের কারণে তা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হবে কিনা সেটাই প্রশ্ন।
শিরোনাম
- উপদেষ্টাদের সততার ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে
- দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
- তারেক রহমান গণমানুষের নেতা : প্রিন্স
- জরুরি তথ্য চেয়ে মাউশির চিঠি, সময় ২০ আগস্ট পর্যন্ত
- ইতিহাস গড়ে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে বাংলাদেশের মেয়েরা
- ‘খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে’
- তালাবদ্ধ থাকায় অফিসে প্রবেশ করতে পারেননি আটাব প্রশাসক
- বরিশালে এসএসসির পুনঃনিরীক্ষণে ফেল থেকে পাস ২৬
- বগুড়ায় দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠিত
- সিলেটে যুবদলকর্মী খুন
- কোরিয়ার বিপক্ষে হেরেও মূল পর্বের সম্ভাবনা জিইয়ে আছে বাংলাদেশের
- পুলিশ এখনো কাঠামোগতভাবে কাজ করছে না : নৌ উপদেষ্টা
- যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যা: ২৩ বছর পর স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
- পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা
- দ্রুত পরীক্ষা ও ফল প্রকাশের দাবিতে বিভাগে তালা ইবি শিক্ষার্থীদের
- হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তিন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু সোমবার
- ঝিনাইদহে শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
- চোর সন্দেহে তিন যুবককে গণপিটুনি
- কুমিল্লায় আইনজীবী হত্যা: বাহার-সূচনাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
- বগুড়ার কৃষকের মাঝে আশার আলো ছড়াচ্ছে সবুজ ধানের চারা
জাকার্তায় আরও ইভেন্ট কমবে?
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর