অস্ট্রেলিয়ার 'গোল্ডেন জেনারেশন' শেষ টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে। যারা বিশ্বকাপে সকারুদের স্বপ্ন দেখিয়েছিল। এশিয়ান কাপের ফাইনাল জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিল। শেষ সুযোগটা অবশ্য কোনোভাবেই হারাতে রাজি হয়নি 'গোল্ডেন জেনারেশনে'র ধারক-বাহকরা। নিজেদের মাটিতে এশিয়ান কাপের ফাইনালে ওঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে দীর্ঘ ৫৪ বছরের শিরোপা ক্ষুধা নিয়ে ফাইনালে ওঠে এসেছে দক্ষিণ কোরিয়া। আজ এশিয়ান কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে এশিয়ান ফুটবলের প্রতিনিধি দক্ষিণ কোরিয়া এবং ওশেনিয়ার প্রতিনিধি অস্ট্রেলিয়া।
কোরিয়ানদের সামনে তৃতীয় শিরোপা জয়ের হাতছানি। অস্ট্রেলিয়ার সামনে প্রথম শিরোপা জয়ের সুযোগ। ইরাককে ৩-২ গোলে হারিয়ে তৃতীয় হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। দক্ষিণ কোরিয়া এশিয়ান ফুটবলের সবচেয়ে সফল দলগুলোর মধ্যে একটি। এশিয়ান কাপে দলটা দুবারের (১৯৫৬ ও ১৯৬০) চ্যাম্পিয়নই কেবল নয়, রানার্সআপ হয়েছে তিনবার (১৯৭২, ১৯৮০ ও ১৯৮৮)। সর্বশেষ ফাইনালে তারা সৌদি আরবের কাছে পরাজিত হয়েছিল। এ ছাড়া নিয়মিতই কোরিয়ানরা সেমিফাইনাল খেলে এশিয়ান কাপে। এমন অতীত যে দলের তাদের ফেবারিটের তালিকায় এক নম্বরে রাখতেই হয়। তবে সকারুরা এশিয়ান ফুটবলে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। ২০০৭ সালে এশিয়ান ফেডারেশনে যোগ দেওয়ার পর থেকেই কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে তারা এশিয়ানদের। ২০১১ এশিয়ান কাপে তো ফাইনালে জাপানের কাছে অল্পের জন্য হেরে যায় সকারুরা। গতবারের সেই দুঃখ ভোলার মিশনই নির্ধারণ করেছেন টিম কাহিল-মিল জেদিনাকরা। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই অস্ট্রেলিয়া হুমকি দিয়েছিল এশিয়ান ফুটবলের ফেবারিটদের। এবারের শিরোপা ঘরে রেখে দেওয়ার সব রকম চেষ্টাই করবে সকারুরা। গ্রুপ পর্ব এবং নকআউট পর্বের সবগুলো বাধা সহজে পাড়ি দিয়ে নিজেদের ঘোষণার যথার্থতা প্রমাণ করেছে অস্ট্রেলিয়া। আজ সিডনির অস্ট্রেলিয়া স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ ফাইনালের অপেক্ষায় প্রহর গুনবে ভক্তরা। দেখা যাক, তৃতীয়বারের মতো কোরিয়ানরা এশিয়ান কাপের শিরোপা ঘরে তুলতে পারে কিনা! নাকি প্রথমবারের মতো এশিয়ান ফুটবলে বিজয়ীর মুকুট পরে অস্ট্রেলিয়া!