জমকালো করে আয়োজনের চিন্তাভাবনা ছিল। কিন্তু তা হচ্ছে না। তবে আয়োজনে যাতে কমতি না থাকে তাই ঘটা করে গান-বাজনার আয়োজন করে গত পাঁচ বছরের ট্রফিগুলো ক্লাব, ফুটবলার ও কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। পুরস্কার তুলে দিতেই ২০০৯ সালের পর আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আয়োজন করছে বাফুফে অ্যাওয়ার্ড নাইটের। পাঁচ বছরের জমানো ৪০টি চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ ট্রফিসহ মোট ৬৩টি ট্রফি তুলে দেবেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। অনুষ্ঠানের ওপর অনাগ্রহ সৃষ্টি না হয়, সে জন্য রয়েছে গানের অনুষ্ঠানও। সেখানে গান গাইবেন আরেফিন রুমি, সালমা, কর্ণিয়া ও পারভেজ।
২০০৯ সালে বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সর্বশেষ অ্যাওয়ার্ড নাইট। ওই অনুষ্ঠানে প্রথম পেশাদার লিগ চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল শিরোপা ট্রফি। এরপর আরও দুবার করে শিরোপা জিতেছে আবাহনী ও শেখ জামাল। চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শেখ রাসেলও। কিন্তু তারা ট্রফি তুলে ধরতে পারেনি। কেন? বাফুফের গাফিলতি, না অন্য কিছু কারণে? বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, 'আমরা সময় করে উঠতে পারিনি। তবে সব সময়ই চেষ্টা ছিল। এবার সভাপতি চেয়েছেন। সময় বের করে তাই আজ মোট ৬৩টি ট্রফি তুলে দেওয়া হচ্ছে ক্লাব, ফুটবলার, সংগঠকদের হাতে।' দেওয়া হয়নি বলে পেশাদার লিগের দলগুলোর পাশাপাশি ট্রফি পায়নি প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলগুলোও। এ ছাড়া বঞ্চিত হয়েছে পাইওনিয়র ফুটবল লিগের চ্যাম্পিয়ন দলও। তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বেশ ঘটা করেই চ্যানেল নাইনে সরাসরি সম্প্রচার করে ২০০৯-১০, ২০১০-১১, ২০১১-১২, ২০১২-১৩ এবং ২০০১৩-১৪ মৌসুমের ৬৩টি ট্রফি তুলে দিচ্ছে বাফুফে। শুধু ট্রফি নয়, অ্যাওয়ার্ড নাইটে ক্লাবগুলোকে সার্টিফিকেটও দেবে বাফুফে। পাশাপাশি নতুন তিনটি পুরস্কারও চালু করেছে বাফুফে।