বার্সেলোনা এবং বায়ার্ন মিউনিখ মঙ্গলবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগ খেলতে নেমেছিল সম্পূর্ণ বিপরীত দুটি অতীত নিয়ে। প্রথম লেগে পিএসজির মাঠে ৩-১ গোলে জিতেছিলো বার্সেলোনা। অন্যদিকে পোর্তোর মাঠে ৩-১ গোলে হেরেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। শেষ চার নিশ্চিত করার জন্য ড্রই যথেষ্ট ছিল কাতালানদের। অন্যদিকে বায়ার্নের সামনে অন্তত ২-০ গোলে জয়ের বিকল্প ছিল না। দুই দলই বাধা পেরিয়ে পেঁৗছে গেছে শেষ চারে। যে পোর্তো প্রথম লেগে বায়ার্নের নাভিশ্বাস তুলেছে তাদেরকে অ্যালাইঞ্জ অ্যারিনাতে মনে হলো নিতান্তই মামুলি দল। পর্তুগিজ দলটাকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর পেপ গার্ডিওলার শিষ্যরা এবার বলতেই পারে, গুরুর কাছে সব রোগেরই মহৌষধ আছে! ন্যু ক্যাম্পে বার্সেলোনা ফরাসি প্রতিপক্ষ প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনকে (পিএসজি) ঠিক উড়িয়ে না দিলেও নিজেদের একক শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়েছে। ২-০ গোলে প্রতিপক্ষকে হারানোর পর কাতালান কোচ লুইস এনরিকে ঘোষণা করলেন, বার্সেলোনা তার সম্ভাব্য সেরা ফর্মে।
বায়ার্ন মিউনিখের সফলতার মূল অস্ত্রই হলো দলগত লড়াই। অনেকটা জার্মান টিমের মতো। একক তারকার গুরুত্ব সেখানে খুব একটা নেই। মঙ্গলবার যেমন হলো। থিয়াগো আলকান্তারা জেরেমি বোয়েটাঙ, থমাস মুলার আর জাভি অ্যালোনসো একটা করে গোল করলেন। দুটি গোল করলেন রবার্তো লিওয়ান্দোভস্কি। বায়ার্নের এই সামগ্রিক রূপটাকে যে কোনো দলের জন্যই ভয়ের। কে জানে, এই দলটাই হয়ত এবার ঘরে তুলতে যাচ্ছে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা! অন্যদিকে বার্সেলোনা তারকাদের উপরই নির্ভর করে। মেসি তো আছেনই। আছেন সুয়ারেজ এবং নেইমারও। পিএসজির বিপক্ষে ন্যু ক্যাম্পে মেসি ও সুয়ারেজ নিষ্প্রভ থাকলেও দলকে দুটি গোল করে জয় উপহার দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার। এই তিন তারকাকে বর্তমানে এমএসএন নামে ডাকা হচ্ছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইতিহাস গড়তে পারবেন কি এমএসএন!