সূর্যের প্রচণ্ড খরতাপ উপেক্ষা করে গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জুনিয়র অ্যাথলেটিক্সে কচিকাঁচার হাট বসেছিল। গরম বলেই ৩১তম জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় কোনো রেকর্ড হয়নি। তারপরও জুনিয়র অ্যাথলেটিক্সের দ্রুততম মানব-মানবী হয়েছেন বিকেএসপির আশরাফুজ্জামান রচি ও আয়েশা সিদ্দিকা। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে দ্রুততম মানব হতে রচি সময় নেন ১০.৯০ সেকেন্ড। আয়েশা সময় নেন ১২.৭৫ সেকেন্ড। ২০১৩ সালে সর্বশেষ জুনিয়র অ্যাথলেটিক্স হয়েছিল। গত বছর হয়নি। এবার হলেও নিজের গড়া রেকর্ড ভাঙতে পারেননি রচি। পারেননি বলে বাগেরহাটের ছেলে রচির মন খারাপ, 'স্বর্ণপদক জিতলেও আমি তৃপ্ত নই। গত আসরে এর চেয়ে কম সময় করে রেকর্ড গড়েছিলাম। আশা করেছিলাম এবারও সে রকম কিছু হবে। কিন্তু পারিনি। না পারার কারণ হাঁটুর ইনজুরি। টুর্নামেন্টের পর হাঁটুর এমআরআই করব।' অবশ্য গত কিছুদিন ধরেই তার ফর্মটা ভালো যাচ্ছে না। চলতি মাসের শুরুতে কাতারের দোহায় জুনিয়র এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ১১.২৬ সেকেন্ড সময়ে ১২তম হয়েছিলেন রচি। হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরি শেষে আবার অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে ফিরেছেন লালমনিরহাটের মেয়ে আয়েশা। ভাষাসৈনিক এ কে এম শামসুজ্জোহা স্মৃতি জুনিয়র অ্যাথলেটিক্সের মহিলাদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জিতেন আয়েশা ১২.৭৫ সেকেন্ড সময়ে। ২০১৩ সালে আয়েশা ১০০, ২০০ ও ৪ গুণিতক ১০০ মিটার রিলেতে তিন স্বর্ণপদক জিতে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন।