টিকিটের ব্যাপক চাহিদা থাকবে; পূর্বানুমিত। কাল টি-২০ ম্যাচে সেটাই হয়েছে। কিন্তু তাই বলে সাধারণ দর্শকের কোটা কর্তন করে মেয়র প্রার্থীদের দেওয়া হবে, সেটা জানতেন না বোর্ডের পরিচালকরাও। জানতেন না তাদের কোটার টিকিটটিও কর্তন হবে। তাই সবাই বিরক্ত। বিরক্ত সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীরাও।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের আসন সংখ্যা ২৩ হাজার। অথচ কালকের ম্যাচের টিকিটের চাহিদা ছিল আড়াই লাখ! অবিশ্বাস্য! বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে কোনো ম্যাচ ঘিরে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলতে থাকা মাশরাফিদের খেলা দেখতে পাঁচগুণ, সাতগুণ দামে টিকিট কিনেছে। ১৫০ টাকার সাধারণ গ্যালারির টিকিট বিক্রি হয়েছে ক্ষেত্রবিশেষে ৫০০-৭০০ টাকা। ৩০০ টাকার ক্লাব হাউসের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২০০০ টাকায়। ১০০০ টাকার ভিআইপির টিকিট ক্রিকেটপ্রেমীরা কিনেছেন ৬০০০ টাকায় এবং গ্রান্ড স্ট্যান্ডের টিকিট বিক্রি হয়েছে ১০,০০০ টাকায়।
টিকিট নিয়ে হাহাকার সৃষ্টি হওয়ার জন্য বিসিবি পরিচালকদের কেউ কেউ দোষ দিচ্ছেন। চাহিদা মতো টিকিট না পাওয়ায় বিরক্ত এক বোর্ড পরিচালক বলেন, 'আমি ৫০টি গ্রান্ড স্ট্যান্ডের টিকিটি চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে দেওয়া হয়েছে ১০টি গ্রান্ড স্ট্যান্ড, ৫টি ক্লাব হাউস ও ৫টি গ্যালারির টিকিট। শুধু আমি নই, সব পরিচালককেই এমন হারে টিকিট দেওয়া হয়েছে। আগামী বোর্ড সভায় টিকিটের বিষয়টি নিয়ে হৈচৈ হবে বলে বিশ্বাস করি।'
টিকিট নিয়ে বরাবরই ঝামেলা হয়। কিন্তু এবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ নিয়ে যা হচ্ছে, তা এক কথায় অবিশ্বাস্য। ক্রিকেটের এমন আকাল দেখে সবাই বলছেন, গ্যালারির আসন সংখ্যা বাড়াতে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ঢাকা অদূরে পূর্বাচলে একটি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। সেখানে আসন সংখ্যা ৫০ হাজার রাখার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।