ঢাকা টেস্টে প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়ে ফিরলেন আজহার আলী। একাই করলেন ২২৬ রান। তবে সফরকারীরা বড় সংগ্রহ গড়লেও চা বিরতির আগে দ্রুতই ৪ উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় দিনের চা বিরতির আগে পর্যন্ত ১৫২ ওভার শেষে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৫৫৭ রান। ২১ রানে অপরাজিত আছেন সরফরাজ আহমেদ। ১০৬ রান করে ফিরেছেন আসাদ শফিক।
এর আগে ইউনুস খান ও আজহার আলীর জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ৩২৩ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করে পাকিস্তান। দিন শেষে আজহার ১২৭ ও মিসবাহ-উল-হক ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেন দুজন।
এদিন পাকিস্তান স্কোরবোর্ডে কোনো রান জমা করার আগেই মিসবাহকে ফেরান সাকিব। দিনের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে মিসবাহকে সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখান বিশ্বসেরা টেস্ট অলরাউন্ডার।
এর পরই আসাদ শফিককে নিয়ে বড় জুটি গড়ে তোলেন আজহার। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ওই ৪ উইকেটেই ৪২৮ রান তোলে পাকিস্তান। বিরতির পর ইনিংসের ১৩৯তম ওভারে সাকিবের বল লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি পূরণ করেন আজহার। একটু পর ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নেন তার সঙ্গী আসাদ।
দলীয় ৫৩০ রানে ডাবল সেঞ্চুরি করা আজহারকে ফিরিয়ে বড় জুটি ভাঙেন শুভাগত হোম। লং অফে আজহারের ক্যাচ নেন মাহমুদউল্লাহ। ২২৬ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেন আজহার। তার ৪২৮ বলের ইনিংসে ছিল ২০টি চার ও ২টি ছক্কার মার। আজহার-শফিক জুটিতে আসে ২০৭ রান।
নিজের পরের ওভারে এসে শফিককেও ফেরান শুভাগত। এবারও লং অফে ক্যাচ নেন মাহমুদউল্লাহ্। এবারের ক্যাচটি ছিল অসাধারণ। ১৬৭ বলে ৯ চার ও এক ছক্কায় ১০৭ রান করেন শফিক।
প্রথম দিনের ৩ উইকেটের দুটি নেন বাংলাদেশ পেসার মোহাম্মদ শহীদ। একটি শিকার স্পিনার তাইজুল ইসলামের। ১৪৮ রান করে আউট হন ইউনুস খান।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ মে ২০১৫/ এস আহমেদ