বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবলের গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে হারিয়ে জয় নিয়ে সেমিফাইনালের পথকে অনেকটাই মসৃণ করে রাখল থাইল্যান্ড। গতকাল শুক্রবার সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে অধিনায়ক পার্ম্রপপাক পাকর্নের দুরন্ত গোল ব্যবধান গড়ে দেয় সিঙ্গাপুরের সঙ্গে। তার করা শেষ গোলেই ৩-২ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে থাইল্যান্ড।
সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে বিকাল ৫টায় শুরু হওয়া ম্যাচের প্রথমার্ধের প্রায় পুরোটাতেই আধিপত্য ছিল থাইল্যান্ডের। অন্যদিকে দ্বিতীয়ার্ধে থাই অধিনায়কের ওই গোলটি বাদ দিলে আধিপত্য করেছে প্রথমার্ধে এলোমেলো ফুটবল খেলা সিঙ্গাপুর। থাই-সিঙ্গাপুরের ম্যাচজুড়ে ছিল ফাউলের ছড়াছড়ি। তবে রেফারি তেমন কঠোর না হওয়ায় হলুদ কার্ড বের করেছেন দু'বার। তন্মধ্যে একবার হলুদ কার্ডের বদলে ভুলক্রমে লাল কার্ড দেখিয়ে হাস্যরসেরও জন্ম দিয়েছেন বাংলাদেশি রেফারি জালাল উদ্দিন। ম্যাচ শুরু হওয়ার পরই সিঙ্গাপুরের গোলপোস্ট ভেদ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে থাইল্যান্ড। ফলও পেয়ে যায় তারা। ম্যাচের মাত্র সাড়ে ৫ মিনিটেই কানা নারাকনের কর্নার কিক থেকে হেডের মাধ্যমে প্রথম গোল করেন সেনসোমায়াদ আদিসাক। প্রথম গোল দিয়ে যেন আরও উজ্জীবিত হয়ে ওঠে থাইরা। প্রথমার্ধের ৩০ মিনিটের সময় থাই অধিনায়ক পার্ম্রপপাক পাকর্নের বাড়িয়ে দেওয়া পাসে পায়ের আলতো ছোঁয়া লাগিয়ে সিঙ্গাপুরের জালে দ্বিতীয়বারের মতো বল পাঠান শ্রীনাওং ছায়াওয়াত। প্রথমার্ধে এরপর আর কোনো গোল না হলেও বেশ কয়েকবার আক্রমণে উঠেছে থাইল্যান্ড। প্রথমার্ধে ছন্নছাড়া ফুটবল খেলা সিঙ্গাপুর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল পরিশোধে হয়ে ওঠে মরিয়া। দারুণ পাসিং ফুটবলের সুবাদে ম্যাচের সাড়ে ৪৮ মিনিটে সম্মিলিত আক্রমণ থেকে ইকরাম রিফকি বিন মো. ইয়াজিদ দুর্দান্ত এক প্লেসিং শটে গোল করেন। এর ঠিক চার মিনিট পর আবারও সম্মিলিত আক্রমণ থেকে দলের পক্ষে দ্বিতীয় গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান সিঙ্গাপুরিয়ান ফরোয়ার্ড তৌফিক বিন সুপর্ন। দ্বিতীয়ার্ধের ৩৩ মিনিটে ডি-বক্সে ঠিক ভেতর থেকে দারুণ শটে জয়সূচক গোল করেন থাই অধিনায়ক পাকর্ন।